বায়াস ও সাইকোলজিকাল এফেক্টের তালিকা

অ্যাংকরিং বায়াস

  • অ্যাংকরিজম বা ফোকালিজম : কোন একটি বৈশিষ্ট্য বা তথ্যের ওপর অতিমাত্রায় নির্ভর করার প্রবণতা (সাধারণত প্রথমে যে তথ্য পাওয়া যায় তার ওপরেই এই বায়াসটি কাজ করে)
  • কনজারভেটিজম বায়াস বা বিলিফ রিভিশন : নতুন কোন সাক্ষ্য-প্রমাণ পাবার পর নিজের বিশ্বাসকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুনর্বিবেচনা না করার প্রবণতা
  • ফাংশনাল ফিক্সডনেস : কোন বস্তু ঐতিহ্যগতভাবে যেভাবে ব্যবহৃত হয়ে এসেছে, সেভাবে বস্তুটির ব্যবহারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকার প্রবণতা
  • ল অফ দ্য ইনস্ট্রুমেন্ট : একটি পরিচিত সরঞ্জাম বা পদ্ধতির ওপর অতিনির্ভরশীলতা, যার ফলে বিকল্প উপায়গুলোকে এড়িয়ে যাওয়া হয়। (“If all you have is a hammer, everything looks like a nail.” বা “হাতে হাতুরি থাকলে সব কিছুকে পেড়েক মনে হয়” প্রবাদের সাথে জড়িত কগনিটিভ বায়াসটি)

অ্যাপোফেনিয়া 

  • ক্লাস্টারিং ইল্যুশন : র‍্যান্ডম ডেটার বিশাল স্যাম্পলে ছোট ছোট ক্লাস্টারকে ওভারেস্টিমেট করার প্রবণতা
  • ইল্যুসরি কোরিলেশন : দুটো সম্পর্কহীন ঘটনার মধ্যে ভুলভাবে সম্পর্ক বের করার প্রবণতা
  • প্যারেইডোলিয়া : অস্পষ্ট ও র‍্যান্ডম স্টিমুলাস (প্রায়ই ছবি বা শব্দ) থেকে গুরুত্বপূর্ণ কোন কিছুর অস্তিত্ব অনুমান করার প্রবণতা, যেমন মেঘে কোন প্রাণী বা মানুষের মুখমণ্ডল কল্পনা

অ্যাসোসিয়েশন ফ্যালাসি

  • অথোরিটি বায়াস : কোন অথোরিটি ফিগারের ওপর (যিনি সেই বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত নন) অধিকতর সঠিকতা আরোপ করার প্রবণতা, এবং তাদের মত দ্বারা অধিক পরিমাণে প্রভাবিত হবার প্রবণতা
  • চিয়ারলিডার এফেক্ট : একাকী থাকার চেয়ে কোন গ্রুপে থাকলে ব্যক্তিকে অধিকতর আকর্ষণীয় মনে করার প্রবণতা
  • হ্যালো এফেক্ট : কোন একটি ক্ষেত্রে কোন ব্যক্তি, কোম্পানি, ব্র্যান্ড বা প্রোডাক্টের ওপর পজিটিভ ইম্প্রেশন তৈরি হলে অন্যান্য এরিয়া বা ক্ষেত্রেও সেগুলোর ওপর পজিটিভ ইম্প্রেশন তৈরি হওয়া

এট্রিবিউশন বায়াস

  • ফান্ডামেন্টাল এট্রিবিউশন এরর : অন্য ব্যক্তির আচরণ বিচার করার সময় তার পরিস্থিতিগত দিক ও ভূমিকাগুলোকে ইগনোর করার এবং ব্যক্তিত্বগত দিক ও ভূমিকাগুলোকে জোর দেয়ার প্রবণতা, অ্যাক্টর-অবজার্ভার বায়াসগ্রুপ এট্রিবিউশন এররপজিটিভিটি এফেক্ট, এবং নেগেটিভিটি এফেক্ট এর সাথে সম্পর্কিত
  • আল্টিমেট এট্রিবিউশন এরর : এটা ফান্ডামেন্টাল এট্রিবিউশন এররের মতই, শুধু এক্ষেত্রে ব্যক্তির মধ্যে কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তির ওপর ইন্টারনারল এট্রিবিউশন আরোপ করার পরিবর্তে গোটা গ্রুপের ওপর এট্রিবিউশনটি আরোপের প্রবণতা কাজ করে
  • অ্যাক্টর-অবজার্ভার বায়াস : কোন ব্যক্তির আচরণ ব্যাখ্যা করার সময় তার সেই আচরণের ওপর সেই ব্যক্তির পরিস্থিতির প্রভাবকে কম বিবেচনা করে তার পারসোনালিটি বা ব্যক্তিত্বের প্রভাবকে অধিক মাত্রায় বিবেচনা করার প্রবণতা (ফান্ডামেন্টাল এট্রিবিউশন এররের সাথে সম্পর্কিত), কিন্তু নিজের আচরণ ব্যাখ্যা করার সময় তার উল্টোটা, অর্থাৎ তা ব্যক্তিত্বের তুলনায় পরিস্থিতির দ্বারা বেশি প্রভাবিত বলে মনে করার প্রবণতা।
  • এক্সট্রিন্সিক ইনসেন্টিভস বায়াস : নিজের বদলে অন্যের মোটিভ বা উদ্দেশ্য বিচার করার সময় এক্সট্রিন্সিক বা সিচুয়েশনাল অর্থাৎ পরিস্থিতিগত ইনসেন্টিভকে (যেমন আর্থিক পুরস্কার) ইনট্রিন্সিক বা বিহ্যাভিওরাল বা আচরণগত ইনসেন্টিভের (যেমন নতুন দক্ষতা শেখা) তুলনায় অধিক এট্রিবিউট বা আরোপ করা, এটি ফান্ডামেন্টাল এট্রিবিউশন এররের ব্যতিক্রম
  • ডিফেন্স এট্রিবিউশন হাইপোথিসিজ : ক্ষতির পরিমাণ বেশি হলে বা ভিক্টিমের সাথে নিজের সাদৃশ্য বেশি হলে ক্ষতিকারক ব্যক্তিকে অধিকতর ব্লেইম বা অভিযুক্ত করার প্রবণতা
  • ডিফেন্সিভ আদারিং এফেক্ট : কোন স্টিগমাটাইজড বা কলঙ্কিত গোষ্ঠীর সাথে (প্রিজুডির কারণে, যেমন হোমোসেক্সুয়াল গ্রুপ) নিজের কোন সাদৃশ্য থাকলে সেই কলঙ্কের  সাথে কোন সাদৃশ্য পাওয়া যাওয়ায় সেই প্রিজুডি দমন করার চেষ্টা করার বদলে নিজের সেই বৈশিষ্ট্যকেই “আদার” হিসেবে চিহ্নিত করে “সেলফ” থেকে আদারাইজ করা এবং বেশি করে নিজেকে “কলঙ্কমুক্ত” করে তোলার চেষ্টা করার প্রবণতা, ডিফেন্স এট্রিবিউশন হাইপোথিসিজ এর সাথে সম্পর্ক আছে
  • হস্টাইল এট্রিবিউশন বায়াস : অন্যের আচরণকে শত্রুভাবাপন্ন উদ্দেশ্যপূর্ণ বলে ব্যাখ্যা করার প্রবণতা, এমনকি সেই আচরণ দ্ব্যর্থতামূলক ও বিনাইন হলেও
  • ইন্টেনশনালিটি বায়াস : মানুষের কাজকে এক্সিডেন্টাল হিসেবে বিচার না করে ইন্টেনশনাল বলে বিচার করার প্রবণতা
  • জাস্ট-ওয়ার্ল্ড হাইপোথিসিজজগৎকে মৌলিকভাবে ন্যায্য বলে মনে করার প্রবণতা, যার ফলে তারা যেসব অন্যায্য বিষয়গুলোকে ব্যাখ্যা করতে পারেনা তাকে এমনভাবে র‍্যাশনালাইজ করে যাতে মনে হয় যার সাথে অন্যায্য আচরণ হয়েছে সে সেই অন্যায্যতা ডিজার্ভ করে
  • মোরাল লাক : কোন ঘটনার ফলাফল দেখে কোন নৈতিক বা মোরাল এজেন্টকে সেই কাজের ফলাফলের সাথে সম্পর্কিত করে তাকে প্রশংসা বা অভিযুক্ত করা, যদিও এটা পরিষ্কার যে সেই এজেন্টের সেই কাজে বা তার ফলে কোন নিয়ন্ত্রণ ছিলনা
  • পিউরিট্যানিকাল বায়াস : কোন অপ্রত্যাশিত বা মন্দ ফলাফলের কারণ হিসেবে বৃহত্তর সামাজিক নিয়ামকগুলোর বিবেচনা না করে কোন ব্যক্তিকে তার তার নৈতিকতার অভাব বা আত্ম-নিয়ন্ত্রণের অভাবকে এর কারণ হিসেবে দাঁড় করানো
  • সেলফ-সার্ভিং বায়াস : ব্যর্থতার চেয়ে সাফল্যের ক্ষেত্রে অধিকতর দায়বদ্ধতা দাবি করার প্রবণতা, এই বায়াসটি দ্ব্যর্থতাপূর্ণ তথ্যকে নিজেদের গ্রুপের স্বার্থে মূল্যায়ন করার বায়াস হিসেবেও প্রকট হতে পারে যা গ্রুপ সার্ভিং বায়াস বা ইন গ্রুপ ফেভরেটিজমের সাথে সম্পর্কিত

এভেইলেবিলিটি বায়াস

  • অ্যান্থ্রোপসেন্ট্রিক থিংকিং : মানুষ ছাড়া অন্যান্য বায়োলজিকাল ফেনোমেনা বা তুলনামূলকভাবে কম পরিচিত বায়োলজিকাল ফেনোমেনাকে ব্যাখ্যা করার ক্ষেত্রে হিউম্যান অ্যানালজি, অর্থাৎ মানুষের তুলনা ব্যবহার করার প্রবণতা
  • অ্যান্থ্রোপমরফিজম বা পারসোনিফিকেশন : প্রাণী, বস্তু ও বিমূর্ত ধারণাগুলোতে মানুষের বৈশিষ্ট্য, আবেগ ও উদ্দেশ্য রয়েছে এরকম চিন্তা করার প্রবণতা। এর বিপরীত বায়াসটি হলো কোন ব্যক্তির ওপর অনুভূতি বা চিন্তা আরোপ না করার প্রবণতা যা ডিহিউম্যানাইজড পারসেপশন নামে পরিচিত যা অবজেক্টিফিকেশন এর একটি প্রকরণ।
  • অ্যাটেনশনাল বায়াস : কোন ব্যক্তির তার এটেনশনে থাকা কিছু সিলেক্টিভ ফ্যাক্টরের দ্বারা তার পারসেপশন বা উপলব্ধি প্রভাবিত হওয়ার প্রবণতা, যেকারণে ব্যক্তি তার মনের মধ্যে চলা চিন্তার প্রবাহের কারণে কোন ঘটনার বিকল্প সম্ভাবনাগুলোকে বিবেচনা করতে ব্যর্থ হয়।
  • অ্যাভেইলেবিলিটি হিউরিস্টিক : কোন ব্যক্তির মধ্যে যে স্মৃতি বেশি এভেইলেবল সেই ঘটনা ঘটার সম্ভাবনাকে ওভারএস্টিমেট করা, বা তা বেশি বেশি ঘটে বলে মনে করার প্রবণতা, আর কোন স্মৃতিকে বেশি এভেইলেবল মনে হবে তা নির্ভর করে সেই স্মৃতি কতটা সাম্প্রতিক বা কতটা আনইউজুয়াল বা অস্বাভাবিক বা তা কতটা আবেগকে প্রভাবিত করতে সক্ষম তার ওপর।
  • ফ্রিকোয়েন্সি ইল্যুশন কোন ঘটনা প্রথমবার বা হঠাৎ লক্ষ্য করার পর বারবার তা লক্ষ্য করা যাচ্ছে এমনটা ভাবা, আর তার ফলে সেই ঘটনাটি ঘটনার হারকে ওভারেস্টিমেট করা (একরকম সিলেকশন বায়াস), ব্যাডার-মেইনহফ ফেনোমেনন বা এফেক্ট নামেও পরিচিত।
  • ইমপ্লিসিট অ্যাসোসিয়েশন : কোন ব্যক্তি শব্দগুলোকে কতটা দ্রুতগতি মেলাতে পারে তা নির্ভর করবে সেই শব্দগুলো কত ঘনিষ্ঠভাবে একে অপরের সাথে সম্পর্কিত বলে তার মনে হচ্ছে তার ওপর
  • স্যালিয়েন্স বায়াস : অধিকতর স্পষ্ট বা আবেগীয়ভাবে লক্ষণীয় আইটেমগুলোতে বেশি করে নজর দেয়া আর উল্লেখযোগ্য নয় এমন আইটেমগুলোকে এড়িয়ে যাওয়া, যদিও আইটেমগুলোর মধ্যে এই পার্থক্য প্রায়ই অবজেক্টিভ স্ট্যান্ডার্ডে অপ্রাসঙ্গিক
  • সিলেকশন বায়াস : কোন স্ট্যাটিস্টিকাল স্যাম্পলের সদস্যদেরকে র‍্যান্ডমলি বা যাদৃচ্ছিকভাবে নির্বাচিত না করা হলে এই বায়াসটি সংঘটিত  হয়, এক্ষেত্রে স্যাম্পল আর পপুলেশনকে প্রতিনিধিত্ব করে না।
  • সারভাইভরশিপ বায়াস : কোন একটি প্রোসেসের মধ্যে গিয়ে “সারভাইভ” করেছে বা টিকে গেছে এমন মানুষকে বা বস্তুকে বেশি মনোযোগ দেয়া, কিন্তু যেসব মানুষ বা বস্তু তা করেনি তাদেরকে এড়িয়ে যাওয়া, কারণ তাদের ভিজিবিলিটির অভাব থাকে, অর্থাৎ তারা চোখে পড়েনা
  • ওয়েল ট্রাভেলড রোড এফেক্ট : চেনা রাস্তা দিয়ে গেলে যাত্রার সময়কালকে কম মনে হওয়া, কিন্তু অচেনা রাস্তা দিয়ে গেলে যাত্রার সময়কালকে বেশি মনে হওয়া

কনফার্মেশন বায়াস

  • ব্যাকফায়ার এফেক্ট : ব্যক্তির সামনে তার বিশ্বাসের বিরোধী কোন এভিডেন্স তুলে ধরলে তার পূর্বের বিশ্বাসই আরও শক্তিশালী করার প্রবণতা
  • কনফার্মেশন বায়াস : এমনভাবে কোন তথ্যের অনুসন্ধান, ব্যাখ্যা বা স্মরণ করার প্রবণতা যার দ্বারা ব্যক্তির পূর্বতন বিশ্বাসটি নিশ্চিত করা বা সাপোর্ট করার চেষ্টা করা হয়
  • কনগ্রুয়েন্স বায়াস : ব্যক্তির মধ্যে তার প্রথম হাইপোথিসিজের ওপর অন্যান্য বিকল্প হাইপোথিসিজের তুলনায় অধিকতর নির্ভরশীল হবার প্রবণতা, এক্ষেত্রে ব্যক্তি তার প্রাথমিক বিশ্বাসকে অপ্রমাণ করতে পারে এরকম এক্সপেরিমেন্ট করতে চান না
  • কন্টিনিউড ইনফ্লুয়েন্স এফেক্ট : পূর্ববর্তী কোন বিশ্বাস ভুল প্রমাণিত হবার পরও তা তার ওপর নির্ভর করার প্রবণতা, মিসইনফর্মেশনকে সঠিক করে দেয়া হলেও ব্যক্তির মধ্যে তার প্রভাব থেকে যেতে পারে
  • এক্সপেরিমেন্টারস বায়াস বা এক্সপেক্টেশন বায়াস : কোন পরীক্ষকের তার এক্সপেক্টেশন বা আশার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ তথ্য-উপাত্তকে গ্রহণ করার ও এক্সপেক্টেশনের সাথে সাংঘর্ষিক তথ্য-উপাত্তকে বর্জন করার প্রবণতা
  • অবজার্ভার-এক্সপেক্টেন্সি বায়াস : কোন পরীক্ষকের মধ্যে যদি এমন প্রবণতা থাকে যেকারণে তিনি অচেতনভাবে বা আনকনশাসলি তার এক্সপেক্টেশন বা প্রত্যাশা অনুযায়ী তার পরীক্ষাকে ম্যানিপুলেট করছেন বা সেই প্রত্যাশিত ফলাফল লাভ করা যায় এমনভাবে পরীক্ষায় প্রাপ্ত উপাত্তগুলোকে ব্যাখ্যা করছেন তাহলে এরকম বায়াস হয়
  • সিলেক্টিভ পারসেপশন : আমাদের মধ্যে আবেগীয় পীড়ন বা ইমোশনাল ডিসকম্ফোর্ট তৈরি করে, বা আমাদের পূর্বতন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে যায় এমন তথ্যকে এড়িয়ে যাওয়া, বা দ্রুত ভুলে যাবার প্রবণতা
  • সেমেলওয়েইস রিফ্লেক্স : প্রতিষ্ঠিত রীতি, নীতি, বিশ্বাস বা প্যারাডাইমের বিরুদ্ধে যায় বলে নতুন সাক্ষ্য-প্রমাণ বা নতুন জ্ঞানকে গ্রহণ না করার প্রবণতা

কনফর্মিটি বায়াস

  • অ্যাভেইলেবিলিটি ক্যাসকেড : পাবলিক ডিসকোর্সে কোন বিষয় বারবার প্রচারিত হলে বা এভেইলেবল হলে কালেক্টিভ বিলিফে তা অধিকতর বিশ্বাসযোগ্য হবার প্রবণতা, (“কোন কিছু বারবার রিপিট করতে থাকো যতক্ষণ না তা সত্যে পরিণত হয়”)
  • ব্যান্ডওয়াগন এফেক্ট : অন্যান্য লোকেরা একটি কাজ  করে বা একটি বিষয়ে বিশ্বাস করে বলে তা করা বা বিশ্বাস করার প্রবণতা, গ্রুপথিংক ও হার্ড বিহ্যাভিয়রের সাথে সম্পর্কিত
  • কার্টেসি বায়াস : কাউকে অফেন্ড না করার জন্য নিজের মতের চেয়ে অধিকতর সামাজিকভাবে সঠিক বা সোশ্যালি কারেক্ট মতামত দান করার প্রবণতা
  • গ্রুপথিংক : একটি গোষ্ঠীর মধ্যে হারমোনি (সঙ্গতি) ও কনফরমিটি (সকলের এক মত) রক্ষার ইচ্ছার জন্য অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ বা ডিসফাংশনাল ফলাফল আসে এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রবণতা, গ্রুপ মেম্বাররা কোন বিকল্প দৃষ্টিভঙ্গি বা মতের মূল্যায়ন না করে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব সর্বনিম্ন করতে চায় ও ঐকমত্য তৈরি করতে চায় এবং ভিন্ন মতগুলোকে দমন করতে চায়, আর তারা তা বহিরাগত প্রভাব থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন রেখে তা করে
  • সোশ্যাল ডিজায়ারেবিলিটি বায়াস : নিজের সামাজিকভাবে কাঙ্খিত বৈশিষ্ট্যগুলোকে ওভার-রিপোর্ট করার ও সামাজিকভাবে অনাকাঙ্ক্ষিত বৈশিষ্ট্যগুলোকে আন্ডার-রিপোর্ট করার প্রবণতা, কার্টিসি বায়াসের সাথে সম্পর্কিত

কগনিটিভ ডিজোনেন্স 

  • নরমালসি বায়াস : যে বিপদ পূর্বে কোনদিন ঘটেনি তাতে সাড়া দিতে বা তার জন্য পরিকল্পনা করতে অস্বীকার করার প্রবণতা
  • বেন ফ্রাঙ্কলিন এফেক্ট : কোন ব্যক্তি কাউকে একবার সাহায্য করার পর সেই ব্যক্তিকে পুনরায় সাহায্য করার প্রবণতা, কোন ব্যক্তির দ্বারা সাহায্য গ্রহণ করার পর বিনিময়ে তাকে সাহায্য করার প্রবণতার চেয়ে বেশি হবার প্রবণতা
  • IKEA এফেক্ট : কোন পণ্যকে যদি কোন ব্যক্তি আংশিকভাবে নিজেই তৈরি করে বা এসেম্বল করে তাহলে তা বিক্রির সময় সেই ব্যক্তির মধ্যে প্রোডাক্টের কোয়ালিটির তুলনায় অধিকতর দাম চাওয়ার প্রবণতা, এটি এফোর্ট জাস্টিফিকেশনের কারণে হয় যা আবার কগনিটিভ ডিজোনেন্সের কারণে ঘটে

ইগোসেন্ট্রিক বায়াস

  • ইগোসেন্ট্রিক বায়াস : বাস্তবতার চেয়ে নিজের সক্ষমতা বা দায়িত্বকে অন্যদের তুলনায় ওভারেস্টিমেট করার প্রবণতা
  • ফোরার এফেক্ট বা বার্নাম এফেক্ট : কোন পারসোনালিটি সংক্রান্ত বর্ণনা আদতে অস্পষ্ট ও বিশাল পরিসরের মানুষের জন্য প্রযোজ্য হলেও তা কোন বিশেষ ব্যক্তিকে উদ্দেশ্য করে তার জন্যই নির্দিষ্ট – এমনভাবে উপস্থাপন করা হলে সেই ব্যক্তির মধ্যে উক্ত বর্ণনাকে অধিকতর সঠিক বলে মনে করার প্রবণতা কাজ করে, অ্যাস্ট্রোলজি বা জ্যোতিষশাস্ত্র, ফরচুন টেলিং বা ভবিষ্যৎকথন, গ্রাফোলজি এবং বেশ কিছু পারসোনালিটি টেস্টের ক্ষেত্রেও এই বায়াসটি কাজ করে।
  • ইল্যুশন অফ কন্ট্রোল : কোন ব্যক্তির মধ্যে বিভিন্ন বিষয় বা ঘটনার ওপর তার নিয়ন্ত্রণের মাত্রাকে অন্যান্য এক্সটার্নাল ইভেন্টের তুলনায় ওভারেস্টিমেট করার প্রবণতা
  • ইল্যুশন অফ ভ্যালিডিটি : কোন ব্যক্তির তার জাজমেন্ট বা বিচারের সঠিকতাকে ওভারেস্টিমেট করার প্রবণতা, বিশেষ করে যখন এভেইলেবল ইনফরমেশনগুলো একে অপরের সাথে সম্পর্কিত বা সামঞ্জস্যপূর্ণ
  • ওভারকনফিডেন্স এফেক্ট : কোন প্রশ্নের ক্ষেত্রে নিজের উত্তর সঠিক হবার অতিমাত্রায় আত্মবিশ্বাস, উদাহরণস্বরপ দেখা যায়, কিছু টাইপের প্রশ্নের উত্তরের ক্ষেত্রে উত্তরদাতারা যেসব উত্তরকে ৯৯% সঠিক বলে মনে করে সেগুলো ৪০% ক্ষেত্রেই ভুল হতে দেখা যায়।
  • প্ল্যানিং ফ্যালাসি : কোন মানুষের তার টাস্ক কমপ্লিশন টাইম, অর্থাৎ যত সময়ে সে কোন কাজ সমাপ্ত করতে পারবে তা আন্ডারেস্টিমেট করার প্রবণতা, অর্থাৎ এক্ষেত্রে ব্যক্তির কোন কাজ শেষ করতে আসলে যতটা সময় লাগবে সে তা তার চেয়েও কম সময়ে শেষ করতে পারবে বলে মনে করা
  • রেস্ট্রেইন্ট বায়াস : কোন ব্যক্তির তার মধ্যকার লোভের প্রতি নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতাকে ওভারেস্টিমেট করার প্রবণতা
  • বায়াস ব্লাইন্ড স্পট : কোন ব্যক্তির নিজেকে অন্যদের তুলনায় কম বায়াসড বলে মনে করার, বা নিজের তুলনায় অন্যদেরকে অধিক পরিমাণে বায়াসড বলে মনে করার প্রবণতা
  • ফলস-কনসেন্সাস এফেক্ট : কোন ব্যক্তির সাথে অন্যেরা যতটা সম্মত হয়, সেই ব্যক্তির সাথে তারা তার থেকেও বেশি পরিমাণে সম্মত হয় বলে মনে করার প্রবণতা
  • ফলস-ইউনিকনেস বায়াস : কোন ব্যক্তির নিজেকে বা তার কাজকে অন্যদের বা অন্যদের কাজের তুলনায় অধিকতর স্বতন্ত্র বা ইউনিক বলে মনে করার প্রবণতা
  • ইল্যুশন অফ এসিমেট্রিক ইনসাইট : কোন ব্যক্তির সম্পর্কে তার সঙ্গীরা যতটা জানে, তার তুলনায় তিনি তার সঙ্গীদের সম্পর্কে বেশি জানেন এমনটা মনে করার প্রবণতা
  • ইল্যুশন অফ ট্রান্সপারেন্সি : কোন ব্যক্তির নিজের সাইকোলজিকাল মেন্টাল স্টেট অন্যদের কাছে কতটা পরিষ্কার সে সম্পর্কে ওভারেস্টিমেট করা, এই বায়াসের আরেকটি প্রকাশ হচ্ছে, অন্য ব্যক্তিদের সাইকোলজিকাল মেন্টাল স্টেট কোন ব্যক্তির কাছে কতটা পরিষ্কার তা সম্পর্কে তার ওভারেস্টিমেট করার প্রবণতা
  • ইল্যুসরি সুপিরিয়রিটি : অন্য ব্যক্তিদের তুলনায় নিজের আকর্ষণীয় গুণগুলোকে ওভারেস্টিমেট করা ও অনাকর্ষণীয় গুণগুলোকে আন্ডারেস্টিমেট করা, লেক ওবেগন এফেক্ট, বেটার দ্যান এভারেজ এফেক্ট ও সুপিরিয়রিটি বায়াস নামেও পরিচিত।
  • নাইভ সিনিসিজম : অন্যদের ইগোসেন্ট্রিক বায়াস নিজের চেয়ে বেশি বমে মনে করার বায়াস
  • নাইভ রিয়ালিজম : আমরা বাস্তবকে বাস্তব বা অবজেক্টিভ হিসেবেই দেখি, ফ্যাক্টগুলো সকলের কাছে পরিষ্কার, যৌক্তিক মানুষেরা আমাদের সাথে একমত হবে, আর যারা এমনটা নয় তারা হয় আসল তথ্য সম্পর্কে জানে না, নয় অলস বা অযৌক্তিক বা বায়াসড – এমন মনে করার প্রবণতা
  • ট্রেইট এস্ক্রিপশন বায়াস : ব্যক্তিত্ব, আচরণ ও মুড বিচারের ক্ষেত্রে নিজেকে তুলনামূলকভাবে ভেরিয়েবল বা আনপ্রেডিক্টেবল ও অন্যদেরকে প্রেডিক্টেবল বলে মনে করার প্রবণতা
  • থার্ড-পারসন এফেক্ট : একটি সাম্ভাব্য বায়াস যার কারণে মাস কমিউনিকেটেড মিডিয়ার বার্তাগুলো নিজের চেয়ে অন্যদেরকে বেশি প্রভাবিত করবে বলে মনে হয়

এক্সটেনশন নেগলেক্ট

  • বেস রেট ফ্যালাসি বা বেস রেট নেগলেক্ট : সাধারণ বা জেনারেল তথ্যকে এড়িয়ে গিয়ে কেবল বিশেষ বা স্পেসিফিক কেইসগুলোকে গ্রহণ করার প্রবণতা, এমনকি যখন জেনারেল ইনফরমেশন বেশি গুরুত্বপূর্ণ বা প্রাসঙ্গিক হয়
  • কমপ্যাশন ফেইড : চিহ্নিত করা যায়, অর্থাৎ আইডেন্টিফায়েবল এমন ক্ষুদ্র সংখ্যক ভিক্টিমের প্রতি বিশাল সংখ্যক অজানা ভিক্টিমের তুলনায় অধিকতর কম্প্যাশনেটলি আচরণ করার প্রবণতা
  • কনজাংকশন ফ্যালাসি : বিশেষ বা স্পেসিফিক কন্ডিশনগুলোকে একই কন্ডিশনের অধিকতর জেনারেল ভারশন এর তুলনায় অপেক্ষাকৃত সম্ভবপর বলে মনে করার প্রবণতা
  • ডিউরেশন নেগলেক্ট : কোন বেদনাদায়ক বা অসন্তোষজনক অভিজ্ঞতার শিকার হবার পরও সেই অভিজ্ঞতা খুব ক্ষুদ্র সময়ের জন্য অনুভূত হয়েছিল বলে তা এড়িয়ে যাবার প্রবণতা
  • হাইপারবোলিক ডিসকাউন্টিং : পরবর্তী লাভের তুলনায় বর্তমানে লাভকে অধিক পছন্দ করার প্রবণতা, এটি কারেন্ট মোমেন্ট বায়াস, প্রেজেন্ট বায়াস হিসেবেও পরিচিত, এবং ডাইনামিক ইনকনসিস্টেন্সির সাথে সম্পর্কিত, উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, গবেষণায় দেখা গেছে, ৭৪% লোক পরের সপ্তাহে খাদ্যের জন্য ফল নির্বাচন করে, কিন্তু ৭০% মানুষ আজকে খাবার জন্য চকোলেট নির্বাচন করে
  • ইনসেন্সিটিভিটি টু স্যাম্পল সাইজ : ক্ষুদ্র স্যাম্পলের ভেরিয়েশনকে আন্ডারেস্টিমেট করা, অর্থাৎ স্যাম্পল সাইজকে বিচার না করেই স্যাম্পল স্ট্যাটিস্টিক্সের হিসাব করার প্রবণতা
  • লেস ইস বেটার এফেক্ট : কোন কিছু আলাদা আলাদাভাবে মূল্যায়ন করার ক্ষেত্রে (একত্রে নয়) অধিকতর বড় সেটের বদলে ক্ষুদ্র সেটকে পছন্দ করার প্রবণতা
  • নেগলেক্ট অফ প্রোবাবিলিটি : অনিশ্চয়তার মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষেত্রে প্রোবাবিলিটি বা সম্ভাব্যতাকে এড়িয়ে যাবার প্রবণতা
  • স্কোপ নেগলেক্ট বা স্কোপ ইনসেন্সিটিভিটি : কোন সমস্যাকে মূল্যায়ন করার সময় সেই সমস্যার আকার নিয়ে বিবেচনা না করার প্রবণতা
  • জিরো-রিস্ক বায়াস : বিশাল ঝুঁকির সম্ভাবনাকে অধিক মাত্রায় হ্রাস করার তুলনায় সামান্য ঝুঁকিকে জিরো বা ঝুঁকিহীন করার প্রবণতা

ফলস প্রায়োরস

  • এজেন্ট ডিটেকশন : কোন ঘটনায় একটি বুদ্ধিদীপ্ত বা চেতনাময় সত্তার দ্বারা উদ্দেশ্যপূর্ণ হস্তক্ষেপ ধরে নেবার প্রবণতা
  • অটোমেশন বায়াস : অতিমাত্রায় স্বয়ংক্রীয় ব্যবস্থায় নির্ভরশীল হবার প্রবণতা, যা ভুল অটোমেটেড তথ্যের দিকে আমাদেরকে নিয়ে যায়, যেটা সঠিক সিদ্ধান্তকে অগ্রাহ্য বা বাতিল করে দেয়
  • জেন্ডার বায়াস : আমাদের অন্তর্নিহিত বায়াসসমূহের একটি বহুলচর্চিত সমষ্টি যা একটি লিঙ্গের প্রতি বৈষম্য প্রদর্শন করে। যেমন, “উচ্চ বৌদ্ধিক দক্ষতার প্রয়োজন এমন চাকরিতে নারীরা কম উপযোগী” এরকম ধারণা বা কোন প্রাণী বা মানুষের জেন্ডার উল্লেখ না থাকলে তাকে পুরুষ বলে ধরে নেয়া।
  • স্টেরিওটাইপিং : কোন ব্যক্তি সম্পর্কে প্রকৃত তথ্য না সেই ব্যক্তি কোন গ্রুপ বা গোষ্ঠীর সদস্য সেই অনুযায়ী তার ওপর নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য আরোপ করা
  • সেক্সুয়াল ওভারপ্রোটেকশন বায়াস বা সেক্সুয়াল আন্ডারপ্রোটেকশন বায়াস : কোন ব্যক্তির অন্য ব্যক্তির ওপর সেক্সুয়াল ইন্টারেস্ট বা যৌন আগ্রহকে ওভারএস্টিমেট বা আন্ডারএস্টিমেট করা

ফ্রেমিং এফেক্ট

  • ফ্রেমিং এফেক্ট : কিভাবে একটি তথ্য উপস্থাপন করা হচ্ছে তার ওপর নির্ভর করে একই তথ্য থেকে ভিন্ন ভিন্ন সিদ্ধান্তে আসার প্রবণতা
  • কনস্ট্রাস্ট এফেক্ট : কোন সম্প্রতি পর্যবেক্ষণ করা তুলনামূলক বস্তুর সাথে তুলনা করে নির্দিষ্ট স্টিমুলাসের বোধের হ্রাস বা বৃদ্ধির প্রবণতা
  • ডিকয় এফেক্ট : কোন ব্যক্তিকে প্রথমে অপশন ক ও অপশন খ দেয়া হলে তিনি যেটাকে বাছাই করেন, এসিমিট্রিকালি ডোমিনেটেড অপশন হিসেবে অপশন গ দিলে সেই বাছাই এর পরিবর্তন ঘটে, যদি অপশন গ এমন হয় যে এটি অপশন খ এর চেয়ে সব দিক থেকে নিম্নমানের, কিন্তু অপশন ক এর থেকে কিছু ক্ষেত্রে নিম্নমানের ও কিছু ক্ষেত্রে উচ্চমানের, তাহলে ব্যক্তির অপশন খ বেছে নেবার প্রবণতা কাজ করে
  • ডিফল্ট এফেক্ট : কোন ব্যক্তিকে একাধিক অপশনের মধ্যে বাছাই করার সুযোগ দেয়া হলে তার মধ্যে ডিফল্ট অপশন বাছাই করার প্রবণতা কাজ করে
  • ডিনোমিনেশন এফেক্ট : একই পরিমাণ অর্থ ছোট একাউন্টে আখ্যায়িত হলে (খুচরা করা হলে) তা অধিক মাত্রায় খরচ করার প্রবণতা কাজ করে
  • ডিস্টিংকশন বায়াস : দুটো অপশনকে আলাদা আলাদাভাবে মূল্যায়ন না করে এক সাথে মূল্যায়ন করা হলে উভয় অপশনকে অধিক পরিমাণে একে অপরের থেকে ভিন্ন বলে মনে হয়

ইনগ্রুপ বায়াস

  • ইনগ্রুপ বায়াস : নিজের গ্রুপের লোকেদের প্রতি পক্ষপাত দেখানোর প্রবণতা
  • নট ইনভেন্টেড হেয়ার : কোন গ্রুপের বাইরের প্রোডাক্ট, রিসার্চ, স্ট্যান্ডার্ড বা জ্ঞানের প্রতি বিতৃষ্ণা দেখানোর প্রবণতা, IKEA এফেক্টের সাথে সম্পর্কিত
  • আউটগ্রুপ হোমোজেনিটি বায়াস : নিজের গ্রুপের মেম্বারদেরকে তুলনামূলকভাবে বিচিত্র ও অন্য গ্রুপের মেম্বারদেরকে তুলনামূলকভাবে একরূপ ভাবার প্রবণতা

লজিকাল ফ্যালাসি

  • বার্কসনস প্যারাডক্স : কন্ডিশনাল প্রোবাবিলিটি সংবলিত স্ট্যাটিস্টিকাল এক্সপেরিমেন্টগুলোকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করার প্রবণতা
  • গ্যাম্বলারস ফ্যালাসি : ভবিষ্যতে কোন কিছুর সম্ভাবনা অতীতের কোন ঘটনার দ্বারা প্রভাবিত হয় এমন ভাবার প্রবণতা, ল অফ লার্জ নাম্বার্সকে ভুলভাবে বোঝার জন্য এটি ঘটে, উদাহরণস্বরূপ, কয়েন টসিং-এ কারও পরপর পাঁচবার হেড পড়লে পরের বারে টেইল পড়ার সম্ভাবনা বেশি এমনটা মনে করা
  • হট-হ্যান্ড ফ্যালাসি : কোন র‍্যান্ডম ইভেন্টে ইতিমধ্যে সাফল্য অর্জিত হলে পরের বারও সাফল্য অর্জিত হবে এমন মনে করার প্রবণতা
  • ইলিসিট ট্রান্সফারেন্স : ডিস্ট্রিবিউটিভ সেন্স (একটি ক্লাসের সকলকে বোঝাতে) ও কালেক্টিভ সেন্স (গোটা ক্লাসকেই বোঝাতে) ব্যবহৃত টার্মকে একই মনে করার প্রবণতা, ফ্যালাসি অফ কম্পোজিশন ও ফ্যালাসি অফ ডিভিশন হলো এই বায়াসের দুটো ভেরিয়েন্ট, প্রথম ক্ষেত্রে কোন একটি জিনিসের কিছু অংশ সত্য হলে পুরো জিনিসকে সত্য বলে মনে করা হয়, দ্বিতীয় ক্ষেত্রে পূর্ণাঙ্গ অংশের জন্য কোন কিছু সত্য হলে তার প্রতিটি পার্টের জন্যেও তাকে সত্য মনে করা হয়
  • ইর‍্যাশনাল এক্সকেলেশন বা এসক্যালেশন অফ কমিটমেন্ট বা সাংক কস্ট ফ্যালাসি : নতুন পাওয়া এভিডেন্স অনুসারে একটি জায়গায় পুনরায় ইনভেস্ট করা ভুল হবে বলে প্রমাণিত হলেও পূর্বে লাগাতার একটা জিনিসে ইনভেস্ট করেছি দেখিয়ে নতুন ইনভেস্টমেন্টকে জাস্টিফাই করার প্রবণতা
  • প্ল্যান কন্টিনুয়েশন বায়াস : নতুন পরিস্থিতির কারণে পূর্বের প্ল্যান যে আর কাজ করবে না, বা যেমনটা ঘটবে বলে ধারণা করা হয়েছিল, তেমনটা পরিস্থিতি আর না থাকার ফলে আগের প্ল্যানটি যে আর খাটবে না সেটা বোঝার ব্যর্থতা
  • সাবএডিটিভিটি এফেক্ট : পূর্ণাঙ্গ অংশের সম্ভাব্যতাকে অংশবিশেষের সম্ভাব্যতার তুলনায় কম মূল্যায়ন করার প্রবণতা
  • টাইম-সেভিং বায়াস : নিম্নবেগ থেকে বেগের হ্রাসবৃদ্ধির ক্ষেত্রে যে টাইম সেইভ বা লুজ করা সম্ভব তাকে আন্ডারেস্টিমেট করা, এবং উচ্চবেগ থেকে বেগের হ্রাসবৃদ্ধির ক্ষেত্রে যে টাইম সেইভ বা লুজ করা সম্ভব তাকে ওভারেস্টিমেট করার প্রবণতা
  • জিরো-সাম বায়াস : কোন পরিস্থিতিকে ভুলভাবে জিরো-সাম গেইম, অর্থাৎ একজনের ক্ষতি হলেই আরেকজনের লাভ হবে, অর্থাৎ মোট লাভ শূন্য হবে এমনটা মনে করার প্রবণতা

প্রোস্পেক্ট থিওরি

  • অ্যাম্বিগুইটি এফেক্ট : যেসব অপশন চুজ করলে আমার অনুকূল ফল আসবে না সেই সব অপশনকে এড়িয়ে যাওয়া
  • ডিসপোজিশন এফেক্ট : মূল্য বেড়ে গেছে এমন সম্পত্তি বিক্রি করার এবং মূল্য কমে গেছে এমন সম্পত্তি বিক্রয় না করার প্রবণতা
  • ড্রেড এভারশন : ভবিষ্যতে কিছু লাভের আনন্দের দ্বারা আবেগীয়ভাবে প্রভাবিত হবার থেকে ভবিষ্যতে কিছু হারাবার ভয়ের দ্বারা বেশি পরিমাণে আবেগীয়ভাবে প্রভাবিত হবার প্রবণতা
  • এনডোউমেন্ট এফেক্ট : কোন ব্যক্তির অধিকারভূক্ত কোন বস্তুকে ধরে রাখার ইচ্ছা একই বস্তু কিনতে চাওয়ার চেয়ে বেশি, অর্থাৎ ব্যক্তি নিজে যে অর্থ দিয়ে কোন জিনিস ক্রয় করবে, একই অধিকারভুক্ত জিনিস বিক্রয় করার জন্য তার চাইতেও বেশি অর্থ চাইবে – এমন প্রবণতা
  • লস এভারশন : কোন অধিকারভুক্ত জিনিস হারানোকে এড়ানোর ইচ্ছা, একই অনধিকারভুক্ত জিনিসকে অর্জন করার ইচ্ছার চেয়ে বেশি – এমন প্রবণতা (সাংক কস্ট এফেক্টএনডোউমেন্ট এফেক্ট এর সাথে সম্পর্কিত)
  • স্যুডোসার্টেইনটি এফেক্ট : প্রত্যাশিত ফল নেতিবাচক হলে ঝুঁকিহীন অপশন গ্রহণ করা, কিন্তু প্রত্যাশিত ফল ইতিবাচক হলে ঝুঁকিপূর্ণ অপশন গ্রহণ করার প্রবণতা
  • স্ট্যাটাস কুও বায়াস : একটি জিনিস যেভাবে আছে তা সেভাবেই থাকুক এমন প্রবণতা (লস এভারশনএনডোউমেন্ট এফেক্ট, ও সিস্টেম জাস্টিফিকেশন এর সাথে সম্পর্ক আছে)
  • সিস্টেম জাস্টিফিকেশন : স্ট্যাটাস কুওকে ডিফেন্ড বা শক্তিশালী করার প্রবণতা। বিদ্যমান সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখার প্রবণতা দেখা যায়, এবং এর বিকল্পসমূহকে অবজ্ঞা করা হয়, এমনকি ব্যক্তিগত বা সমষ্টিগত স্বার্থকে বিষর্জন দিয়েও বিদ্যমান ব্যবস্থাকে রক্ষা করার প্রবণতা দেখা যায়। (স্ট্যাটাস কুও বায়াসের সাথে সম্পর্ক আছে)।

ট্রুথিনেস

  • বিলিফ বায়াস : কোন আর্গুমেন্টের উপসংহারের বিশ্বাসযোগ্যতা কতখানি তার ওপর ভিত্তি করে আর্গুমেন্টটির যৌক্তিক শক্তি বিচার করার প্রবণতা
  • ইল্যুসরি ট্রুথ এফেক্ট : কোন বক্তব্য অধিকতর বোধগম্য হলে, বা অধিক পরিমাণে উক্ত হলে তা অধিক পরিমাণে বিশ্বাস করার প্রবণতা, অর্থাৎ যে তথ্য ব্যক্তি বেশি শুনেছে তাকে সত্য বলে মনে করার প্রবণতা, তথ্যটির একচুয়াল ভ্যালিডিটি না থাকলেও, অন্য কথায় মানুষ অপরিচিত বিষয়ের চেয়ে পরিচিত বিষয়ে বেশি বিশ্বাস স্থাপন করে
  • রাইম এজ রিজন এফেক্ট : ছন্দবদ্ধ বক্তব্য অধিকতর সত্য বলে মনে করার প্রবণতা
  • সাবজেক্টিভ ভ্যালিডেশন : কোন বক্তব্য যদি কোন ব্যক্তির কাছে বিশেষভাবে মূল্যবান হয়, বা বিশেষ অর্থ বহন করে তবে তাকে সত্য বলে মনে করার প্রবণতা

অন্যান্য

বিলিফ, ডিসিশন-মেকিং ও বিহ্যাভিওরাল বায়াস

  • এডিটিভ বায়াস : যোগ করার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের প্রবণতা, এমনকি যদি যোগ করার বদলে বিয়োগ করা সমস্যা সমাধানের অধিকতর ভাল উপায় হয় সেক্ষেত্রেও
  • এট্রিবিউট সাবস্টিটিউশন : জটিল সমস্যা নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে অধিকতর সহজপন্থা বা হিউরিস্টিকের মাধ্যমে সমাধান খোঁজার চেষ্টা, সাবস্টিটিউশন বায়াস নামেও পরিচিত
  • কার্স অফ নলেজ : কম জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তির তুলনায় অধিক জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তির কোন সমস্যা সম্পর্কে চিন্তা করা অধিকতর কঠিন হবার ফেনোমেনা
  • ডেক্লিনিজম : অতীতকে ইতিবাচকভাবে (রোজি রেট্রোস্পেকশন) ও ভবিষ্যৎকে নেতিবাচকভাবে দেখার প্রবণতা
  • ডানিং-ক্রুগার এফেক্ট : অদক্ষ ব্যক্তির নিজের সক্ষমতাকে ওভারেস্টিমেট করার ও দক্ষ ব্যক্তির নিজের সক্ষমতাকে আন্ডারেস্টিমেট করার প্রবণতা
  • এম্প্যাথি গ্যাপ : নিজের বা অন্যের মধ্যে অনুভূতির শক্তি বা প্রভাবকে আন্ডারেস্টিমেট করার প্রবণতা
  • এন্ড-অফ-হিস্টোরি ইল্যুশন : অতীত থেকে বর্তমানে ব্যক্তি যে পরিমাণে পরিবর্তিত হয়েছে, বর্তমান থেকে ভবিষ্যতে ব্যক্তি তার থেকে কম পরিবর্তিত হবে এমন প্রবণতা যা সকল বয়সেই কাজ করে
  • একজাজারেটেড এক্সপেক্টেশন : আসলে যে ফল হয়, তার থেকে চরম মাত্রার ফল আশা করা বা প্রেডিক্ট করার প্রবণতা
  • ফর্ম ফাংশন এট্রিবিউশন বায়াস : মানুষ-রোবটের মধ্যে ইন্টারেকশনের ক্ষেত্রে রোবটের সাথে ইন্টারেক্ট করার ক্ষেত্রে মানুষের সিস্টেমেটিক এরর করার প্রবণতা, সেক্ষেত্রে মানুষ রোবটের এপিয়ারেন্স দেখে তার ফাংশনকে এট্রিবিউট করতে চায়
  • হার্ড-ইজি এফেক্ট : কঠিন কাজে সাফল্য অর্জন করার ক্ষমতাকে ওভারেস্টিমেট করার ও সহজ কাজে সাফল্য অর্জন করার ক্ষমতাকে আন্ডারেস্টিমেট করার প্রবণতা
  • হিন্ডসাইট বায়াস : কোন ঘটনা ঘটার পর সেই ঘটনাকে প্রেডিক্টেবল বলে ভাবার প্রবণতা, “আই-নিউ-ইট-অল-এলং” এফেক্ট নামেও পরিচিত
  • ইম্প্যাক্ট বায়াস : ভবিষ্যতের ইমোশনাল স্টেটের স্থায়িত্ব বা মাত্রাকে ওভারেস্টিমেট করার প্রবণতা
  • ইনফরমেশন বায়াস : কোন কাজে ইনফরমেশন কোন কাজে না এলেও ইনফরমেশন খোঁজার প্রবণতা
  • ইন্টারোসেপ্টিভ বায়াস : শরীরের সেন্সরি ইনপুটের দ্বারা জাজমেন্ট প্রভাবিত হবার প্রবণতা, যেমন ভোজন ও বিশ্রামের পর প্যারোল জাজেরা তুলনামূলক ক্ষমাশীল আচরণ করে
  • মেয়ার এক্সপোজার এফেক্ট : কোন কিছুর সাথে পরিচয় থাকার জন্য তাকে অধিকতর অপশন হিসেবে অধিকতর পছন্দ করার প্রবণতা, ফ্যামিলিয়ারিটি প্রিন্সিপল নামেও পরিচিত
  • মানি ইল্যুশন : অর্থের পারচেসিং পাওয়ারের চেয়ে এর নমিনাল ভেল্যু এর দিকে অধিকতর মনোযোগ দেবার প্রবণতা
  • মোরাল ক্রিডেনশিয়াল এফেক্ট : কোন একটি ভাল কাজ করার পর, ভবিষ্যতে নিজেকে কম ভাল কাজ করলেও চলবে এমনটা ভাবার প্রবণতা
  • নন-এডাপ্টিভ চয়েস সুইচিং : কোন সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষেত্রে একটি অপশন বাছাই এর পর বাজে ফল আসার পর, পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সেই অপশন বাছাই না করার প্রবণতা, যদিও পূর্বের ক্ষেত্রে সেই বাছাইটিই অপটিমাল বা সবচেয়ে ভাল চয়েস ছিল, ওয়ান্স বিটেন টোয়াইস শাই বা হট স্টোভ এফেক্ট নামেও পরিচিত
  • ওমিশন বায়াস : কোন ক্ষতিকর কাজ করাকে কোন কাজ না করার কারণে ক্ষতি হবার তুলনায়, অর্থাৎ কমিশনকে ওমিশনের তুলনায় অধিকতর খারাপ বা অনৈতিক বলে মনে করা
  • অপটিমিজম বায়াস : ওভার-অপ্টিমিস্টিক হবার প্রবণতা, অর্থাৎ কোন কাজের অনাকাঙ্ক্ষিত ফল আসার সম্ভাবনাকে আন্ডারেস্টিমেট ও কাঙ্ক্ষিত ফল আসার সম্ভাবনাকে ওভারেস্টিমেট করা
  • অস্ট্রিচ এফেক্ট : অনিবার্য (নেতিবাচক) পরিস্থিতিকে ইগনোর করার প্রবণতা
  • আউটকাম বায়াস : কোন ডিসিশনকে তার কোয়ালিটি দিয়ে বিচার না করে ডিসিশনের ফল কী হলো তার ভিত্তিতে  সেই ডিসিশনকে বিচার করার প্রবণতা
  • পেসিমিজম বায়াস : কোন কোন মানুষের ক্ষেত্রে, বিশেষ করে ডিপ্রেশনে ভোগা মানুষের ক্ষেত্রে, তাদের সাথে নেতিবাচক ফলাফল আসার সম্ভাবনাকে ওভারেস্টিমেট করা
  • প্রেসেন্ট বায়াস : ভবিষ্যতে বৃহৎ উপহার বা লাভের জন্য অপেক্ষা করার চেয়ে বর্তমানে ক্ষুদ্রুতর উপহার বা লাভকে বাছাই করার প্রবণতা
  • প্ল্যান্ট ব্লাইন্ডনেস : উদ্ভিদকে তাদের পরিবেশে ইগনোর করার এবং পৃথিবীর বেঁচে থাকার জন্য উদ্ভিদের গুরুত্বকে স্বীকার ও এপ্রিশিয়েট করতে ব্যর্থ হওয়া
  • প্রিভেনশন বায়াস : রিস্ক এড়ানোর জন্য ইনভেস্টমেন্টের ক্ষেত্রে আগে থেকে প্রিভেনশনের জন্য ইনভেস্ট ও ঠিক সময়ে ইনভেস্ট ও রেসপন্স একইভাবে কার্যকরী হলেও মানুষের আগে থেকেই রিস্ক প্রিভেনশনের জন্য ইনভেস্ট করে রাখার প্রবণতা
  • প্রোবাবিলিটি ম্যাচিং : চয়েস করার প্রোবাবিলিটির সাথে রিওয়ার্ড পাওয়ার প্রোবাবিলিটি মিলিয়ে দিয়ে সাব-অপটিমাল সিদ্ধান্ত গ্রহণ, অর্থাৎ সর্বোত্তম সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করার প্রবণতা
  • প্রো-ইনোভেশন বায়াস : নতুন আবিষ্কারের উপকারিতা নিয়ে অতিমাত্রায় আশাবাদ রাখার প্রবণতা, যেখানে এর সীমাবদ্ধতা ও দুর্বলতা চিহ্নিত করতে প্রায়শই ব্যর্থতা দেখা যায়
  • প্রোজেকশন বায়াস : আমরা বর্তমানে যা পছন্দ করছি ভবিষ্যতে তাই পছন্দ করব এই বিষয়ে ওভারেস্টিমেট করার প্রবণতা
  • প্রোপরশনালিটি বায়াস : বড় ইভেন্টের বড় কারণ থাকবে এরকম ভাবার প্রবণতা, এই কারণেই মানুষ কনস্পিরেসি থিওরিতে বিশ্বাস করে
  • রিসেন্সি ইল্যুশন : একটি ভাষা বা একটি শব্দের ব্যবহার তুলনামূলকভাবে অধুনা উদ্ভুত বলে মনে করার প্রবণতা যেখানে এটি দীর্ঘদিন ধরেই প্রতিষ্ঠিত
  • স্পটলাইট এফেক্ট : অন্যেরা নিজের এপিয়ারেন্স বা আচরণ কিরকম নোটিশ করছে তা ওভারেস্টিমেট করার প্রবণতা
  • সিস্টেমেটিক বায়াস : ডিফারেনশিয়েটিং জাজমেন্টের টারগেটরা এমন রিগ্রেশনের এফেক্টে পতিত হলে এই বায়াস হয় যখন সেগুলো ইকুইভ্যালেন্ট নয়
  • পেল্টজম্যান এফেক্ট : উপলব্ধ নিরাপত্তা বৃদ্ধি পেলে বড় ঝুঁকি গ্রহণের প্রবণতা, রিস্ক কম্পেনসেশন নামেও পরিচিত
  • সারোগেশন : কনস্ট্রাক্ট অফ ইন্টারেস্ট প্রাপ্তির উপায়কেই কনস্ট্রাক্ট অফ ইন্টারেস্ট বানানোর প্রবণতা
  • পারকিনসন্স ল অফ ট্রিভিয়ালিটি : ট্রিভিয়াল বা নগন্য ইস্যুতে মাত্রাতিরিক্ত মনোযোগ দেয়ার প্রবণতা
  • আনকনশাস বায়াস : ইমপ্লিসিট বায়াস নামেও পরিচিত, কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর ওপর অচেতনভাবেই কোন দোষ বা গুণ আরোপ করার প্রবণতা যা বোঝাপড়া ও সম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে
  • ইউনিট বায়াস : ভোগ বা কনজাম্পশনের ক্ষেত্রে স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে সাজেস্ট করা পরিমাণকে সঠিক বলে মনে করার প্রবণতা, যার ফলে কোন ব্যক্তিকে দেয়া স্ট্যান্ডার্ড পরিমাণ বা সাইজের কিছু দেয়া হলে যদি সেটা তার জন্য অনেক বেশি হয়ও তাহলেও তিনি সেটা ভোগ বা কনজিউম করতে চান
  • ওয়েবার-ফেচনার ল : বড় পরিমাণের ক্ষেত্রে ছোট ছোট পার্থক্যের মধ্যে তুলনা করার ব্যর্থতা
  • উইমেন আর ওয়ান্ডারফুল এফেক্ট : পুরুষের তুলনায় নারীর ওপর অধিকতর ইতিবাচক গুণ আরোপ করার প্রবণতা

সোশ্যাল বায়াস

  • গ্রুপ এট্রিবিউশন এরর : কোন গ্রুপের একজন সদস্যের বৈশিষ্ট্য সমগ্র গ্রুপের ওপর আরোপ করার, গ্রুপের ডিসিশন প্রত্যেক গ্রুপ মেম্বারের ইচ্ছা বলে এজিউম করার প্রবণতা যদিও এভেইলেবল তথ্য ভিন্ন বিষয় সাজেস্ট করে
  • পিগম্যালিয়ন এফেক্ট : কোন ব্যক্তির ওপর অন্যদের প্রত্যাশা সেই ব্যক্তির পারফরমেন্সকে প্রভাবিত করার প্রভাব ফেলার প্রবণতা, রোজেনথাল এফেক্ট নামেও পরিচিত
  • রিয়েক্টেন্স : কোন ব্যক্তির কাছ থেকে প্রয়োজনে অন্যেরা যা আশা করে তার বিপরীত কাজ করার প্রবণতা, কেননা তখন ব্যক্তির মনে হয় তার কোন উপায়কে পছন্দ করার স্বাধীনতাকে কমিয়ে দেয়া হচ্ছে
  • রিয়েক্টিভ ডিভ্যালুয়েশন : কোন প্রস্তাব শত্রুভাবাপন্ন লোকের মাথা থেকে উদ্ভুত হলে তার মানকে অবমূল্যায়ন করার প্রবণতা
  • সেইং ইস বিলিভিং এফেক্ট : একটি সোশ্যালি টিউনড মেসেজকে কোন অডিয়েন্সের কাছে নিয়ে গেলে সেই অডিয়েন্সের কাছে সেই টিউনড মেসেজটি তার নিজের চিন্তা বলে মনে হওয়া
  • সোশ্যাল কম্প্যারিজন বায়াস : কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে এমন ক্যান্ডিটেটদেরকে ফেভর করা যারা যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে তার বিশেষ শক্তির দিকের সাথে প্রতিযোগিতায় নেই
  • শেয়ারড ইনফর্মেশন বায়াস : কোন গোষ্ঠীর সদস্যদের সেই সব তথ্যের ব্যাপারে আলোচনাতেই অধিকতর সময় ও শ্রম দেয়া যা সকলেই জানে, কিন্তু সেই সব তথ্য নিয়ে ডিসকাশন ও আলোচনাতে কম সময় দেয়া যা গোষ্ঠীর কম সংখ্যক লোক জানে
  • ওর্স-দেন-এভারেজ এফেক্ট : কঠিন কাজের ক্ষেত্রে নিজেদেরকে অন্যদের চেয়ে খারাপ বলে মনে করার প্রবণতা

মেমোরি বায়াস

  • এভেইলেবিলিটি বায়াস : সাম্প্রতিক, কাছের বা অন্যরকম এভেইলেবল বিষয়গুলো বেশি মনে থাকার প্রবণতা ও সেগুলোকে অন্যান্য এক্সাম্পলের চেয়ে বেশি নিন্দা করা
  • বিজারনেস এফেক্ট : উদ্ভট বিষয়গুলো সাধারণ বিষয়গুলোর থেকে বেশি মনে থাকে
  • বাউন্ডারি এক্সটেনশন : ফোরগ্রাউন্ডের চেয়ে ব্যাকগ্রাউন্ড ইমেজকে অধিকতর বৃহৎ বলে মনে করার প্রবণতা
  • চাইল্ডহুড এমনেশিয়া : চার বছরের আগের স্মৃতি খুব কম মনে থাকা
  • চয়েস-সাপোর্টিভ বায়াস : কোন বিষয় ব্যক্তির পছন্দ হলে তা বেশি মনে থাকার প্রবণতা
  • কনজারভেটিজম : স্মৃতি চরম বা এক্সট্রিম হয়না বলে উচ্চ সম্ভাবনা বা উচ্চ হারের বিষয় তুলনামূলকভাবে নিম্ন সম্ভাবনা ও নিম্ন হার হিসেবে ও নিম্ন সম্ভাবনা বা নিম্ন হারের বিষয়গুলো তুলনামূলকভাবে উচ্চ সম্ভাবনা ও উচ্চ হার হিসেবে মনে রাখার প্রবণতা, রিগ্রেসিভ বায়াসও বলা হয়
  • কনফার্মেশন বায়াস : এমন ইনফরমেশন স্মরণ করা, অনুসন্ধান করা বা ব্যাখ্যা করা যা নিজের বিশ্বাস বা হাইপোথিসিজকে কনফার্ম করে
  • কনসিস্টেন্সি বায়াস : নিজের বর্তমান প্রবণতা ও আচরণের সাথে মিলিয়ে অতীতের প্রবণতা ও আচরণকে ভুলভাবে স্মরণ করা
  • কনটেক্সট এফেক্ট : কগনিশন ও মেমোরি কনটেক্সটের ওপর নির্ভর করে, তাই আউট অফ কনটেক্সট মেমোরি স্মরণ করা কঠিন, যেমন কাজের সাথে জড়িত স্মৃতি ঘরে বসে স্মরণ করা কঠিন
  • ক্রস-রেস এফেক্ট : নিজের রেইস বা বর্ণের লোকেদের চেয়ে অন্য রেস বা বর্ণের লোকেদের স্মরণ করা কঠিন
  • ইগোসেন্ট্রিক বায়াস : অতীতকে সেলফ-সার্ভিং ম্যানারে স্মরণ করার প্রবণতা (যেমন অতীতে নিজের পরীক্ষার মার্ককে ভাল বলে মনে করার প্রবণতা)
  • ফেডিং এফেক্ট বায়াস : নেতিবাচক ইমোশনের সাথে জড়িত বা অনাকাঙ্ক্ষিত স্মৃতিগুলো ইতিবাচক ইমোশনের সাথে জড়িত বা কাঙ্খিত স্মৃতিগুলোর তুলনায় দ্রুত ভুলে যাবার প্রবণতা
  • জেনারেশন এফেক্ট : নিজের দ্বারা তৈরি তথ্য সবচেয়ে বেশি মনে হাকে, সেলফ জেনারেশন এফেক্ট নামেও পরিচিত
  • জেন্ডার ডিফারেন্সেস ইন আইউইটনেস মেমোরি : নিজের জেন্ডারের বিষয় বেশি করে মনে রাখার প্রবণতা
  • গুগল এফেক্ট : যেসব তথ্য সহজেই অনলাইনে পাওয়া যায় সেগুলো ভুলে যাওয়ার প্রবণতা
  • হিউমার এফেক্ট : হিউমারার আইটেমের নন হিউমারাস আইটেমের চেয়ে বেশি মনে থাকার প্রবণতা, হিউমারের স্বাতন্ত্র্যের জন্য ও হিউমার বুঝতে অধিকতর কগনিটিভ প্রোসেসিং ও এর ফলে অধিকতর ইমোশনাল এরাউজালের জন্য এটা হয়
  • ল্যাগ এফেক্ট : স্টাডি যদি অনেক সময় ধরে ছড়িয়ে দেয়া হয় তাহলে শিক্ষা বেশি হয় বা তা একটি সিংগল সেশনে শিখে ফেলার চেয়ে বেশি মনে থাকে, স্পেসিং এফেক্ট এর সাথে সম্পর্কিত
  • লেভেলিং এন্ড শার্পেনিং : কোন গল্প পুনরায় বলার সময় বা তা এক্সপেরিয়েন্স করার সময় এর ক্ষুদ্র ডিটেইলগুলো মনে রাখা হলো শার্পেনিং, এবং গল্পের কোন কিছু বাদ দিয়ে সেগুলো টোন করা যাতে কিছু পার্ট বাদ দেয়া হয় – এই প্রক্রিয়াকে বলে লেভেলিং, এভাবে মেমোরিতে যে গ্যাপ থেকে যায় তা পূরণ করা সহজ হয়
  • লেভেলস-অফ-প্রোসেসিং এফেক্ট : তথ্যকে স্মৃতিতে ঢোকানোর বিভিন্ন উপায়ের জন্য বিভিন্ন মাত্রার কার্যকারিতা থাকে
  • লিস্ট-লেংথ এফেক্ট : বড় লিস্টে কম পারসেন্টেজের আইটেম মনে থাকে, কিন্তু লিস্টের লেংথ যত বাড়ে স্মৃতিতে থাকা মোট  আইটেমের সংখ্যা তত বাড়ে
  • মিসেট্রিবিউশন অফ মেমোরি : যখন তথ্য স্মৃতিতে থাকে, কিন্তু তথ্যের সোর্স হারিয়ে যায় – এটি তিন প্রকার – সোর্স কনফিউশন, ক্রিপ্টোম্নেশিয়া ও ফলস রিকল বা ফলস রিকগনিশন
    • সোর্স কনফিউশন : অন্য তথ্যের সাথে কনফিউজিং এপিসোডিং মেমোরিগুলো ডিসটর্টেড মেমোরি তৈরি করে
    • ক্রিপ্টোমনেসিয়া : স্মৃতি ও কল্পনা গুলিয়ে ফেলার মিসেট্রিবিউশন, ভুলে যাওয়া স্মৃতি কল্পনা হিসেবে মনে আসে, ফলে একে নতুন বা অরিজিনাল বলে মনে হয়
    • ফলস মেমোরি : ইমাজিনেশনকে মেমোরি হিসেবে মনে করার মিসেট্রিবিউশন
  • মিসিনফরমেশন এফেক্ট : কোন ইভেন্টের পরের তথ্যের প্রভাবের জন্য সেই ইভেন্ট সংক্রান্ত স্মৃতির সঠিকতা কমে যায়
  • মোডালিটি এফেক্ট : লিস্ট পড়ার চাইতে শোনার ক্ষেত্রে লিস্টের লাস্ট আইটেম বেশি স্মরণে থাকে
  • মুড কংগ্রুয়েন্ট মেমোরি বায়াস : বর্তমান মুডের সাথে সম্পর্কিত মেমোরি বেশি স্মরণে আসে
  • নেগেটিভিটি বায়াস : আনপ্লিজেন্ট মেমোরির পজিটিভ মেমোরির থেকে বেশি স্মরণে আসার সাইকোলজিকাল ফেনোমেনা, নেগেটিভিটি এফেক্ট নামেও পরিচিত, অ্যাক্টর-অবজার্ভার বায়াসগ্রুপ এট্রিবিউশন এররপজিটিভিটি এফেক্ট এর সাথে সম্পর্কিত
  • নেক্সট-ইন-লাইন এফেক্ট : পারফর্ম করার ঠিক আগ মুহূর্তে ইভেন্ট সম্পর্কে ইনফরমেশন স্মরণ না করতে পারার ফেনোমেনা
  • পারসিস্টেন্স : ট্রমেটিক ইভেন্টের আনওয়ান্টেড মেমোরি বারবার স্মৃতিতে আসতে থাকা
  • পার্ট-লিস্ট কিউইং এফেক্ট : কোন লিস্টের মধ্য থেকে কয়েকটি আইটেমকে স্মরণে রাখতে হবে এমনটা বলা হলে, যে আইটেমগুলো স্মরণে রাখতে হবে না বলা হয়েছিল সেগুলো স্মরণে রাখা মুশকিল হয়ে পড়ে, কেননা স্মৃতি অপ্রাসঙ্গিক বিষয় মনে রাখতে চায়না, যাকে মেমোরি ইনহিবিশন বলে
  • পিক-এন্ড রুল : মানুষ তার এক্সপেরিয়েন্সের সমষ্টি মনে না রেখে তার পিক বা উচ্চ সীমা কেমন ছিল আর তা কিভাবে শেষ হয়েছিল এই দুইয়ের এভারেজ মনে রাখে
  • পিকচার সুপেরিয়রিটি এফেক্ট : পড়ে শেখার চেয়ে ছবি দেখে শিখলে বেশি মনে থাকে
  • পজিটিভিটি এফেক্ট : বয়স্ক এডাল্টরা স্মৃতিতে নেগেটিভ ইনফরমেশনের চেয়ে পজিটিভ ইনফরমেশন মেমোরিতে বেশি রাখে, সোশিওইমোশনাল সিলেক্টিভিটি থিওরি নামেও পরিচিত
  • প্লেসমেন্ট বায়াস : যেসব কাজে আমরা নিজেদেরকে এভারেজের চেয়ে উপরে ভাবি সেই সব কাজে নিজেদেরকে অন্যদের চেয়ে বেটার হিসেবে মনে রাখা (ইল্যুসরি সুপেরিয়রিটিবেটার-দ্যান-এভারেজ এফেক্ট এর সাথে সম্পর্কিত), যেসব কাজে আমরা নিজেদেরকে এভারেজের চেয়ে খারাপ বলে মনে করি সেগুলোতে নিজেদেরকে অন্যের চেয়ে খারাপ হিসেবে মনে রাখার প্রবণতা (ওর্স-দ্যান-এভারেজ এফেক্টের সাথে সম্পর্কিত)
  • প্রোসেসিং ডিফিকাল্টি এফেক্ট : যেসব তথ্য পড়তে ও চিন্তা করতে বেশি সময় লাগে সেগুলো বেশি মনে থাকে
  • রেমিনিসেন্স বাম্প : শিশু-কিশোর বয়সে বা আর্লি এডাল্টহুডের পারসোনাল ইভেন্ট বয়স্ক সময়ের পারসোনাল ইভেন্টের চেয়ে বেশি মনে থাকে
  • রোজি রেট্রোস্পেকশন : অতীত আসলে যেরকম ছিল একে তার চেয়ে ভাল ছিল বলে একে স্মরণ করার প্রবণতা
  • সিরিয়াল পজিশন এফেক্ট : কোন সিকুয়েন্সের শেষের আইটেমগুলোকে মনে রাখা সবচেয়ে সহজ, এরপর সহজতম হলো সিকুয়েন্সের শুরুর দিকের আইটেমগুলো, মাঝখানের আইটেমগুলো সবচেয়ে কম মনে থাকে, রিসেন্সি এফেক্ট ও প্রাইমেসি এফেক্ট নামেও পরিচিত
  • সেলফ-রেলিভেন্স এফেক্ট : নিজের সাথে সম্পর্কিত তথ্য অন্যদের সাথে সম্পর্কিত একই তথ্যের চেয়ে বেশি মনে থাকে, সেলফ-রেফারেন্স এফেক্ট নামেও পরিচিত
  • স্পেসিং এফেক্ট : কোন তথ্য দীর্ঘ সময় ধরে রিপিট করা হলে তা ক্ষুদ্র সময়ের ক্ষেত্রের চেয়ে বেশি মনে থাকে
  • স্টেরিওটিপিকাল বায়াস : স্টেরিওটাইপের (যেমন রেশিয়াল বা জেন্ডার) দিকে স্মৃতির ডিসটর্টেড হবার প্রবণতা
  • সাফিক্স এফেক্ট : কোন লিস্টে কিছু বিষয় স্মরণে রাখতে হবে না বলে রিসেন্সি এফেক্ট হ্রাস পাওয়া
  • সাজেস্টিবিলিটি : প্রশ্নকর্তার সাজেস্ট করা আইডিয়ার মেমোরি হিসেবে মিসেট্রিবিউটেড হওয়া
  • টেলিস্কোপিক এফেক্ট : নিকট অতীতের ঘটনাকে দূরে ও দূর অতীতের ঘটনাকে নিকটে সরিয়ে নিয়ে আসার প্রবণতা
  • টেস্টিং এফেক্ট : কোন কিছু পুনরায় লিখলে তা পুনরায় পড়ার চেয়ে বেশি মনে থাকে
  • টিপ অফ দ্য টাং ফেনোমেনন : কোন জিনিস আংশিক মনে পড়া কিন্তু সম্পূর্ণ মনে না পড়ায় এই টিপ অফ দ্য টাং ফেনোমেনন হয়, মনে করা হয় একাধিক সমরূপ স্মৃতি একসাথে মাথায় আসায় এগুলো একটি অপরটিকে বাধাদান করে
  • ট্রেভিস সিনড্রোম : বর্তমানের মূল্যকে ওভারেস্টিমেট করা, এটি ক্রোনোলজিকাল স্নবারির সাথে সম্পর্কিত এবং মনে করা হয় আপিল টু নোভেল্টি নামক লজিকাল ফ্যালাসিটি এই বায়াসের অংশ
  • ভার্বাটিম এফেক্ট : একেবারে অক্ষরে অক্ষরে শব্দের চেয়ে সারাংশ বেশি মনে থাকে কেননা আমাদের স্মৃতি এক্স্যাক্ট কপি নয়, বরং রিপ্রেজেন্টেশন
  • ফন রেস্টর্ফ এফেক্ট : যেসব স্টিমুলাস বা আইটেম অন্যগুলোর থেকে ভিন্ন সেগুলো বেশি মনে থাকে
  • জেইগারনিক এফেক্ট : অসমাপ্ত বা বাধাপ্রাপ্ত কাজগুলো সম্পূর্ণ কাজের চেয়ে বেশি মনে থাকে

মিডিয়া বায়াস

  • কভারেজ বায়াস : যখন অ্যাক্টর বা ইস্যু সব সময় নিউজে দেখা যায়, ভিজিবিলিটি বায়াসও বলা হয়
  • গেইটকিপিং বায়াস : নিউজ স্টোরিকে আইডিওলজিকাল গ্রাউন্ডে সিলেক্ট বা ডিসিলেক্ট করা হলে এটা হয়, এটি সিলেক্টিভিটি বা সিলেক্টিভ বায়াস নামেও পরিচিত, এক্ষেত্রে কোন বিশেষ পলিটিকাল এক্টরকে বা তাদের পছন্দের পলিসি ইস্যুকে কাভার করা হলে তাকে এজেন্ডা বায়াসও বলে
  • স্টেইটমেন্ট বায়াস : বিশেষ এক্টর বা ইস্যুর দিকে মিডিয়া কাভারেজ হেলে পড়লে এই বায়াস হয়, একে টোনালিটি বায়াস বা প্রেজেন্টেশন বায়াসও বলে
  • এডভার্টাইজিং বায়াস : এডভার্টাইজারদের সন্তুষ্ট করার জন্য স্টোরি সিলেক্টেড বা স্ল্যান্টেড হলে
  • কনসিশন বায়াস : সংক্ষেপে সামারাইজ করা যায় এরকম মতামতকে রিপোর্ট করা, এবং আনকনভেনশনাল মতামত যেগুলোকে ব্যাখ্যা করতে বেশি সময় লাগে সেগুলোকে বাদ দেয়ার প্রবণতা
  • করপোরেট বায়াস : মিডিয়ার করপোরেট ওউনারদেরকে সন্তুষ্ট করার জন্য যখন স্টোরিগুলোকে সিলেক্ট বা স্ল্যান্ট করা হয়
  • মেইনস্ট্রিম বায়াস : যেসব নিউজ সবাই রিপোর্ট করছে সেগুলো রিপোর্ট করার, এবং যেসব নিউজ কাউকে অফেন্ড করতে পারে সেগুলোকে এড়িয়ে যাবার প্রবণতা
  • পারটিসান বায়াস : বিশেষ পলিটিকাল পার্টিকে সার্ভ করার জন্য রিপোর্ট করার প্রবণতা
  • সেন্সেশনালিজম : অর্ডিনারি নিউজের চেয়ে এক্সেপশনাল নিউজ রিপোর্ট করার প্রবণতা, এজন্যই নিউজে এয়ারপ্লেইন ক্রাশের মত রেয়ার ঘটনাগুলো সাধারণ ঘটনাগুলোর চেয়ে বেশি চোখে পড়ে
  • স্ট্রাকচারাল বায়াস : আইডিওলজিকাল ডিসিশনের বদলে নিউজওর্দিনেস বা মিডিয়া রুটিনের জন্য যখন কোন এক্টর বা ইস্যু ফেভরেবল কাভারেজ পায়
  • ফলস ব্যালেন্স : ডিসপ্রোপরশনেট এমাউন্টস অফ এভিডেন্সের জন্য কোন ইস্যুকে ইভেন-সাইডেড হিসেবে প্রেজেন্ট করা হলে
  • আনডিউ ওয়েট : একজন নিউট্রাল জার্নালিস্ট বা এডিটর কোন স্টোরিকে যতটা গুরুত্ব দিত স্টোরিটিতে যখন তার চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়
  • স্পেক্যুলেটিভ কনটেন্ট : যখন স্টোরিতে কী ঘটেছে এর বদলে কী ঘটতে পারে তাতে ফোকাস করা হয় এনালাইসিস বা ওপিনিয়ন লেবেল না দিয়েই (could, might, what if টাইপ শব্দ ব্যবহার করা হয়)
  • ফলস টাইমলিনেস : কোন পুরনো ঘটনাকে টাইম উল্লেখ না করে প্রকাশ করা যাতে তাকে মানুষ নতুন ঘটনা হিসেবে গ্রহণ করে
  • ভেন্ট্রিলোকুইজম : যখন এক্সপার্ট বা উইটনেসদের কথাকে এমনভাবে কোট করা হয় যাতে সেগুলোকে স্টোরির লেখকের নিজের মতামত বলে মনে হয়

সাইকোলজিকাল এফেক্ট

বায়াস (ইতিমধ্যে আলোচিত)

  • অ্যাংকরিং এফেক্ট : কোন একটি বৈশিষ্ট্য বা তথ্যের ওপর অতিমাত্রায় নির্ভর করার প্রবণতা (সাধারণত প্রথমে যে তথ্য পাওয়া যায় তার ওপরেই এই বায়াসতি কাজ করে), অ্যাংকরিজম বা ফোকালিজম নামেও পরিচিত
  • অ্যাম্বিগুইটি এফেক্ট : যেসব অপশন চুজ করলে আমার অনুকূল ফল আসবে না সেই সব অপশনকে এড়িয়ে যাওয়া
  • ব্যাডার-মেইনহফ এফেক্ট কোন ঘটনা প্রথমবার বা হঠাৎ লক্ষ্য করার পর বারবার তা লক্ষ্য করা যাচ্ছে এমনটা ভাবা, আর তার ফলে সেই ঘটনাটি ঘটনার হারকে ওভারেস্টিমেট করা (একরকম সিলেকশন বায়াস), ফ্রিকোয়েন্সি ইল্যুশন নামেও পরিচিত।
  • বেন ফ্রাঙ্কলিন এফেক্ট : কোন ব্যক্তি কাউকে একবার সাহায্য করার পর সেই ব্যক্তিকে পুনরায় সাহায্য করার প্রবণতা, কোন ব্যক্তির দ্বারা সাহায্য গ্রহণ করার পর বিনিময়ে তাকে সাহায্য করার প্রবণতার চেয়ে বেশি হবার প্রবণতা
  • ব্যাকফায়ার এফেক্ট : ব্যক্তির সামনে তার বিশ্বাসের বিরোধী কোন এভিডেন্স তুলে ধরলে তার পূর্বের বিশ্বাসই আরও শক্তিশালী করার প্রবণতা
  • বার্নাম এফেক্ট বাফোরার এফেক্ট : কোন পারসোনালিটি সংক্রান্ত বর্ণনা আদতে অস্পষ্ট ও বিশাল পরিসরের মানুষের জন্য প্রযোজ্য হলেও তা কোন বিশেষ ব্যক্তিকে উদ্দেশ্য করে তার জন্যই নির্দিষ্ট – এমনভাবে উপস্থাপন করা হলে সেই ব্যক্তির মধ্যে উক্ত বর্ণনাকে অধিকতর সঠিক বলে মনে করার প্রবণতা কাজ করে, অ্যাস্ট্রোলজি বা জ্যোতিষশাস্ত্র, ফরচুন টেলিং বা ভবিষ্যৎকথন, গ্রাফোলজি এবং বেশ কিছু পারসোনালিটি টেস্টের ক্ষেত্রেও এই বায়াসটি কাজ করে
  • লেক ওবেগন এফেক্ট : অন্য ব্যক্তিদের তুলনায় নিজের আকর্ষণীয় গুণগুলোকে ওভারেস্টিমেট করা ও অনাকর্ষণীয় গুণগুলোকে আন্ডারেস্টিমেট করা, বেটার দ্যান এভারেজ এফেক্ট, ইল্যুসরি সুপিরিয়রিটি ও সুপিরিয়রিটি বায়াস নামেও পরিচিত
  • চিয়ারলিডার এফেক্ট : একাকী থাকার চেয়ে কোন গ্রুপে থাকলে ব্যক্তিকে অধিকতর আকর্ষণীয় মনে করার প্রবণতা
  • কন্টিনিউড ইনফ্লুয়েন্স এফেক্ট : পূর্ববর্তী কোন বিশ্বাস ভুল প্রমাণিত হবার পরও তা তার ওপর নির্ভর করার প্রবণতা, মিসইনফর্মেশনকে সঠিক করে দেয়া হলেও ব্যক্তির মধ্যে তার প্রভাব থেকে যেতে পারে
  • কনস্ট্রাস্ট এফেক্ট : কোন সম্প্রতি পর্যবেক্ষণ করা তুলনামূলক বস্তুর সাথে তুলনা করে নির্দিষ্ট স্টিমুলাসের বোধের হ্রাস বা বৃদ্ধির প্রবণতা
  • ক্রস-রেস এফেক্ট : নিজের রেইস বা বর্ণের লোকেদের চেয়ে অন্য রেস বা বর্ণের লোকেদের স্মরণ করা কঠিন
  • কনটেক্সট এফেক্ট : কগনিশন ও মেমোরি কনটেক্সটের ওপর নির্ভর করে, তাই আউট অফ কনটেক্সট মেমোরি স্মরণ করা কঠিন, যেমন কাজের সাথে জড়িত স্মৃতি ঘরে বসে স্মরণ করা কঠিন
  • কার্স অফ নলেজ : কম জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তির তুলনায় অধিক জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তির কোন সমস্যা সম্পর্কে চিন্তা করা অধিকতর কঠিন হবার ফেনোমেনা
  • ডানিং-ক্রুগার এফেক্ট : অদক্ষ ব্যক্তির নিজের সক্ষমতাকে ওভারেস্টিমেট করার ও দক্ষ ব্যক্তির নিজের সক্ষমতাকে আন্ডারেস্টিমেট করার প্রবণতা
  • ডিফেন্সিভ আদারিং এফেক্ট : কোন স্টিগমাটাইজড বা কলঙ্কিত গোষ্ঠীর সাথে (প্রিজুডির কারণে, যেমন হোমোসেক্সুয়াল গ্রুপ) নিজের কোন সাদৃশ্য থাকলে সেই কলঙ্কের  সাথে কোন সাদৃশ্য পাওয়া যাওয়ায় সেই প্রিজুডি দমন করার চেষ্টা করার বদলে নিজের সেই বৈশিষ্ট্যকেই “আদার” হিসেবে চিহ্নিত করে “সেলফ” থেকে আদারাইজ করা এবং বেশি করে নিজেকে “কলঙ্কমুক্ত” করে তোলার চেষ্টা করার প্রবণতা, ডিফেন্স এট্রিবিউশন হাইপোথিসিজ এর সাথে সম্পর্ক আছে
  • ডিকয় এফেক্ট : কোন ব্যক্তিকে প্রথমে অপশন ক ও অপশন খ দেয়া হলে তিনি যেটাকে বাছাই করেন, এসিমিট্রিকালি ডোমিনেটেড অপশন হিসেবে অপশন গ দিলে সেই বাছাই এর পরিবর্তন ঘটে, যদি অপশন গ এমন হয় যে এটি অপশন খ এর চেয়ে সব দিক থেকে নিম্নমানের, কিন্তু অপশন ক এর থেকে কিছু ক্ষেত্রে নিম্নমানের ও কিছু ক্ষেত্রে উচ্চমানের, তাহলে ব্যক্তির অপশন খ বেছে নেবার প্রবণতা কাজ করে
  • ডিফল্ট এফেক্ট : কোন ব্যক্তিকে একাধিক অপশনের মধ্যে বাছাই করার সুযোগ দেয়া হলে তার মধ্যে ডিফল্ট অপশন বাছাই করার প্রবণতা কাজ করে
  • ডিনোমিনেশন এফেক্ট : একই পরিমাণ অর্থ ছোট একাউন্টে আখ্যায়িত হলে (খুচরা করা হলে) তা অধিক মাত্রায় খরচ করার প্রবণতা কাজ করে
  • ডিসপোজিশন এফেক্ট : মূল্য বেড়ে গেছে এমন সম্পত্তি বিক্রি করার এবং মূল্য কমে গেছে এমন সম্পত্তি বিক্রয় না করার প্রবণতা
  • এম্প্যাথি গ্যাপ : নিজের বা অন্যের মধ্যে অনুভূতির শক্তি বা প্রভাবকে আন্ডারেস্টিমেট করার প্রবণতা
  • এনডোউমেন্ট এফেক্ট : কোন ব্যক্তির অধিকারভূক্ত কোন বস্তুকে ধরে রাখার ইচ্ছা একই বস্তু কিনতে চাওয়ার চেয়ে বেশি, অর্থাৎ ব্যক্তি নিজে যে অর্থ দিয়ে কোন জিনিস ক্রয় করবে, একই অধিকারভুক্ত জিনিস বিক্রয় করার জন্য তার চাইতেও বেশি অর্থ চাইবে – এমন প্রবণতা
  • ফলস-কনসেন্সাস এফেক্ট : কোন ব্যক্তির সাথে অন্যেরা যতটা সম্মত হয়, সেই ব্যক্তির সাথে তারা তার থেকেও বেশি পরিমাণে সম্মত হয় বলে মনে করার প্রবণতা
  • ফলস-ইউনিকনেস বায়াস : কোন ব্যক্তির নিজেকে বা তার কাজকে অন্যদের বা অন্যদের কাজের তুলনায় অধিকতর স্বতন্ত্র বা ইউনিক বলে মনে করার প্রবণতা
  • ফ্রেমিং এফেক্ট : কিভাবে একটি তথ্য উপস্থাপন করা হচ্ছে তার ওপর নির্ভর করে একই তথ্য থেকে ভিন্ন ভিন্ন সিদ্ধান্তে আসার প্রবণতা
  • জেনারেশন এফেক্ট : নিজের দ্বারা তৈরি তথ্য সবচেয়ে বেশি মনে হাকে, সেলফ জেনারেশন এফেক্ট নামেও পরিচিত
  • গুগল এফেক্ট : যেসব তথ্য সহজেই অনলাইনে পাওয়া যায় সেগুলো ভুলে যাওয়ার প্রবণতা
  • হিউমার এফেক্ট : হিউমারার আইটেমের নন হিউমারাস আইটেমের চেয়ে বেশি মনে থাকার প্রবণতা, হিউমারের স্বাতন্ত্র্যের জন্য ও হিউমার বুঝতে অধিকতর কগনিটিভ প্রোসেসিং ও এর ফলে অধিকতর ইমোশনাল এরাউজালের জন্য এটা হয়
  • হ্যালো এফেক্ট : কোন একটি ক্ষেত্রে কোন ব্যক্তি, কোম্পানি, ব্র্যান্ড বা প্রোডাক্টের ওপর পজিটিভ ইম্প্রেশন তৈরি হলে অন্যান্য এরিয়া বা ক্ষেত্রেও সেগুলোর ওপর পজিটিভ ইম্প্রেশন তৈরি হওয়া
  • হার্ড-ইজি এফেক্ট : কঠিন কাজে সাফল্য অর্জন করার ক্ষমতাকে ওভারেস্টিমেট করার ও সহজ কাজে সাফল্য অর্জন করার ক্ষমতাকে আন্ডারেস্টিমেট করার প্রবণতা
  • হট স্টোভ এফেক্ট : কোন সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষেত্রে একটি অপশন বাছাই এর পর বাজে ফল আসার পর, পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সেই অপশন বাছাই না করার প্রবণতা, যদিও পূর্বের ক্ষেত্রে সেই বাছাইটিই অপটিমাল বা সবচেয়ে ভাল চয়েস ছিল, ওয়ান্স বিটেন টোয়াইস শাই বা নন-এডাপ্টিভ চয়েস সুইচিং নামেও পরিচিত
  • IKEA এফেক্ট : কোন পণ্যকে যদি কোন ব্যক্তি আংশিকভাবে নিজেই তৈরি করে বা এসেম্বল করে তাহলে তা বিক্রির সময় সেই ব্যক্তির মধ্যে প্রোডাক্টের কোয়ালিটির তুলনায় অধিকতর দাম চাওয়ার প্রবণতা, এটি এফোর্ট জাস্টিফিকেশনের কারণে হয় যা আবার কগনিটিভ ডিজোনেন্সের কারণে ঘটে
  • “আই-নিউ-ইট-অল-এলং” এফেক্ট : কোন ঘটনা ঘটার পর সেই ঘটনাকে প্রেডিক্টেবল বলে ভাবার প্রবণতা, হিন্ডসাইট বায়াস নামেও পরিচিত
  • ইল্যুসরি ট্রুথ এফেক্ট : কোন বক্তব্য অধিকতর বোধগম্য হলে, বা অধিক পরিমাণে উক্ত হলে তা অধিক পরিমাণে বিশ্বাস করার প্রবণতা, অর্থাৎ যে তথ্য ব্যক্তি বেশি শুনেছে তাকে সত্য বলে মনে করার প্রবণতা, তথ্যটির একচুয়াল ভ্যালিডিটি না থাকলেও, অন্য কথায় মানুষ অপরিচিত বিষয়ের চেয়ে পরিচিত বিষয়ে বেশি বিশ্বাস স্থাপন করে
  • লেস ইস বেটার এফেক্ট : কোন কিছু আলাদা আলাদাভাবে মূল্যায়ন করার ক্ষেত্রে (একত্রে নয়) অধিকতর বড় সেটের বদলে ক্ষুদ্র সেটকে পছন্দ করার প্রবণতা
  • লেভেলস-অফ-প্রোসেসিং এফেক্ট : তথ্যকে স্মৃতিতে ঢোকানোর বিভিন্ন উপায়ের জন্য বিভিন্ন মাত্রার কার্যকারিতা থাকে
  • লিস্ট-লেংথ এফেক্ট : বড় লিস্টে কম পারসেন্টেজের আইটেম মনে থাকে, কিন্তু লিস্টের লেংথ যত বাড়ে স্মৃতিতে থাকা মোট  আইটেমের সংখ্যা তত বাড়ে
  • ল্যাগ এফেক্ট : স্টাডি যদি অনেক সময় ধরে ছড়িয়ে দেয়া হয় তাহলে শিক্ষা বেশি হয় বা তা একটি সিংগল সেশনে শিখে ফেলার চেয়ে বেশি মনে থাকে, স্পেসিং এফেক্ট এর সাথে সম্পর্কিত
  • মেয়ার এক্সপোজার এফেক্ট : কোন কিছুর সাথে পরিচয় থাকার জন্য তাকে অধিকতর অপশন হিসেবে অধিকতর পছন্দ করার প্রবণতা, ফ্যামিলিয়ারিটি প্রিন্সিপল নামেও পরিচিত
  • মোরাল ক্রিডেনশিয়াল এফেক্ট : কোন একটি ভাল কাজ করার পর, ভবিষ্যতে নিজেকে কম ভাল কাজ করলেও চলবে এমনটা ভাবার প্রবণতা
  • মিসিনফরমেশন এফেক্ট : কোন ইভেন্টের পরের তথ্যের প্রভাবের জন্য সেই ইভেন্ট সংক্রান্ত স্মৃতির সঠিকতা কমে যায়
  • মোডালিটি এফেক্ট : লিস্ট পড়ার চাইতে শোনার ক্ষেত্রে লিস্টের লাস্ট আইটেম বেশি স্মরণে থাকে
  • নেক্সট-ইন-লাইন এফেক্ট : পারফর্ম করার ঠিক আগ মুহূর্তে ইভেন্ট সম্পর্কে ইনফরমেশন স্মরণ না করতে পারার ফেনোমেনা
  • অস্ট্রিচ এফেক্ট : অনিবার্য (নেতিবাচক) পরিস্থিতিকে ইগনোর করার প্রবণতা
  • ওভারকনফিডেন্স এফেক্ট : কোন প্রশ্নের ক্ষেত্রে নিজের উত্তর সঠিক হবার অতিমাত্রায় আত্মবিশ্বাস, উদাহরণস্বরপ দেখা যায়, কিছু টাইপের প্রশ্নের উত্তরের ক্ষেত্রে উত্তরদাতারা যেসব উত্তরকে ৯৯% সঠিক বলে মনে করে সেগুলো ৪০% ক্ষেত্রেই ভুল হতে দেখা যায়।
  • আউটগ্রুপ হোমোজেনিটি এফেক্ট : নিজের গ্রুপের মেম্বারদেরকে তুলনামূলকভাবে বিচিত্র ও অন্য গ্রুপের মেম্বারদেরকে তুলনামূলকভাবে একরূপ ভাবার প্রবণতা
  • পেল্টজম্যান এফেক্ট : উপলব্ধ নিরাপত্তা বৃদ্ধি পেলে বড় ঝুঁকি গ্রহণের প্রবণতা, রিস্ক কম্পেনসেশন নামেও পরিচিত
  • পিগম্যালিয়ন এফেক্ট : কোন ব্যক্তির ওপর অন্যদের প্রত্যাশা সেই ব্যক্তির পারফরমেন্সকে প্রভাবিত করার প্রভাব ফেলার প্রবণতা, রোজেনথাল এফেক্ট নামেও পরিচিত
  • পার্ট-লিস্ট কিউইং এফেক্ট : কোন লিস্টের মধ্য থেকে কয়েকটি আইটেমকে স্মরণে রাখতে হবে এমনটা বলা হলে, যে আইটেমগুলো স্মরণে রাখতে হবে না বলা হয়েছিল সেগুলো স্মরণে রাখা মুশকিল হয়ে পড়ে, কেননা স্মৃতি অপ্রাসঙ্গিক বিষয় মনে রাখতে চায়না, যাকে মেমোরি ইনহিবিশন বলে
  • পিকচার সুপেরিয়রিটি এফেক্ট : পড়ে শেখার চেয়ে ছবি দেখে শিখলে বেশি মনে থাকে
  • পজিটিভিটি এফেক্ট : বয়স্ক এডাল্টরা স্মৃতিতে নেগেটিভ ইনফরমেশনের চেয়ে পজিটিভ ইনফরমেশন মেমোরিতে বেশি রাখে, সোশিওইমোশনাল সিলেক্টিভিটি থিওরি নামেও পরিচিত
  • প্রোসেসিং ডিফিকাল্টি এফেক্ট : যেসব তথ্য পড়তে ও চিন্তা করতে বেশি সময় লাগে সেগুলো বেশি মনে থাকে
  • রাইম এজ রিজন এফেক্ট : ছন্দবদ্ধ বক্তব্য অধিকতর সত্য বলে মনে করার প্রবণতা
  • সাবএডিটিভিটি এফেক্ট : পূর্ণাঙ্গ অংশের সম্ভাব্যতাকে অংশবিশেষের সম্ভাব্যতার তুলনায় কম মূল্যায়ন করার প্রবণতা
  • স্যুডোসার্টেইনটি এফেক্ট : প্রত্যাশিত ফল নেতিবাচক হলে ঝুঁকিহীন অপশন গ্রহণ করা, কিন্তু প্রত্যাশিত ফল ইতিবাচক হলে ঝুঁকিপূর্ণ অপশন গ্রহণ করার প্রবণতা
  • সেইং ইস বিলিভিং এফেক্ট : একটি সোশ্যালি টিউনড মেসেজকে কোন অডিয়েন্সের কাছে নিয়ে গেলে সেই অডিয়েন্সের কাছে সেই টিউনড মেসেজটি তার নিজের চিন্তা বলে মনে হওয়া
  • স্পটলাইট এফেক্ট : অন্যেরা নিজের এপিয়ারেন্স বা আচরণ কিরকম নোটিশ করছে তা ওভারেস্টিমেট করার প্রবণতা
  • সিরিয়াল পজিশন এফেক্ট : কোন সিকুয়েন্সের শেষের আইটেমগুলোকে মনে রাখা সবচেয়ে সহজ, এরপর সহজতম হলো সিকুয়েন্সের শুরুর দিকের আইটেমগুলো, মাঝখানের আইটেমগুলো সবচেয়ে কম মনে থাকে, রিসেন্সি এফেক্ট ও প্রাইমেসি এফেক্ট নামেও পরিচিত
  • সেলফ-রেলিভেন্স এফেক্ট : নিজের সাথে সম্পর্কিত তথ্য অন্যদের সাথে সম্পর্কিত একই তথ্যের চেয়ে বেশি মনে থাকে, সেলফ-রেফারেন্স এফেক্ট নামেও পরিচিত
  • স্পেসিং এফেক্ট : কোন তথ্য দীর্ঘ সময় ধরে রিপিট করা হলে তা ক্ষুদ্র সময়ের ক্ষেত্রের চেয়ে বেশি মনে থাকে
  • সাফিক্স এফেক্ট : কোন লিস্টে কিছু বিষয় স্মরণে রাখতে হবে না বলে রিসেন্সি এফেক্ট হ্রাস পাওয়া
  • টেলিস্কোপিক এফেক্ট : নিকট অতীতের ঘটনাকে দূরে ও দূর অতীতের ঘটনাকে নিকটে সরিয়ে নিয়ে আসার প্রবণতা
  • টেস্টিং এফেক্ট : কোন কিছু পুনরায় লিখলে তা পুনরায় পড়ার চেয়ে বেশি মনে থাকে
  • থার্ড-পারসন এফেক্ট : একটি সাম্ভাব্য বায়াস যার কারণে মাস কমিউনিকেটেড মিডিয়ার বার্তাগুলো নিজের চেয়ে অন্যদেরকে বেশি প্রভাবিত করবে বলে মনে হয়
  • ভার্বাটিম এফেক্ট : একেবারে অক্ষরে অক্ষরে শব্দের চেয়ে সারাংশ বেশি মনে থাকে কেননা আমাদের স্মৃতি এক্স্যাক্ট কপি নয়, বরং রিপ্রেজেন্টেশন
  • ভেন্ট্রিলোকুইজম এফেক্ট : যখন এক্সপার্ট বা উইটনেসদের কথাকে এমনভাবে কোট করা হয় যাতে সেগুলোকে স্টোরির লেখকের নিজের মতামত বলে মনে হয়
  • ফন রেস্টর্ফ এফেক্ট : যেসব স্টিমুলাস বা আইটেম অন্যগুলোর থেকে ভিন্ন সেগুলো বেশি মনে থাকে
  • ওয়েল ট্রাভেলড রোড এফেক্ট : চেনা রাস্তা দিয়ে গেলে যাত্রার সময়কালকে কম মনে হওয়া, কিন্তু অচেনা রাস্তা দিয়ে গেলে যাত্রার সময়কালকে বেশি মনে হওয়া
  • ওর্স-দেন-এভারেজ এফেক্ট : কঠিন কাজের ক্ষেত্রে নিজেদেরকে অন্যদের চেয়ে খারাপ বলে মনে করার প্রবণতা
  • উইমেন আর ওয়ান্ডারফুল এফেক্ট : পুরুষের তুলনায় নারীর ওপর অধিকতর ইতিবাচক গুণ আরোপ করার প্রবণতা
  • জেইগারনিক এফেক্ট : অসমাপ্ত বা বাধাপ্রাপ্ত কাজগুলো সম্পূর্ণ কাজের চেয়ে বেশি মনে থাকে

বায়াস নয় এমন

  • অডিয়েন্স এফেক্ট : একা একা কাজ করার চেয়ে অন্যদের সাথে কাজ করার ফলে কাজের উন্নয়ন বা অবনয়ন হওয়া, সেলফ ফ্যাসিলিটেশনও বলা হয়
  • অ্যাসেম্বলি বোনাস এফেক্ট : কোন গ্রুপের লোকেরা আলাদা আলাদাভাবে কাজ করলে যে পারফর্মেন্স হয়, সবাই একসাথে কাজ করলে সেই পারফর্মেন্স তার চেয়ে ভাল হয়, কালেক্টিভ ইন্টেলিজেন্স  এর কারণে হয়
  • বেজল্ড এফেক্ট : এক রকম অপ্টিকাল ইল্যুশন, নিকটবর্তী রঙ কিরকম তার ভিত্তিতে একই রঙকে ভিন্ন ভিন্ন বলে মনে হবার ইল্যুশন
  • বার্থডে-নাম্বার এফেক্ট : অন্যান্য নাম্বারের চেয়ে নিজের বার্থডে নাম্বার পছন্দ করার প্রবণতা
  • বুমেরাং এফেক্ট : কোন মানুষের ওপর সাইকোলজিকালি পারসুয়েশন করতে গেলে প্রত্যাশিত ফলের বিপরীত ফল আসা, সাইকোলজিকাল রিয়েক্টেন্স থিওরি দিয়ে ব্যাখ্যা করা হয়, যেমন কারও ফ্রিডম রেস্ট্রিক্ট করা হলে তাতে এন্টিকনফর্মিটি তৈরি হতে দেখা যায়
  • বোউবা/কিকি এফেক্ট : স্পিচ সাউন্ড ও ভিজুয়াল শেপের মধ্যে নন-আর্বিট্রারি ম্যাপিং করা
  • বাইস্ট্যান্ডার এফেক্ট : অন্যান্য লোক উপস্থিত থাকলে কাউকে সাহায্য না করার প্রবণতা, বাইস্ট্যান্ডার অ্যাপাথিও বলা হয়
  • সিন্ডারেলা এফেক্ট : বায়োলজিকাল প্যারেন্টের চেয়ে স্টেপ-প্যারেন্টের দ্বারা অধিকতর চাইল্ড এবিউজ
  • ককটেইল পার্টি এফেক্ট : একটি অডিটরি স্টিমুলাস গ্রহণ করে বাকিগুলো ফিল্টার-আউট করার ফেনোমেনা
  • কুলিজ এফেক্ট : প্রাণীদের মধ্যে পুরুষের ক্ষেত্রে যৌনতার জন্য নতুন কোন নারীকে আনা হলে তার প্রতি নতুন করে সেক্সুয়াল ইন্টারেস্ট জাগার ফেনোমেনা, এমনকি পূর্ববর্তী পার্টনারের সাথে যৌনক্রিয়া বন্ধ হয়ে গেলেও এটি কাজ করে
  • ক্রেস্পি এফেক্ট : ক্লাসিকাল কন্ডিশনিং এর ক্ষেত্রে হঠাৎ করে রিইনফোর্সমেন্ট দেয়া হলে কন্ডিশনড রেসপন্স ডিসপ্রোপরশনেটলি পরিবর্তিত হয়
  • আইনস্টেলাং এফেক্ট : কোন নতুন প্রবলেমকে আগের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট পথেই সল্ভ করতে হবে এমন প্রবণতা যেখানে এর চেয়ে আরও সঠিক ও উত্তম মেথোড রয়েছে
  • ফলস-ফেইম এফেক্ট : পার্টিসিপেন্টদেরকে প্রথম নন-ফেমাস ব্যক্তিদের নাম দেয়া হলে ও পরে নতুন নন-ফেমাস ও ফেমাস নাম দেয়া হলে, তারপর তাদেরকে কোন নামগুলো ফেমাস তা নির্ধারণ করতে দেয়া হলে তাদের মধ্যে প্রথম নন-ফেমাস নামগুলোকে ফেমাস হিসেবে চিহ্নিত করার প্রবণতা কাজ করে
  • ফ্যান এফেক্ট : কোন কনসেপ্ট সম্পর্কে যত বেশি তথ্য জানা যায় সেই কনসেপ্ট সম্পর্কিত রিকগনিশন টাইম ও এরর রেইট তত বৃদ্ধি পায়
  • ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল এফেক্ট : কেয়ারগিভার পেশেন্টের প্রেমে পড়ে যাবার ট্রোপ, যেখানে কেয়ার গিভার পেশেন্ট সম্পর্কে বেসিক কেয়ারের বাইরে খুব কম কথাই জানে
  • ফ্লিন এফেক্ট : মানুষের মধ্যে ফ্লুইড ও ক্রিস্টালাইজড ইন্টেলিজেন্সের উল্লেখযোগ্য ও লং-সাস্টেইনড বৃদ্ধি
  • গালাটিয়া এফেক্ট : নিজেকে নিয়ে বা নিজের ক্ষমতা নিয়ে আত্মবিশ্বাস নিজের পারফর্মেন্সকে প্রভাবিত করে
  • গোলেম এফেক্ট : সুপারভাইজার বা নিজের দ্বরা নিজের ওপর নিম্ন প্রত্যাশার কারণে ব্যক্তির পারফর্মেন্স খারাপ হওয়া
  • হাওথ্রোন এফেক্ট : কেউ কোন ব্যক্তিকে অবজার্ভ করছে এই চেতনা মনের মধ্যে প্রবেশ করার ফলে তার নিজের আচরণকে মোডিফাই করার প্রবণতা
  • হেডোনিক ট্রেডমিল : মানুষের জীবনে গুরুতর পজিটিভ বা নেগেটিভ ইভেন্ট বা লাইফ চেঞ্জ ঘটার পর দ্রুত তার স্থিতিশীল মাত্রার সুখী অবস্থায় ফিরে আসা
  • হস্টাইল মিডিয়া এফেক্ট : মিডিয়া ব্যক্তির বিরুদ্ধে বায়াসড এবং তাদের শত্রুদের পক্ষে কাজ করছে এমন চিন্তা করার প্রবণতা
  • হাইপারসনিক এফেক্ট : মানুষ হাইপারনিক সাউন্ড শুনতে না পারলেও এর উপস্থিতি ও অনুপস্থিতির দ্বারা তার ফিজিওলজিকাল ও সাইকোলজিকাল প্রভাব
  • ইরিলেভেন্ট স্পিচ এফেক্ট : স্পিচ সাউন্ডের উপস্থিতি থাকলে মানুষের সিরিয়াল রিকল, অর্থাৎ কোন সিরিয়ালি থাকা শব্দ মনে রাখার ক্ষমতা হ্রাস পায়
  • কাপ্পা এফেক্ট : বিভিন্ন স্থানে সেন্সরি স্টিমুলি (যেমন লাইট) রাখা হলে, স্টিমুলিগুলোর দূরত্ব বেশি হলে দুটো স্টিমুলির মধ্যবর্তী সময়কে ওভারেস্টিমেট করা ও দূরত্ব কম হলে দুটোর মধ্যবর্তী সময়কে আন্ডারেস্টিমেট করা
  • কিউপাই ডল এফেক্ট : বাচ্চাদের ফিজিকাল ফিচার, যেমন তাদের লেংথেন্ড ফোরহেড ও রাউন্ড ফেইসের কারণে তার কেয়ারগিভার তার কেয়ার নিতে মোটিভেটেড হয়
  • কিনেটিক ডেপ্‌থ এফেক্ট : থ্রি-ডাইমেনশনাল অবজেক্টের টু ডাইমেনশনাল ছায়াকে থ্রি ডাইমেনশনাল বলে মনে হয় যদি সেই থ্রি-ডাইমেনশনাল অবজেক্টটি মুভ করে
  • কুলেসভ এফেক্ট : দর্শকরা একটি একক শটের চেয়ে, দুটো একের পর এক শট থেকে অধিক অর্থ বের করে
  • লেডি ম্যাকবেথ এফেক্ট : লজ্জার বোধের পর কোন কোন ক্লিনিং ক্যু এর প্রতি সাড়া প্রদান অর্থাৎ পরিষ্কার করার ইচ্ছা বেড়ে যায়
  • লন ডার্থ এফেক্ট : পাইলট প্লেইনকে 1g এর চেয়ে বেশি ত্বরণে হরাইজন্টালি চালালে তার মনে হয় প্লেইন উপরে উঠছে, তাই সে তখন কম্পেনসেশনের জন্য প্লেইনকে নিচের দিকে টিল্ট করে
  • মার্থা মিচেল এফেক্ট : সাইকিয়াট্রিস্ট, সাইকোলজিস্ট, মেন্টাল হেলথ ক্লিনিশিয়ানদের মধ্যে পেশেন্টদের সঠিক পারসেপশন বা রিয়েল ইভেন্টকে ডিলিউশন বলে মনে করার মিসডায়াগনোসিস
  • ম্যাথিউ এফেক্ট (এডুকেশন) : ছোটবেলায় রিডিং স্কিল অর্জনের সাফল্য বড় হবার পর রিডিং এর ক্ষেত্রে সাফল্য সৃষ্টি করে, কিন্তু স্কুল গোয়িং এর তিন বা চার বছরের মধ্যে পড়তে না শিখলে পরবর্তিতে নতুন স্কিল শিখতে সমস্যা হয়
  • ম্যাককালাফ এফেক্ট : বর্ণহীন গ্রেটিং-কে গ্রেটিং এর ওরিয়েন্টেশন বরাবর কালারফুল মনে করার ভিজুয়াল পারসেপশন
  • ম্যাকগার্ক এফেক্ট : একটি সাউন্ডের অডিটোরি কম্পোনেন্টকে আরেকটি সাউন্ডের ভিজুয়াল কম্পোনেন্টের সাথে পেয়ার করলে তৃতীয় সাউন্ড শোনা
  • মাইক্রোওয়েভ অডিটরি এফেক্ট : কোন রিসিভিং ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ছাড়াই মানুষের পালসড মাইক্রোওয়েভ রেডিয়েশন (অডিবল ক্লিক, এমনকি স্পিচ) শুনতে পাওয়া, ডিরেক্টলি মস্তিষ্কে এই কমিউনিকেশন তৈরি হয়
  • মিসিং লেটার এফেক্ট : মানুষ যা পড়ে সেখান থেকে নির্দিষ্ট অক্ষরকে কনশাসলি ডিটেক্ট করতে বলা হলে বারবার ব্যবহৃত হয় এমন শব্দে সেই লেটারগুলো বেশি মিস হয়, যেমন h ডিটেক্ট করতে বলে the শব্দের h প্রায়ই মিসড হতে দেখা যায়
  • মানচাউসেন সিন্ড্রোম : এই সিন্ড্রোম যাদের থাকে তারা এটেনশন বা সিম্প্যাথি আকর্ষণের জন্য অসুস্থতা, রোগ, সাইকোলজিকাল ট্রমার ভান করে, ফ্যাক্টিশাস ডিজর্ডার ইমপোজড অন সেলফ নামেও পরিচিত
  • নেম-লেটার এফেক্ট : আলফাবেটের অন্য অক্ষরের চেয়ে নিজের নামের অক্ষর বেশি পছন্দ করার প্রবণতা
  • নোভেলটি এফেক্ট : নতুন টেকনোলজি আসার পর কেবল নতুন টেকনোলজির প্রতি আকর্ষণের জন্যই (লার্নিং বা স্কিলে একচুয়াল ইমপ্রুভমেন্টের জন্য নয়) এটা ব্যবহার করে পারফর্মেন্স বৃদ্ধি পাওয়া
  • নিউমারোসিটি এডাপ্টেশন এফেক্ট : পরিমাণ (ডিসক্রিট) নিয়ে একটি পারসেপশন ফেনোমেনন যেখানে একটি স্থানে কম সংখ্যক বস্তু ও আরেকটি স্থানে বেশি সংখ্যক বস্তু দেখার পর, একই সাথে পরবর্তীতে সমান সংখ্যক বস্তু থাকলে যেখানে কম সংখ্যক বস্তু ছিল সেখানে বেশি সংখ্যক বস্তু রয়েছে বলে মনে হয়
  • ওভারজাস্টিফিকেশন এফেক্ট : প্রত্যাশিত এক্সটারনাল ইন্সেন্টিভ যেমন টাকা বা উপহার কোন মানুষের একটি কাজ করার ইন্ট্রিন্সিক মোটিভেশনকে হ্রাস করে
  • পেরুশেট এফেক্ট : কোন ঘটনার কনশাস এক্সপেক্টেশনের সাথে সেই ইভেন্টের প্রতি রেসপন্সের স্ট্রেংথ বা স্পিডের পার্থক্য
  • প্লাসিবো এফেক্ট : কোন থেরাপিউটিক ভেল্যু নেই ট্রিটমেন্ট গ্রহণ করা, এটি অসুখ সাড়াতে সাহায্য না করলেও পেশেন্টের সেই রোগ সম্পর্কে উপলব্ধিতে প্রভাব ফেলে তার বডির কেমিকেল প্রোসেসগুলোকে পেইন রিলিভের দিকে নিয়ে যায়
  • প্লুরালিস্টিক ইগনোরেন্স : যখন কোন গ্রুপের বেশিরভাগ মেম্বারই তাদের প্রাইভেট লাইফে একটি নর্ম বা রীতিকে রিজেক্ট করে, কিন্তু পাবলিক লাইফে সেই রীতি চর্চা বজায় রাখে কারণ তারা ভুলভাবে মনে করে যে অন্যেরা আসলেই সেটা আন্তরিকভাবে ফলো করছে
  • প্র্যাটফল এফেক্ট : ব্যক্তির উপলব্ধ কম্পিটেন্সের ওপর নির্ভর করে তার কোন ভুল করার পর ইন্টারপার্সোনাল আপিল পরিবর্তিত হওয়ার প্রবণতা
  • প্রোমিনেন্স এফেক্ট : কোন অপশন চুজ করার সময় মানুষ ডিফিকাল্ট ট্রেড-অফ অ্যানালাইসিস না করে প্রোমিনেন্ট বা ডিফেন্সিবল এট্রিবিউট দেখে অপশন চুজ করে, যেমন গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে খুটিনাটি ট্রেড-অফ বিবেচনা না করে সরলভাবে জাস্ট সেফটির ওপর ভিত্তি করে গাড়িটি কিনতে পারে
  • প্রিসিডেন্স এফেক্ট : একটি সাউন্ডের পর যথেষ্ট শর্ট টাইম ডিলে এর পর (লিসেনারের ইকো থ্রেসহোল্ডের সময়ের চেয়ে কম সময় হতে হবে) আরেকটি সাউন্ড এলে লিসেনার একটি মাত্র অডিটরি ইভেন্ট শোনে, আর এর উপলব্ধ স্পেশিয়াল লোকেশন প্রথম সাউন্ডের ওয়েভ ফ্রন্ট দ্বারা ডোমিনেটেড হয়
  • স্যুডোসার্টেইন্টি এফেক্ট : মাল্টিস্টেইজ ডিসিশন মেকিং এর ক্ষেত্রে একটি আউটকামকে নিশ্চিত বলে মনে করা যেখানে তা আসলে অনিশ্চিত
  • পারকিঞ্জে এফেক্ট : ডার্ক এডাপ্টেশনের পার্ট হিসেবে লো ইলুমিনেশন লেভেলের সময় চোখের পিক লুমিনেন্স সেন্সিটিভিটির কালার স্পেক্ট্রামে ব্লু এন্ডের দিকে শিফট হয়ে যাওয়ার প্রবণতা
  • র‍্যাশোমন এফেক্ট : আইউইটনেসের আনরিলায়াবিলিটির সাথে সম্পর্কিত, এটি এমন একটি সিচুয়েশনকে ডেস্ক্রাইব করে যেখানে তার সাথে সম্পর্কিত ব্যক্তিরা একে বর্ণনা করলে বর্ণনাগুলো একে অপরের সাথে কন্ট্রাডিক্টোরি হয়, অর্থাৎ একেকজন বিষয়টিকে এমনভাবে ভিন্নভিন্নভাবে দেখে যার ফলে একেকজনের বর্ণনা অন্য জনের বর্ণনার সাথে কন্ট্রাডিক্টরি হয়ে যায়
  • রিঙ্গেলমান এফেক্ট : গ্রুপের সাইজ বাড়ার সাথে সাথে গ্রুপের মেম্বারদের প্রোডাক্টিভিটি কমে যাওয়া
  • সাইমন এফেক্ট : স্টিমুলাস ও রেসপন্স একই সাইডে হলে ট্রায়ালে একিউরেসি ও রিয়েকশন টাইম যেমন হয়, এই দুটো ভিন্ন হলে ট্রায়ালে একিউরেসি ও রিয়েকশন টাইম তার থেকে ভিন্ন হয়, এক্ষেত্রে একিউরেসি কম ও রিয়েকশন টাইম ধীর হয়
  • স্লিপার এফেক্ট : কোন পারসুয়েসিভ মেসেজের প্রতি এক্সপোজড হবার পর (যেমন টেলিভিশন এডভার্টাইজমেন্ট) সেই মেসেজের প্রতি তাদের সমর্থন উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়
  • স্টকহোম সিন্ড্রোম : বন্দিত্বের সময় হস্টেজ ক্যাপ্টরের সাথে সাইকোলজিকাল বন্ড ডেভলপ করে
  • স্ট্রুপ এফেক্ট : কনগ্রুয়েন্ট (সর্বসম) ও ইনকনগ্রুয়েন্ট স্টিমুলির প্রতি রিয়েকশন টাইমে পার্থক্য হওয়ার ঘটনা
  • সাবজেক্ট-এক্সপেক্টেন্সি এফেক্ট : কোন রিসার্চ সাবজেক্ট রিসার্চের এক্সপেক্টেশন জানার পর অচেতনভাবে রিসার্চের আউটকামকে এফেক্ট করে বা এক্সপেক্টেড রেজাল্ট রিপোর্ট করে
  • টামাগটচি এফেক্ট : মেশিন, রোবট বা সফঅয়ার এজেন্টদের সাথে ইমোশনাল এটাচমেন্ট
  • টেট্রিস এফেক্ট : এটি ঘটে যখন কেউ একটি এক্টিভিটিতে এতটাই সময় ও এটেনশন দান করে যে এটা তার চিন্তা, মেন্টাল ইমেজ ও স্বপ্নকে প্যাটার্ন দেয়া শুরু করে
  • থ্যাচার এফেক্ট : আপসাইড ডাউন চেহারায় লোকাল ফিচার চেঞ্জ ডিটেক্ট করা বেশি কঠিন
  • ভেনাস এফেক্ট : ছবি বা ক্যামেরায় আয়নায় এক্টর বা এক্ট্রেসের ছবি দেখে মনে করা যে তারা সেখানে নিজেদেরকে দেখছে, যেখানে আয়না এমনভাবে বসানো হয়েছে যাতে দর্শকরা আয়নায় এক্টর বা এক্ট্রেসদেরকে দেখতে পারে, এদিকে এক্টর বা এক্ট্রেস আসলে আয়নায় নিজের বদলে ক্যামেরাম্যান বা চিত্রকরকে দেখে
  • ওয়াগন হুইল এফেক্ট : অপটিকাল ইল্যুশন যেখানে দ্রুত ঘুর্ণনরত স্পোকড হুইল আসলে যে গতিতে ঘুরছে তাকে ধীরভাবে অন্য গতিতে ঘুরছে বলে দেখা যায়
  • ওয়ের্থার এফেক্ট : কোন সুইসাইডের লোকাল নলেজ বা মিডিয়ার দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে সুইসাইড করার চেষ্টার প্রবণতা, কপিক্যাট সুইসাইড নামেও পরিচিত
  • ওয়েস্টারমার্ক এফেক্ট : একটি হাইপোথিসিজ যা অনুসারে, জীবনের প্রথম কয়েক বছরে একসাথে থাকার পর এদের মধ্যকার সেক্সুয়াল এট্রাকশন ডিসেন্সিটাইজড হয়ে যায়
  • ওয়ার্ড ফ্রিকুয়েন্সি এফেক্ট : যেসব শব্দ আমরা প্রায়ই দেখি সেগুলোর রিকগনিশন টাইম, যেগুলো কম দেখি সেগুলোর চেয়ে দ্রুত
  • ওয়ার্ড সুপেরিয়রিটি এফেক্ট : আইসোলেটেড লেটার বা ননওয়ার্ডে থাকা লেটারের চেয়ে কোন ওয়ার্ডে থাকা লেটারকে ভাল রিকগনাইজ করা যায়

কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

  • এফেক্টিভ ফোরক্যাস্টিং : কারও ভবিষ্যৎ আবেগ (affect) প্রেডিক্ট করা
  • এট্রিবিউশন : কোন আচরণ ও ঘটনার  কারণ ব্যাখ্যা করার প্রোসেস
  • ব্ল্যাক সোয়ান থিওরি : সারপ্রাইজ ইভেন্টের প্রতি প্রতিক্রিয়া দেখানোর থিওরি
  • ক্রোনোস্ট্যাসিস : সময়ের পারসেপশন এর ডিস্টরশন
  • কগনিটিভ ডিস্টর্শন : একজ্যাজারেটেড বা ইর‍্যাশনাল থট প্যাটার্ন
  • ডিফেন্স মেকানিজম : অচেতন সাইকোলজিকাল মেকানিজম যা আনেক্সেপ্টেবল বা পোটেনশিয়ালি হার্মফুল স্টিমুলি হ্রাস করে
  • ডিসর‍্যাশনালিয়া : যথেষ্ট বুদ্ধিমত্তা থাকার পরও চিন্তা করার বা যৌক্তিকভাবে আচরণ করার অক্ষমতা
  • ফিয়ার, আনসার্টেইন্টি এন্ড ডাউট (FUD) : মতামত প্রভাবিত করার জন্য ব্যবহৃত কৌশল
  • ফিডব্যাক : ভবিষ্যৎ অবস্থাকে প্রভাবিত করার জন্য বর্তমান অবস্থা নিয়ে তথ্য প্রোসেস করা
  • ইম্পোস্টর সিনড্রোম : নিজের অর্জনকে সন্দেহ করার ও “ফ্রড” হিসেবে নিজের এক্সপোজড হবার সাইকোলজিকাল প্যাটার্ন
  • iSheep : যারা কেবল অ্যাপলের প্রোডাক্ট পছন্দ করে তাদের উদ্দেশ্যে ডেরোগেটরি টার্ম
  • মাইন্ড প্রোজেকশন বায়াস : একজন জগৎকে যেভাবে দেখে জগৎকে সে সেরকম মনে করে এমন ইনফরমেশন ফ্যালাসি
  • মোটিভেটেড রিজনিং : জাস্টিফিকেশন তৈরি বা সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ইমোশনালি বায়াসড রিজনিং ব্যবহার করা
  • অবজার্ভেশনাল এরর : কোন কোয়ান্টিটির মিজারড ভেল্যু এবং এর ট্রু ভেল্যুর মধ্যকার পার্থক্য, একে সিস্টেমেটিক বায়াসও বলে
  • পলিয়ানা প্রিন্সিপল : প্লিজেন্ট ইভেন্টকে আনপ্লিজেন্ট ইভেন্টের যে বেশি মনে রাখার প্রবণতা
  • পজিটিভ ফিডব্যাক : ফিডব্যাক লুপে ঘটা ডিস্ট্যাবিলাইজিং প্রোসেস
  • প্রিভ্যালেন্স এফেক্ট : যেসব টারগেট খুব একটা ঘটেনা বা ইনফ্রিকুয়েন্ট সেগুলো সহজেই মিস হয়ে যাবার ফেনোমেনা
  • প্রোপাগান্ডা : কোন আর্গুমেন্টের কেবল একটি দিক দেখিয়ে অডিয়েন্সদেরকে ম্যানিপুলেট করে নিজের পক্ষে টানা
  • পাবলিকেশন বায়াস : উল্লেখযোগ্য ফলাফল আছে এমন গবেষণাপত্রই প্রকাশ করার উচ্চ সম্ভাবনা
  • রিকল বায়াস : স্মরণ করা স্মৃতিতে সঠিকতা বা কমপ্লিটনেসের পার্থক্যের দ্বারা তৈরি সিস্টেমেটিক এরর
  • সেলফ-হ্যান্ডিক্যাপিং : ব্যর্থতার ফলে সেলফ এস্টিম আঘাতপ্রাপ্ত হবে বলে কোন প্রচেষ্টা গ্রহণ না করার কগনিটিভ স্ট্র্যাটেজি

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.




This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.