বিশ্বের আশি শতাংশের বেশি শহুরে লোকজনই নিম্নমানের বায়ু দ্বারা শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করেন

shutterstock_363307955_0

ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগানাইজেশন (WHO) এর দেয়া একটি নতুন তথ্যে উঠে এসেছে, বিশ্বের শতকরা আশিভাগ শহুরে লোকজনই নিম্নমানের শ্বাসপ্রশ্বাস গ্রহণ করেন। তাদের ডেটা আরও বলে এক লক্ষ বা তাদের অধিক মানুষের নিম্ন ও মধ্য আয়ের শহরগুলোর ৯৮ শতাংশেরই এয়ার কোয়ালিটি WHO এর স্ট্যান্ডার্ড এর নিচে। উচ্চ আয়ের দেশগুলোতে এই পারসেন্টেজটি ৫৬ শতাংশে নেমে আসে। সুতরাং ধনী গরিব হিসেবে দেশগুলোকে বিবেচনা করলে এয়ার কোয়ালিটিতে একটি বড় ধরণের বৈষম্য দেখা যায় যা একটি গভীর উদ্বেগের বিষয়। এই পরিসংখ্যানে ১০৩টি দেশের ৩০০০টি শহরের ডেটাবেজ নেয়া হয়।

যাই হোক, বুঝতেই পারছেন এটা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ভাল খবর নয়। এয়ার কোয়ালিটি বা বাতাসের মান কমে গেলে আমাদের স্ট্রোক, হার্ট এর অসুখ, ফুসফুসে ক্যানসার, এজমা, শ্বাসকষ্টের মত ক্রোনিক ও তীব্র রেসপিরেটরি ডিজিস ইত্যাদির ঝুঁকি বেড়ে যায়। WHO এর পরিবার, নারী ও শিশুদের স্বাস্থ্য বিভাগের এসিস্টেন্ট ডিরেক্টর জেনারেল ডঃ ফ্লেভিয়া বুস্ট্রেও জানান, “শহরে নোংরা বায়ুর পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে সেখানকার শিশু, বৃদ্ধ এবং গরীবেরাই সবচাইতে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হন।

ডেটা থেকে আরও জানা যায়, আরবান এয়ার পল্যুশন লেভেল বা শহরের বায়ু দূষণের মাত্রা শতকারা ৮ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে যদিও দেখা যায় কিছু কিছু অঞ্চলে বায়ুদূষনের পরিমাণ কমেছে। আরও দেখা যায়, গ্লোবাল এয়ার পল্যুশন বা বৈশ্বিক বায়ু দূষণের বেশির ভাগ হচ্ছে দরিদ্র দেশগুলোর জন্য।

WHO জানিয়েছে, এই সমস্যার সমাধান করা কারও একক প্রচেষ্টার অনেক ঊর্ধ্ব চলে গেছে। পুরো বিষয়টাই এখন নির্ভর করছে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ল-মেকার বা নীতি-নির্ধারকদের হাতে। আর এই অবস্থার উন্নতি তখনই হওয়া শুরু করবে যখন ক্লিনার ট্রান্সপোর্ট (দূষণহীন যাতায়াত ব্যবস্থা), অধিক নবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদন এবং ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট অধিক হারে করা হবে।

কিন্তু আশার আলো দেখা যাচ্ছে। অনেক দেশের সরকারই বায়ুদূষণের ক্ষতির গভীরতা বুঝতে পেরেছে। বায়ুদূষণের প্রতিকূল প্রভাব এর জন্য বৈশ্বিক কর্তব্যগুলো নিয়ে আলোচনার জন্য এই বছরে ২৪ থেকে ৩০শে মে পর্যন্ত সময়ে ওয়ার্ল্ড হেলথ এসেমব্লিতে ১৯৪টি দেশের প্রতিনিধি একত্রিত হবেন (আপনি যখন এটা পড়ছেন ততদিনে এই এসেমব্লি হয়তো শেষ হয়ে গেছে)। WHO এর ডঃ কারলোস ডোরা বলেন, “যখন বায়ুর মানের উন্নতি হবে, তখন বায়ুদূষণ সম্পর্কিত অসুখের জন্য স্বাস্থ্যখরচ কমে যাবে, কর্মীদের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং গড় আয়ুও বেড়ে যাবে। বায়ু দূষণ কমে গেলে জলবায়ুরও উন্নতি ঘটবে”।

http://www.who.int/phe/health_topics/outdoorair/databases/cities/en/

http://www.who.int/mediacentre/news/releases/2016/air-pollution-rising/en/

http://www.who.int/governance/en/

– ভেলোসিটি হেড

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.




This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.