সাম্প্রতিক প্রোটেস্ট দেখিয়ে দিচ্ছে ফ্রান্সের সিস্টেমিক বর্ণবাদকে

আমরা অনেকেই ফ্রান্সের সাম্প্রতিক প্রটেস্টের ব্যাপারে জেনে থাকব। ২৭ জুন ফ্রান্সের প্যারিসের শহরবলি Nanterre-তে  নাহেল নামে ১৭ বছরের এক এথনিক আলজেরিয়ানকে পুলিশ (শ্বেতাঙ্গ) গুলি করে হত্যা করে। হত্যার ভিডিও ধারণ করা হয়েছিল ও তা ভাইরাল হয়ে যায়। সেই পুলিশকে গ্রেফতার করা হয় এবং “voluntary homicide by a person in authority”-তে অভিযুক্ত করা হয়। আর এরপর শুরু হয় প্রোটেস্ট। প্রোটেস্ট হয় ফ্রান্স এরাব ও কৃষ্ণাঙ্গদের বিরুদ্ধে সিস্টেমিক রেসিজম ও ডিসক্রিমিনেশনের বিরুদ্ধে। আরবদের সাথে সাথে কৃষ্ণাঙ্গরাও প্রোটেস্টে জড়িত হয়। প্রোটেস্টাররা “Justice for Nahel”, “Black lives matter”, “Macron resign”, “We are hungry”, “We want to live” ইত্যাদি স্লোগান দেয়। কিছু জায়গায় প্রোটেস্ট বেশ ভায়োলেন্ট রূপ লাভ করে। প্রোটেস্টাররা পাথর, ফায়ারওয়ার্ক, গ্লাস, মলোটভ ককটেল ছোড়ে, পুলিশ ছোড়ে টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট, জল কামান। বেশ কয়েকটি স্কুল ও পুলিশ কর্মকর্তাকে পুড়িয়েও দেওয়া হয়েছে জানা গেছে, তবে কারো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। ৪০ হাজারের বেশি পুলিশ ও Gendarme-কে নামানো হয় প্রোটেস্ট কন্ট্রোল করতে (Gendarme হল সিভিলিয়ান পপুলেশনের মধ্যে ল এনফোর্সমেন্ট ডিউটি নেয়া মিলিটারি ফোর্স)। শেষ জানা খবর অনুসারে পুলিশ ৬০০ জনের বেশিকে এরেস্ট করেছে, আর ২০০ জনের বেশি পুলিশ আহত হয়েছে।

এই হল সংক্ষিপ্ত কাহিনী। শেষ ২০০৫ সালে এরকম প্রোটেস্ট হয়েছিল যখন পুলিশ দুজন কৃষ্ণাঙ্গ টিনেজকে (১৫ও ১৭ বছর বয়সী) হত্যা করেছিল। ফলে ৩ সপ্তাহ জুড়ে প্রোটেস্ট চলেছিল। ফ্রান্স এরকম আচরণের একটা প্যাটার্ন দেখা যাচ্ছে। এখন এই আর্টিকেলে ফ্রান্সে এথনিক মাইকোরিটিদেরকে ট্রিট করার একটি বিশেষ বিষয় নিয়ে লিখব, যা ফ্রান্স এথনিক বা রেশিয়াল ডিসক্রিমিনেশনের একটি কারণ হয়ে থাকতে পারে। লক্ষ্য করার ব্যাপার হচ্ছে এথনিক মাইনোরিটিকে ট্রিট করার ব্যাপারে ফ্রান্স অন্যান্য অনেক জায়গার মতো নয়।

তুলনা দেবার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কথা আনা যাক। দেশটিতে রেইশিয়াল বা বর্ণগত ইস্যুগুলি নিয়ে একটি অতীত ও বর্তমান আছে, যেখানে অনেকগুলো স্ট্রাগল ও ডিবেটের মাধ্যমে এথনিক ও রেশিয়াল মাইনোরিটির অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। দেশটিতে এটা সর্বদা আলোচনারই অংশ এবং সেই সাথে ইউএস এর সমস্ত লেভেলে, বিশেষ করে ন্যাশনাল লেভেলে রেশিয়াল মাইনোরিটি প্রতিনিধিত্ব আছে। এমনকি দেশটির ইতিহাসে কৃষ্ণাঙ্গ রাষ্ট্রপতিও রয়েছে। কিন্তু ফ্রান্সের অবস্থাটা এমন নয়। ফরাসিরা ফ্রেঞ্চ রেভোল্যুশনের পরে এই বিষয়ে একটা সিদ্ধান্তে এসেছিল। তারা দেখেছিল, জাতিগত সংঘাত এতটাই চরম যে, তারা ফরাসি বা ফ্রেঞ্চ শব্দটির অর্থই পুনরায় সংজ্ঞায়িত করে। সুতরাং ফ্রান্সে আপনি কাতালান হন বা বাস্ক জাতির হন, বা আপনি প্যারিস বা মার্সেই বা আলসাতিয়ান এর লোক হন, এসব ম্যাটার করে না। সবাই ফ্রেঞ্চ বা ফরাসি। এবং এক সহস্রাব্দ ধরে চলা ফ্রান্সে গৃহযুদ্ধ এবং অশান্তির অংশ হওয়া বিভিন্ন গোষ্ঠীর সবাই এর পর থেকে একই পরিবারের সদস্য হিসাবে বিবেচিত হতে শুরু করে।

এখন এরকম সংহতিকে আপনার খুব ভাল মনে হতে পারে, ফরাসি জাতীয়তাবাদের বিকাশে সহায়ক বলে মনে হতে পারে, কিন্তু এর সমস্যাও আছে। আধুনিক যুগে, এর অর্থ হ’ল ফরাসি জনসংখ্যার জাতিগত তথ্য সংগ্রহ করা অবৈধ, এমনকি অসাংবিধানিক। আর যদি সবাই কেবল বাস্ক বা কাতালান বা ফরাসি বা আলসাতিয়ান হত তাহলেও হয়তো এই আইনের ব্যাপারটি ঠিক হতো, কিন্তু আজকের ফ্রান্স তো আর কেবল বাস্ক, কাতালান, এথনিক ফ্রেঞ্চ, আলসাতিয়ান নিয়ে গঠিত নয়। ঔপনিবেশিক উত্তরাধিকারের অংশ হিসাবে, প্রাক্তন উপনিবেশগুলি থেকে অনেক লোক চলে গেছে উপনিবেশ সৃষ্টিকারী দেশে, ফ্রান্সও তাই হয়েছে। এরা ফ্রেঞ্চ সিটিজেনশিপ পেয়েছে। এমনকি ফ্রান্সে বর্তামানে যে এরাব ও কৃষ্ণাঙ্গরা থাকে তাদের অনেকের পিতামহ-প্রপিতামহ ফ্রান্সের নাগরিক ছিল। তাই এমনও নয় যে এরা সব সাম্প্রতিক ইমিগ্রেন্ট।

এদিকে সরকারিভাবে ফ্রান্সের সবারই কেবল ফ্রেঞ্চ পরিচয়ে পরিচিত হবার জন্য ফরাসি সংবিধান এবং ডেটা প্রটেকশন এক্ট অনুসারে, ফ্রান্সের মানুষের জাতিগত বা জাতি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ বা প্রক্রিয়াকরণ করা অবৈধ। ফরাসি কর্তৃপক্ষ সরকারী পরিসংখ্যান, আদমশুমারি বা প্রশাসনিক রেকর্ডের জন্য এই বিভাগগুলি ব্যবহার করে না। পরিবর্তে, তারা ফ্রান্সের বিভিন্ন গোষ্ঠীর উত্স, বৈষম্য এবং ইন্টিগ্রেশন বা সংহতকরণের বৈচিত্র্য অধ্যয়ন করতে মানুষের জন্মের দেশ, জাতীয়তা বা স্ব-সনাক্তকরণ বা সেলফ-আইডেন্টিফিকেশনের মতো অন্যান্য সূচকগুলি ব্যবহার করে। অবশ্য কিছু এস্টিমেশন অনুসারে, মেট্রোপলিটন ফ্রান্সের জনসংখ্যার প্রায় ৮৫% শ্বেতাঙ্গ বা ইউরোপীয় বংশোদ্ভূত, ১০% উত্তর আফ্রিকার বংশোদ্ভূত, ৩.৩% কৃষ্ণাঙ্গ, এবং ১.৭% এশীয় বংশোদ্ভূত।

কিন্তু দেশটিতে কোনও ধরণের জাতিগত তথ্য সংগ্রহ করা অবৈধ ও অসাংবিধানিক বলে তারা এক ধরণের দ্বিতীয় শ্রেণি হিসাবে বিদ্যমান,  সরকারি নথিতে তাদের কোন আলাদা পরিচয় নেই, ফলে তাদের ওপর হওয়া রেসিজম সংক্রান্ত আলোচনাও হয়না, কারণ তাদের আইডেন্টিটিও স্বীকৃত নয়, যেহেতু দেশের সবাই ফ্রেঞ্চ। আইডেন্টিটি চিহ্নিত না হলে তার ভিত্তিতে সিস্টেমেটিক স্ট্রাগল সম্ভব না যার মধ্যে দিয়ে ইউএস গিয়েছে, আর এভাবে এথনিক ও রেশিয়াল মিনোরিটির অধিকার নিশ্চিত করেছে। এর ফলে ফ্রান্সে সিস্টেমেটিক রেসিজম চলতে থাকে, আর এর ফলে তার জমে থাকা প্রতিক্রিয়ায় এরকম রায়টের ঘটনা ঘটে।

সুতরাং ফ্রান্সের ক্ষেত্রে যেটা হয়েছে, সেটা হল, তারা জানেও না তাদের দেশে জাতিগত সমস্যাটা কতটা বড়। এটি সম্ভবত জনসংখ্যার প্রায় ১৫% নন-এথনিক ফ্রেঞ্চ, কিন্তু আইনত শুধু ফ্রেঞ্চ, এবং এটি বর্ণবাদকে এমনভাবে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে বা ইনস্টিটিউশনালাইজড করেছে যে, তা এটা যে সব দেশে নেই সেসব দেশের লোকেদের জন্য বোঝা কঠিন।

এবার প্যারিস শহরের কথা ভাবা যাক। এই শহরের একটি আরবান সেন্টার বা শহুরে কেন্দ্র রয়েছে যেখানে এথনিক ফ্রেঞ্চরা বাস করে, যারা অর্থনৈতিকভাবে তুলনামূলকভাবে স্বচ্ছল, আর সেই কেন্দ্রের চারদিকে একটি সব-আরবান রিং রয়েছে যা বস্তির মতো, যেখানে নন-এথনিক ফ্রেঞ্চরা বাস করে, আর এরাও ফ্রেঞ্চ নাগরিক। এখানে স্পষ্টত দুটি আলাদা ক্লাস, ইকোনোমিক পজিশন, দুটো আলাদা জীবনধারার মানুষকে আলাদা করা যাচ্ছে, আর দুই জায়গার মানুষকে এথনিক ও নন-এথনিক ফ্রেঞ্চ হিসেবেও বিভক্ত করা যাচ্ছে। এখন স্পষ্টতই এখানে সিস্টেমিক রেসিজম জড়িত, নাহলে সাব-আর্বান অঞ্চলেও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে এথনিক ফ্রেঞ্চ ও আরবান অঞ্চলে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে নন-এথনিক ফ্রেঞ্চ দেখা যেত। এখানে রেইস বা বর্ণের সাথে আর্থিক অবস্থা, জীবনধারা সবই সম্পর্কিত। এখন রেইস ও এথনিসিটির কনসেপ্ট যদি পুরো বাদ দেয়, তাহলে বোঝারই উপায় নেই যে সমস্যাটা কী। কেননা শহরের কেন্দ্রে তুলনামূলক স্বচ্ছল ও বাইরের দিকে তুলনামূলক অস্বচ্ছল লোক বাস করবে – এটা তো অস্বাভাবিক কিছু নয়। হতেই পারে। সমস্যা দেখা যায় তখন যখন সব স্বচ্ছল একটি রেইসের, একটি এথনিসিটির, আর সব অস্বচ্ছল অন্য রেইসের, অন্য এথনিসিটির হয়। কিন্তু সেটা কী করে বোঝা যাবে? রাষ্ট্রের চোখে সবাই তো ফ্রেঞ্চ। ব্যাপারটা এমন যে, একটি দেশে সমস্যা আছে, কিন্তু সমস্যার সমাধান করা যাচ্ছে না, কেননা সেই সমস্যাটাকে রিকোগনাইজ করা বা স্বীকৃতি দেয়াটাই অবৈধ।

শুধু তাই না, ধরা গেল সমস্যাটাকে কোনভাবে স্বীকার করা হয়েছে। কিন্তু এরপর সমাধান কিভাবে করা হবে? এই ইস্যু কতটা বড় তা বোঝার জন্য প্রথম যে স্টেপ – সেই ডেটা কালেকশনেই তো যাওয়া সম্ভব নয়, এরপর আসবে সমস্যা সমাধানের জন্য রিসোর্স এলোকেশনের প্রশ্ন। কোন সরকারি বিভাগ এদেরকে আলাদা করে দেখে না, আলাদা করে দেখতে পায়না। আর তার ফলে সমস্যাটারও ঠিক মতো স্বীকৃতি হয়না, সমাধানের কথা বাদই দিলাম। না, সব বিভাগ নয়, একটা বিভাগ আছে, যারা আলাদা করে দেখে, আইন প্রয়োগকারী বিভাগ, কারণ এদের কাজ অপরাধ নিয়ে, আর অপরাধ স্বাভাবিকভাবেই অর্থনৈতিক কারণে সবার্বান ও বস্তি অঞ্চলে বেশি হয়, কিন্তু সেই অঞ্চলে কেবল এরাব ও কৃষ্ণাঙ্গরা থাকে বলে তারা এদেরকেই বেশি অপরাধী হিসেবে সাব্যস্ত করে, আর এর মাধ্যমে এদের মধ্যে এরাব ও কৃষ্ণাঙ্গ দেখলে সম্ভব্য অপরাধী বলে মনে হয়, আর তারই একটি আউটকাম হল নাহেলের মৃত্যু।

আর একটু ভেবে দেখুন। যখন সাবার্বের এরাব, কৃষ্ণাঙ্গরা দেখে তারা অস্বচ্ছল, আর  শহুরে কেন্দ্রের শ্বেতাঙ্গরা স্বচ্ছল, তাদের হাতেই আইন, আর তাদের পুলিশেরা মাঝে মধ্যেই তাদেরকে অপরাধী বলে আক্রমণ করে, ধরে নিয়ে যায়, তখন তাদের কেমনটা লাগে? তারা শহুরে এথনিক ফ্রেঞ্চদেরকে শত্রু হিসেবে ভাবে, পুলিশকে শত্রু হিসেবে ভাবে। আর এদের সিস্টেমিক রেসিজমের বিরুদ্ধে তারা একশন নেয়। ফ্রান্সের অনেক অংশ, এমনকি দেশটির বড় বড় শহরেও এভাবে এরাব, কৃষ্ণাঙ্গদের আর্মড ক্যাম্প বা স্বশস্ত্র শিবিরের মতো স্থান তৈরী হয় যেখান থেকে তারা সেই সব মানুষের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে পারে যারা ল এন্ড অর্ডার প্রদান করে। আর এই জায়গাগুলোতে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়াও অনেক সহজ হয় একই কারণে, তাদের মধ্যে জমা রাগ ও ক্ষোভ এটা সহজেই ছড়িয়ে দেয়, আর তাই এইসব প্রোটেস্ট শুরু একবার শুরু হলে অনেক বড় আকার ধারণ করে, যেমন এখন করতে যাচ্ছে।

এখন যারাই ফ্রান্সের ইকোনোমি ও পলিটিকাল সিস্টেম সম্পর্কে ধারণা রাখেন তারাই জানবেন ফ্রান্স অন্যান্য উন্নত দেশের থেকে অনেক দিক দিয়ে আলাদা। এরা কখনই নিজেদের ইকোনোমিকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সাথে একীভূত করেনা। সবসময় এরা নিজেদেরকে অন্যদের থেকে এক ধাপ আলাদা রেখেছে। এই বিশ্বাসয়নের যুগে একটি উন্নত দেশ হয়ে এরা গ্লোবালাইজেশনের উপর খুব একটা নির্ভর করে না। বরং তারা একরকম ফরাসি জাতীয়তাবাদী অর্থনীতি মেইনটেইন করতে চায়, আর এটা করতে গিয়ে তারা অনেক কিছুই মিস করে বা হারায় যা তারা গ্লোবালাইজড সিস্টেমের ক্ষেত্রে পেতে পারত।

এখন আমিই বলছি যে, আমি বিশ্বায়নের ফ্যান ও জাতীয়তাবাদের প্রতি বিদ্বেষী নই। এই ফ্রান্সকে দিয়েই ভাল-খারাপ দিকগুলো তুলে ধরছি। জাতীয়তাবাদী অর্থনীতিকে আঁকড়ে ধরার ফলে ফ্রান্সের লাভ হচ্ছে গ্লোবালাইজেশন ফল করলে ফ্রান্স তুলনামূলকভাবে কম আঘাত পাবে। যদি আগামীকাল ইইউ বিলুপ্ত হয়ে যায় এবং আগামী সপ্তাহে সমুদ্রের স্বাধীনতা বিলুপ্ত হয়ে যায়, তাহলে ফরাসি অর্থনৈতিক ব্যবস্থা মূলত অভ্যন্তরীণ হওয়ায় মোটামুটি টিকে যাবে। তারা কৃষি পণ্যের একটি বিশাল উত্পাদনকারী এবং রফতানিকারক; উত্তর সাগর এবং উত্তর-পশ্চিম আফ্রিকা উভয় দিকেই কাছাকাছি জায়গায় শক্তির উৎস্য আছে। বিপরীতে জার্মানি বিশ্বায়নকে সম্পূর্ণভাবে গ্রহণ করে নিজেদের অর্থনীতিকে এমন অবস্থায় নিয়ে গেছে যে চীন ও রাশিয়ান সমস্যাগুলো আসার পর এরা বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করেছে। রাশিয়াকে শত্রু হিসেবে দেখা তাদের জন্য অনেক কঠিন ছিল, কারণ তারা জ্বালানির জন্য রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল ছিল। কিন্তু ফরাসিদের এমন কোন সমস্যা হয়নি। কিন্তু এই একই জাতীয়তাবাদী চিন্তার জন্য তারা এরাব, কৃষ্ণাঙ্গ ও শ্বেতাঙ্গ সবাইকে কেবল একক ফ্রেঞ্চ পরিচয়ে অন্তর্ভুক্ত করেছে, আর এর মাধ্যমে জন্ম দিয়েছে একরকম সিস্টেমিক রেসিজমের, যেখান থেকে ফ্রান্স এখন আর বের হতে পারছে না, যা জন্ম দিয়েছে এরকম রায়টের, প্রটেস্টের। এখন থেকে বের হতে হলে ফ্রান্সকে তার জাতীয়তাবাদ, তার সংবিধানের সাথে একটু কম্প্রোমাইজ করতেই হবে…

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.




This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.