২০২০-২১ সালের বিশ্বব্যাপী চিপ ঘাটতি

২০২০-২০২১ সালের বৈশ্বিক চিপ ঘাটতি একটি চলমান সংকট যেখানে ইন্টিগ্রেটেড সার্কিটের চাহিদা (সাধারণত সেমিকন্ডাক্টর চিপ নামে পরিচিত) সাপ্লাইের চেয়ে বেশি। এই সংকট ১৬৯ টিরও বেশি শিল্পকে প্রভাবিত করে এবং গাড়ি, গ্রাফিক্স কার্ড, ভিডিও গেম কনসোল, কম্পিউটার এবং অন্যান্য পণ্যের জন্য ভোক্তাদের মধ্যে বড় মূল্য বৃদ্ধি, ঘাটতি এবং সারির সৃষ্টি করেছে যাদের সেমিকন্ডাক্টরের প্রয়োজন। এই ঘাটতির সাধারণ কারণগুলির মধ্যে রয়েছে কোভিড-১৯ মহামারী, চীন-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য যুদ্ধ এবং বিভিন্ন তীব্র আবহাওয়ার ঘটনা।

কারণসমূহ

বিশ্বব্যাপী চিপ সংকটের কারগুলোর মধ্যে কোভিড-১৯ মহামারীর স্নোবল প্রভাবের সাথে বিভিন্ন ঘটনার সংমিশ্রণ প্রাথমিক কারণ। অন্যান্য কারণগুলোর মধ্যে চীন-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য যুদ্ধ এবং তাইওয়ানে ২০২১ সালের খরাকে দায়ী করা হয়েছে।

কোভিড-১৯ অতিমারী : কোভিড-১৯ মহামারীর ফলে রিমোট ওয়ার্ক বা দূরবর্তী কাজ এবং রিমোট লার্নিং বা দূরবর্তী শিক্ষণ বৃদ্ধি পায়। এর ফলে কম্পিউটার, নেটওয়ার্ক পেরিফেরাল, এবং অন্যান্য ভোক্তা ইলেকট্রনিক্স চাহিদা বৃদ্ধি পায়। আর যেহেতু এগুলোতে চিপস এর ব্যবহার হয়, তাই চিপসেরও চাহিদা বেড়ে যায়। এদিকে লকডাউনের কারণে চিপের উৎপাদন সুবিধা বন্ধ করে দেওয়া হয়, যার ফলে এর উৎপাদনের হ্রাস ঘটে। ২০২০ সালের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে, ট্রেডিশনাল কম্পিউটার বিক্রয় আগের বছরের চেয়ে ২৬.১ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।

চীন-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য যুদ্ধ : ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে চীন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অর্থনৈতিক দ্বন্দ্বের অংশ হিসাবে মার্কিন বাণিজ্য বিভাগ চীনের বৃহত্তম চিপ প্রস্তুতকারক সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্টারন্যাশনাল কর্পোরেশনের (এসসিআইসি) উপর বিধিনিষেধ আরোপ করে, যা তাদের জন্য আমেরিকান সম্পর্ক যুক্ত সংস্থাগুলিকে বিক্রি করা কঠিন করে তোলে। এই বিধিনিষেধগুলির ফলে সংস্থাগুলি তাইওয়ান সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেড (টিএসএমসি) এবং স্যামসাং-এর মতো অন্যান্য উত্পাদন কারখানা ব্যবহার করতে বাধ্য হয়। কিন্তু এই সংস্থাগুলি ইতিমধ্যেই তাদের ম্যাক্সিমাম ক্যাপাসিটিতে উৎপাদন করে ফেলেছিল। ফলে চিপের সাপলাই কমে যায়।

তীব্র আবহাওয়া : ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে তীব্র শীতকালীন ঝড় স্যামসাং এবং এনএক্সপি সেমিকন্ডাক্টরের মালিকানাধীন টেক্সাসের অস্টিনে দুটি কারখানা বন্ধ করতে বাধ্য করে, যার ফলে এই দুটি কারখানা থেকে কয়েক মাসের জন্য সাপ্লাই বন্ধ হয়ে যায়। তাইওয়ান বিশ্বব্যাপী সেমিকন্ডাক্টর শিল্পকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। শুধুমাত্র টিএসএমসি ২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী ওয়েফার ফাউন্ড্রি বাজারের ৫০% এরও বেশি দখল করে রেখেছে। ২০২১ সালে, তাইওয়ান অর্ধ শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে সবচেয়ে খারাপ খরার সম্মুখীন হয়, ফলে সেখানে জলের সংকট দেখা যায়, কিন্তু কারখানা এবং ওয়েফার পরিষ্কার করার জন্য প্রচুর পরিমাণে অতি-বিশুদ্ধ জলের প্রয়োজন। এর ফলে চিপ প্রস্তুতকারকদের মধ্যে সমস্যা দেখা দেয়। উদাহরণস্বরূপ, টিএসএমসির ফ্যাসিলিটিগুলো দিনে ৬৩,০০০ টনেরও বেশি জল ব্যবহার করত, যা দুটি স্থানীয় জলাধার সাপ্লাইের ১০ শতাংশেরও বেশি।

ফ্যাসিলিটিগুলোতে আগুন : ২০২০ সালের অক্টোবরে এডিসি এবং ডিএসি উপাদানগুলিতে স্পেশালাইজড, এমন একটি আসাহি কাসেই সেমিকন্ডাক্টর প্ল্যান্টে আগুন ধরে যায়। রেনেসাস ইলেকট্রনিক্সের মালিকানাধীন আরেকটি জাপানি কারখানা, যা গাড়িতে ব্যবহৃত মাইক্রোকন্ট্রোলার ইউনিটের জন্য বিশ্ব বাজারের ৩০ শতাংশ সাপ্লাই করে, তাতে মার্চ ২০২১ সালে আগুন ধরে যায়; রেনেসাস জানায় যে তাদের স্বাভাবিক উৎপাদনে ফিরে আসতে কমপক্ষে ১০০ দিন সময় লাগবে।

প্রভাবিত শিল্প

গোল্ডম্যান স্যাক্সের একটি বিশ্লেষণ অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী চিপ ঘাটতির কারণে কমপক্ষে ১৬৯টি শিল্প প্রভাবিত হয়েছে, যেখানে মোটরগাড়ি এবং ভোক্তা ইলেকট্রনিক্স শিল্পগুলি এই সংকটে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

গাড়ি : গড়পড়তায় আধুনিক গাড়িতে ১,৪০০ থেকে ১,৫০০টি চিপস থাকতে পারে, কোন কোনটিতে এমনকি ৩,০০০টি পর্যন্ত চিপস থাকে। গাড়ি বিশ্বব্যাপী চিপ উৎপাদনের ১৫ শতাংশই গ্রহণ করে, যেখানে যখন ব্যক্তিগত ইলেকট্রনিক্স প্রায় ৫০ শতাংশের জন্য দায়ী। চিপ রাজস্ব অ-মোটরগাড়ি খাতের দিকে আরও তির্যক। ২০২১ সালে চিপ ঘাটতির কারণে বিশ্বব্যাপী মোটরগাড়ি শিল্প ২১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেভেনিউ হাজাবে। মহামারীর শুরুতে, গাড়ি নির্মাতারা ভুলভাবে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে বিক্রয় হ্রাস পাবে। এর ফলে তারা চিপ অর্ডার বাতিল করে, আর তাই চিপের এই বর্ধিত চাহিদা পূরণে তারা অপ্রস্তুত ছিল। এদিকে আইটি খাত থেকে চিপ নির্মাতারা অনেক প্রতিশ্রুতি পায়, যার ফলে এরা গাড়ির চিপের ক্যাপাসিটি কমিয়ে দেয়। ফোর্ড কেন্টাকি স্পিডওয়েতে হাজার হাজার আনফিনিশড ভেহিকল পার্ক করে রেখেছে, কারণ সংস্থাটি এখনও চিপসের জন্য অপেক্ষা করছে যেগুলো এলে গাড়িগুলোর এসেম্বলিং শেশ হবে। টয়োটা ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিশ্বব্যাপী যানবাহন উৎপাদন ৪০ শতাংশ হ্রাস করার পরিকল্পনা করেছে, যখন জেনারেল মোটরস ঘোষণা করেছে যে তারা একই মাসে এক বা দুই সপ্তাহের জন্য তার উত্তর আমেরিকান প্ল্যান্টগুলিতে প্রায় সমস্ত গাড়ির উৎপাদন বন্ধ করে দেবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ২০২০ সালের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে সালে যতগুলো নতুন গাড়ি বিক্রি করেছিল, ২০২১ সালের একই সময়ে তার মাত্র দুই-তৃতীয়াংশ নতুন গাড়ি বিক্রয় হয়, কারণ চিপসের সাপ্লাই ডিমান্ডকে ফুলফিল করতে পারেনি। ওপেল চিপসের ঘাটতির কারণে ২০২২ সাল পর্যন্ত তার আইজেনচ উৎপাদন কারখানা বন্ধ করে দেয়, যার ফলে ১,৩০০ শ্রমিককে সাময়িকভাবে ছাঁটাই করা হয়।

গ্রাফিক্স কার্ড, গেমিং পিসি ও ভিডিও গেম কনসোল : ২০২১ সালে ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিং বৃদ্ধি পায়। এর ফলে বিশ্বব্যাপী গেমিং এর চাহিদাও বেড়ে যায়। তাছাড়া লকডাউনের সময় ঘরে বসে সময় কাটানোর অন্যতম উপায় ছিল গেমিং, সেজন্যেও গেমিং এর চাহিদা অনেক বাড়ে। আর বড় বড় ও উন্নত মানের গেইমগুলো খেলতে লাগে গ্রাফিক্স কার্ড। কিন্তু বিশ্বব্যাপী যে চিপ সংকট শুরু হয় তার ফলে একটি নতুন গ্রাফিক্স কার্ড ক্রয় করাও কঠিন হয়ে যায়। গেমিং পিসিগুলোর কম্পোনেন্টগুলোকে খুঁজে পাওয়া আরও কঠিন এবং আরও ব্যয়বহুল হয়ে ওঠে, এবং গেমিং পিসিগুলি তাদের বিচ্ছিন্ন (কখনও কখনও ডেডিকেটেডও বলা হয়) গ্রাফিক্স তৈরি করার জন্য এএমডি বা এনভিডিয়ার উপর নির্ভর করে। এদিকে এই উভয় সংস্থাই প্যান্ডেমিকের সময় তাদের লাইনআপগুলোকে রিফ্রেশ করে জনপ্রিয় নতুন মডেল তৈরি করেছে, কিন্তু এখন সেগুলো খুঁজে পাওয়া আর কেনা অনেক কঠিন হয়ে গেছে। এগুলোর দাম এখন এমএসআরপি এর চেয়ে ৫০ থেকে ৩০০ পারসেন্ট বেশি। কোভিড-১৯ মহামারীর সময়, ভাইরাসের বিস্তার রোধের জন্য সিনেমা এবং প্রেক্ষাগৃহবন্ধ করে দেওয়া হয়, যার ফলে অনেক মানুষ সেলফ-আইসোলেশনের সময় বাড়িতে এনজয় করা যায় এমন বিনোদনের দিকে ঝুঁকে পড়ে, যা ভিডিও গেম কনসোলের চাহিদা বাড়িয়ে দেয়। মহামারীর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নবম প্রজন্মের ভিডিও গেম কনসোল প্রকাশের সাথে সাথে এর চাহিদা আরও বৃদ্ধি পায়। মাইক্রোসফট এবং সনি উভয়ই তাদের নতুন কনসোলের জন্য রেকর্ড ডিমান্ড রিপোর্ট করে। মাইক্রোসফট ফেব্রুয়ারি ২০২১ সালে আশা করেছিল যে এক্সবক্স সিরিজ এক্স এবং সিরিজ এস এর ঘাটতি কমপক্ষে ২০২১ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে, অন্যদিকে সনি মে ২০২১ সালে সতর্ক করে দেয় যে প্লেস্টেশন ৫ কনসোলের স্বল্প সাপ্লাই ২০২২ সালে অব্যাহত থাকবে। উভয় সংস্থাই তাদের নবম প্রজন্মের কনসোলে টিএসএমসি দ্বারা নির্মিত এএমডি চিপ ব্যবহার করে, যা সাপ্লাই লাইনের উপর অতিরিক্ত চাপ ফেলে। এদিকে সাপ্লাই এর সমস্যা অব্যাহত থাকায়, তথাকথিত স্ক্যালপাররা তাদের খুচরা মূল্যের চেয়ে ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ বেশি ইবে এর মতো ওয়েবসাইটে কনসোলগুলি পুনরায় বিক্রি করছে। নিন্টেন্ডো ২০ শতাংশ কম সুইচ কনসোল তৈরি করেছে। সংস্থাটি মূলত ৩০ মিলিয়ন ইউনিট উৎপাদনের পরিকল্পনা করেছিল, তবে ২০২২ এর মার্চ পর্যন্ত অর্থবছরের মধ্যে তারা কেবলমাত্র ২৪ মিলিয়ন ইউনিট উৎপাদন করতে সক্ষম হবে।

প্রতিক্রিয়া

সরকার : ২০২১ এর ২৪ ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সেমিকন্ডাক্টর সাপ্লাই চেইনকে শক্তিশালী করার বিকল্প পর্যালোচনা করে চিপ ঘাটতি দূর করার চেষ্টা করে একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন। পরে এপ্রিল মাসে, প্রধান প্রযুক্তি সংস্থাগুলির সিইও এবং মার্কিন সরকারী কর্মকর্তারা হোয়াইট হাউসের সাথে একটি ভার্চুয়াল শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেন সেমিকন্ডাক্টর সাপ্লাই চেইনের স্থিতিস্থাপকতা উন্নত করার বিষয়ে কথা বলার জন্য। ২৩ সেপ্টেম্বরে একটি নতুন ভার্চুয়াল সভায় হোয়াইট হাউস গাড়ি নির্মাতা, চিপ প্রস্তুতকারক এবং অন্যান্যদের চলমান সংকট সম্পর্কে তথ্য সাপ্লাই করার জন্য এবং এটি সমাধানে সহায়তা করার জন্য নেতৃত্ব দিতে চাপ দেয়, যে সংকটের ফলে মার্কিন অটোমোবাইল উৎপাদন কাটছাঁট করতে হয়েছে। ১৫ সেপ্টেম্বরে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লেয়েন তার স্টেট অফ দ্য ইউনিয়ন ভাষণে আসন্ন “ইউরোপিয়ান চিপস অ্যাক্ট” অনুসরণ করেন। ঘোষণা করা হয়েছিল যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন আঞ্চলিক সেমিকন্ডাক্টর সাপ্লাই চেইনে বৃহত্তর স্থিতিস্থাপকতা এবং সার্বভৌমত্বের জন্য আইন ব্যবহার করবে। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ভারত তার চিপ উৎপাদন ভিত্তি বাড়ানোর পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে।

কোম্পানি : ২০২১ এর ২২ জুলাই ইন্টেলের সিইও প্যাট গেলসিঙ্গার বলেন, তিনি আশা করেন ২০২১ সালের দ্বিতীয়ার্ধে চিপের ঘাটতি আরও খারাপ হবে এবং সাপ্লাই স্বাভাবিক হতে এক বা দুই বছর সময় লাগবে। ১৯ আগস্ট এনভিডিয়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জেনসেন হুয়াং বলেন, তিনি আশা করেন ২০২২ সালের মধ্যে এই ঘাটতি ভালোভাবে অব্যাহত থাকবে। অন্যদিকে এএমডির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লিসা সু ২৭ সেপ্টেম্বর বলেন, ২০২২ সালের দ্বিতীয়ার্ধে ঘাটতির উন্নতি হবে। যদিও তিনি সতর্ক করে দেন যে ততদিন পর্যন্ত সাপ্লাই কঠোর থাকবে। তবে আইবিএম-এর সিইও অরবিন্দ কৃষ্ণ ১১ অক্টোবর বলেছিলেন যে ২০২২ সালের শেষের দিকে চিপ ঘাটতির সমাধানের যে কোনও ভবিষ্যদ্বাণীই আশাবাদী, এবং তিনি সম্ভাবনা দেখছেন যে ২০২৩ বা ২০২৪ সাল পর্যন্ত বিষয়টি পুরোপুরি সমাধান করা হবে না। ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১ তারিখে তাইওয়ানের টিএসএমসি বলেছে যে তারা বিশ্বব্যাপী চিপ সংকট কাটিয়ে উঠতে সকল স্টেকহোল্ডারদের সক্রিয়ভাবে সমর্থন ও কাজ করছে। ২৩ সেপ্টেম্বর হোয়াইট হাউসের ভার্চুয়াল সভায় অংশগ্রহণের পর তারা এই পদক্ষেপ নিয়েছে। এর আগে ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে টিএসএমসি ঘোষণা করে যে তারা আগামী তিন বছরে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করেছে, যাতে এর কারখানায় ক্ষমতা বৃদ্ধি করা যায়। তার কয়েক দিন আগে ইন্টেল অ্যারিজোনায় তার উন্নত চিপ তৈরির ক্ষমতা সম্প্রসারণের জন্য ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পরিকল্পনা ঘোষণা করে। ইতিমধ্যে ২০২০ এর মে মাসে টিএসএমসি অ্যারিজোনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তাদের দ্বিতীয় উত্পাদন সাইটে একটি সেমিকন্ডাক্টর ফ্যাব নির্মাণ এবং পরিচালনা করার জন্য তার ১২ বিলিয়ন ডলারের পরিকল্পনা ঘোষণা করে। ২০২১ সালের জুন মাস পর্যন্ত নির্মাণ কাজ চলছে, ২০২৪ সালে চিপ উৎপাদন শুরু হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। ২০২১ সালের ২০ সেপ্টেম্বরে মার্কিন গাড়ি নির্মাতা জেনারেল মোটরসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেরি বারা বলেন, চিপের ঘাটতি সাপ্লাই চেইনকে পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য করেছে। বারা বলেছিলেন যে সংস্থাটি চলমান বৈশ্বিক চিপ ঘাটতির সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য সাপ্লায়ারদের পরিবর্তে চিপ নির্মাতাদের কাছ থেকে সরাসরি আরও সেমিকন্ডাক্টারের মজুদ করবে। ২০২১ সালের ২৯ নভেম্বর নিসানের সিইও মাকোতো উচিদা বিবিসিকে বলেন, মাইক্রোচিপের স্বাভাবিক ডেলিভারি কখন পুনরায় শুরু হবে তা এখনই বলা সম্ভব নয়।

তথ্যসূত্র – উইকিপিডিয়া

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.




This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.