২০০৩ সালে ইরাক আক্রমণের কারণ

ইউএন কোয়ালিশন ও ইরাকের মধ্যে একটি যুদ্ধ-বিরতি আলোচনার মধ্য দিয়ে ১৯৯১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি উপসাগরীয় যুদ্ধের সংঘাত স্থগিত করা হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা সাদ্দামকে অপারেশন সাউদার্ন ওয়াচের মতো সামরিক পদক্ষেপের সাথে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেছিল। এই পদক্ষেপে জয়েন্ট টাস্ক ফোর্স সাউদ এশিয়া (JTF-SWA) থার্টি সেকেন্ড প্যারালেলের দক্ষিণে এয়ারস্পেইসকে মনিটরিং ও কন্ট্রলিং করত, এবং ইরাকের ওপর আরোপিত ইকোনমিক স্যাংকশনকেও দেখভাল করত। একসময় এদের রিপোর্টে প্রকাশিত হয় যে, ১৯৭২ সালে যে বায়োলজিকাল উইপন কনভেনশন (BWC) হয় তাকে লঙ্ঘন করে ১৯৮০ এর দশকে ইউএস ও ইউরোপের সহায়তা নিয়ে ইরাকে একটি বায়োলজিকাল উইপনস প্রোগ্রাম চালু হয়েছিল। ১৯৯০-৯১ এর গালফ ওয়ারের পর ইরাকে ইউনাইটেড ন্যাশনস স্পেশাল কমিশন (UNSCOM) এর তদন্তে ইরাকের এই বায়োলজিকাল উইপনস প্রোগ্রাম ও কেমিকেল উইপনস প্রোগ্রামের বিস্তারিত প্রকাশিত হয়ে যায়। সাদ্দামের ঘাড়ে তখন যুদ্ধ-পরবর্তী ডিসআর্মামেন্ট বা নিরস্ত্রীকরণের আদেশ ছিলই, এর ওপর এই বিধিবহির্ভূত বায়োলজিকাল ও কেমিক উইপন্স প্রোগ্রামের অভিযোগ আসে। তবে তদন্তে উপসংহার টানা হয় যে, উপসাগরীয় যুদ্ধের পর এই প্রোগ্রামগুলো আর অব্যাহত রাখা হয়নি। এদিকে ইউএস ও তার মিত্ররা ইরাকের ওপর “কনটেইনমেন্ট” এর নীতি বজায় রাখে। এর অধীনে ছিল ইউএন সিকিউরিটি কাউন্সিল দ্বারা দেশটির ওপর অনেক রকম ইকোনমিক স্যাংকশন আরোপ, ইউএস দ্বারা ঘোষিত ইরাকি নো-ফ্লাই জোন এর বলবৎকরণ, এবং ইরাকি সরকারের দ্বারা দেশটির দক্ষিণে শিয়াদের, ইরাকি কুর্দিস্তানে কুর্দিদের ওপর এয়ার-এটাক বন্ধের জন্য ইউকে-এর চাপ, এবং অব্যাহত নজরদারি। নিয়মিতভাবেই নো-ফ্লাই জোনগুলোতে ইরাকি হেলিকপ্টার ও বিমানগুলোর উড্ডয়ন নিয়ে ঝামেলা লেগে থাকত। ১৯৯৮ সালের আগস্ট মাসে সাদ্দাম হোসেন ইউএন এর ইনস্পেক্টরদেরকে তাদের ইনস্পেকশনের কাজ চালিয়ে যেতে বাধা দেন ও বহিষ্কার করেন। এদের কাউকে তিনি ইউএস এর জন্য গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আনেন। এতে পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলোতে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া ও আশঙ্কার সৃষ্টি হয়।

১৯৯৮ সালের অক্টোবরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইরাক লিবারেশন অ্যাক্ট পাশ করে, আর এর মাধ্যমে ইরাকের সরকারের পরিবর্তন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিতে পরিণত হয়। এখন এই আইনটি নিয়ে আলাদাভাবে আলোচনা করা দরকার। এই আইনে বলা হয়, ১৯৮০ থেকে ১৯৯৮ সালের মধ্যে ইরাক – (১) বিভিন্ন ও উল্লেখযোগ্য আন্তর্জাতিক আইনকে লঙ্ঘন করেছে, (২) উপসাগরীয় যুদ্ধের পরে এটি যে বাধ্যবাধকতাগুলিতে সম্মত হয়েছিল তা মেনে চলতে ব্যর্থ হয়েছে এবং (৩) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবকে উপেক্ষা করেছে। আইনটিতে ঘোষণা করা হয় যে, “রেজিম চেঞ্জ” বা “সরকার পরিবর্তন”-কে সমর্থন করা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নীতি। আইনটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসে ৩৬০-৩৮ এবং সিনেটে সর্বসম্মত সম্মতিতে পাস হয়েছিল (ডেমোক্রেটিক ও রিপাবলিকানরা হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস ও সিনেট উভয়তেই মোটামুটি অর্ধেক-অর্ধেক ছিল। অর্থাৎ এতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লিবারাল ও কনজারভেটিভ উভয়েরই সমর্থন ছিল বলতে হবে)। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন ১৯৯৮ সালের ৩১ অক্টোবর বিলটি আইনে পরিণত করেন। আইনটির ঘোষিত উদ্দেশ্য ছিল: “ইরাকে গণতন্ত্রের রূপান্তরকে সমর্থন করার জন্য একটি প্রোগ্রাম প্রতিষ্ঠা করা। বিশেষ করে, কংগ্রেস খুঁজে পেয়েছে যে, অতীতের ইরাকি মিলিটারি অ্যাকশনগুলো আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন করেছে, এবং ইরাক দেশটিতে ইউনাইটেড ন্যাশনস স্পেশাল কমিশন অন ইরাক (UNSCOM) এর ইনস্পেক্টরদেরকে প্রবেশ করতে দেয়নি, যারা দেশটিতে উইপনস অফ মাস ডেস্ট্রাকশন নিয়ে পর্যবেক্ষণ করতে গিয়েছিল। কংগ্রেস ঠিক করেছে, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নীতি এই হওয়া উচিৎ যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরাকের ক্ষমতা থেকে সাদ্দাম হোসেনকে সরিয়ে দিতে সহায়তা করবে ও তার সরকারকে প্রতিস্থাপিত করে একটি গণতান্ত্রিক সরকারের উত্থানকে উৎসাহিত করবে।” ১৯৯৮ সালের ১৬ ই ডিসেম্বর, রাষ্ট্রপতি বিল ক্লিনটন অপারেশন ডেজার্ট ফক্স চালু করেন, যা ছিল ইরাকি টারগেটগুলোতে একটি চার দিনের বোম্বিং ক্যাম্পেইন।

প্রেসিডেন্ট ক্লিনটন ১৯৯৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে বলেছিলেন, “ইরাক স্বীকার করেছে, অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে, দেশটির একটি আক্রমণাত্মক জৈবিক যুদ্ধের ক্ষমতা রয়েছে। বিশেষ করে তাদের ৫,০০০ গ্যালন বোটুলিনাম, যা বোটুলিজম ঘটায়; ২,০০০ গ্যালন অ্যানথ্রাক্স; ২৫টি বায়োলজিকাল-ফিলড স্কাড ওয়ারহেড; এবং ১৫৭ টি বায়বীয় বোমা। এবং আমি বলতে পারি যে UNSCOM-এর ইন্সপেক্টররা বিশ্বাস করেন যে ইরাক আসলে তার উৎপাদনকে অনেক কমিয়ে দিয়েছে। … গত কয়েক মাস ধরে, যখন অস্ত্র পরিদর্শকরা ইরাকের অবশিষ্ট পারমাণবিক ক্ষমতা নির্মূল করার কাছাকাছি এসেছেন, সাদ্দাম তখনই ইন্সপেক্টরদের উপর শর্ত আরোপ করে এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলিতে ইনস্পেকশন করা যাবে না বলে ঘোষণা করে। … এটা স্পষ্ট যে, ১৯৯১ সাল থেকে এই অভিযানের পুরো ইতিহাসের উপর ভিত্তি করে এখানে একটি প্রচেষ্টা নেয়া হয়েছে, তারা গণবিধ্বংসী অস্ত্র তৈরির জন্য তাদের হাতে যেটুকু ক্ষমতার অবশিষ্ট রয়েছে সেগুলোকে, সেগুলোকে ডেলিভার করার জন্য ক্ষেপণাস্ত্রগুলো, ও সেগুলো উৎপাদন করার জন্য ফিড স্টকগুলোকে রক্ষা করতে চায়। UNSCOM-এর ইন্সপেক্টররা বিশ্বাস করেন যে, ইরাকে এখনও রাসায়নিক ও জৈবিক অস্ত্রের মজুদ রয়েছে, তাদের কাছে স্কাড-টাইপ ক্ষেপণাস্ত্রের একটি ছোট বাহিনী এবং এর উৎপাদন কর্মসূচী দ্রুত পুনরায় চালু করার ক্ষমতা রয়েছে যার দ্বারা এই সব অস্ত্র প্রচুর পরিমাণে তৈরি করা সম্ভব। … এখন, আসুন ভবিষ্যতের কথা কল্পনা করা যাক। যদি তিনি তা মেনে চলতে ব্যর্থ হন এবং আমরা কাজ করতে ব্যর্থ হই, অথবা আমরা কিছু অস্পষ্ট তৃতীয় পথ গ্রহণ করি, যা তাকে গণবিধ্বংসী অস্ত্রের এই প্রোগ্রামটি বিকাশের জন্য আরও বেশি সুযোগ দেয়া হয় এবং তাদের ওপর চাপানো নিষেধাজ্ঞাগুলি মুক্তির জন্য চাপ দিতে থাকা হয়, এবং তিনি যে গুরুতর প্রতিশ্রুতিগুলি করেছিলেন তা উপেক্ষা করা চালিয়ে যান তবে কী হবে? তাহলে তিনি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হবেন যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তার ইচ্ছা শক্তি হারিয়েছে। তারপরে তিনি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হবেন যে তিনি তার ইচ্ছে মত কাজ করতে পারে এবং বিধ্বংসী ধ্বংসের একটি অস্ত্রাগার পুনর্নির্মাণের জন্য আরও বেশি কিছু করতে পারেন। এবং একদিন, কোনও ভাবে, আমি আপনাকে গ্যারান্টি দিচ্ছি যে, তিনি সেই অস্ত্রাগারটি ব্যবহারও করবেন। …

আইন পাশের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই আইনটি অনুযায়ী ইরাকের সাদ্দাম-বিরোধী গণতান্ত্রিক সংগঠনগুলোর সহায়তায় ৯৭ মিলিয়ন ইউএস ডলার প্রদান করে, উদ্দেশ্য ছিল ইরাকে গণতন্ত্রায়ণে রূপান্তরে সহায়তার জন্য একটি কর্মসূচীর প্রতিষ্ঠা। এই আইনটি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজোলিউশন ৬৮৭-এ বর্ণিত শর্তাবলীর সাথে সাংঘর্ষিক, যা অস্ত্র ও অস্ত্র কর্মসূচির উপরই কেবল দৃষ্টি নিবদ্ধ করে, কিন্তু সরকার পরিবর্তনের কোনও উল্লেখ করে না। ইরাক লিবারেশন অ্যাক্ট পাসের এক মাস পর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য ইরাকের অপারেশন ডেজার্ট ফক্স নামে একটি বোমাবর্ষণ অভিযান শুরু করে। এই প্রচারাভিযানের স্পষ্ট যুক্তি ছিল সাদ্দাম হোসেনের সরকারের রাসায়নিক, জৈবিক এবং পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির ক্ষমতাকে বাধাগ্রস্ত করা, তবে মার্কিন গোয়েন্দা কর্মীরাও আশা করেছিলেন যে এটি সাদ্দামের ক্ষমতার উপর কর্তৃত্বকে দুর্বল করতে সহায়তা করবে।

২০০০ সালে জর্জ ডব্লিউ বুশকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করার সাথে সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরাকের প্রতি আরও আগ্রাসী নীতির দিকে অগ্রসর হয়। ২০০০ সালের নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রচার মঞ্চ সাদ্দামকে “অপসারণের” পরিকল্পনায় ইরাক লিবারেশন অ্যাক্টের “সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন” হিসাবে “একটি স্টার্টিং পয়েন্ট” হিসেবে আহ্বান জানিয়েছিল। জর্জ ডব্লিউ বুশ প্রশাসন ছাড়ার পর ট্রেজারি সেক্রেটারি পল ও’নিল বলেন, বুশের অভিষেকের পর থেকেই ইরাকে হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল এবং যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের প্রথম বৈঠকে আগ্রাসন নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। ও’নিল পরে পিছু হটে বলেন, এই আলোচনাগুলি ক্লিনটন প্রশাসন কর্তৃক প্রথম প্রণীত পররাষ্ট্রনীতির ধারাবাহিকতার অংশ ছিল।

ইরাক আক্রমণে বুশ প্রশাসনের ঘোষিত আগ্রহ সত্ত্বেও, ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার আগ পর্যন্ত আগ্রাসনের দিকে সেভাবে আনুষ্ঠানিক কিছু সংঘটিত হয়নি। উদাহরণস্বরূপ, ইরাকের উপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় যদি কোনও বিমান বাহিনীর পাইলটকে গুলি করে হত্যা করা হয় তবে আক্রমনাত্মকভাবে প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য প্রশাসন অপারেশন ডেজার্ট ব্যাজার প্রস্তুত করেছিল, কিন্তু তা ঘটেনি। প্রতিরক্ষামন্ত্রী ডোনাল্ড রামসফেল্ড জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার (NSA) দ্বারা ১১ তারিখের মধ্যাহ্নের মধ্যে উপলব্ধ তথ্যকে অস্বীকার করেন যা আল-কায়েদার দোষারোপের দিকে ইঙ্গিত করে এবং দুপুরের মধ্যে পেন্টাগনকে ইরাক আক্রমণের পরিকল্পনা প্রস্তুত করার নির্দেশ দেন। সেদিন ন্যাশনাল মিলিটারি কমান্ড সেন্টারে তার সঙ্গে থাকা সহযোগীদের মতে, রামসফেল্ড জিজ্ঞাসা করেছিলেন: “সর্বোত্তম তথ্য আগে। কোন তথ্য শুধু ওসামা বিন লাদেনকেই নয়, একই সাথে সাদ্দাম হোসেনকেও আঘাত করার জন্য যথেষ্ট ভাল কিনা তা আগে বিচার করুন।” ২০০১ সালের নভেম্বরে রামসফেল্ডের লেখা একটি মেমো ইরাক যুদ্ধের কথা বিবেচনা করে। ৯/১১-এর প্রতিক্রিয়া হিসাবে ইরাক আক্রমণ করার যৌক্তিকতা ব্যাপকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে, কারণ সাদ্দাম হোসেন এবং আল-কায়েদার মধ্যে কোনও সহযোগিতা ছিল না।

২০০১ সালের ২০শে সেপ্টেম্বর, বুশ কংগ্রেসের একটি যৌথ অধিবেশনে ভাষণ দিয়েছিলেন (বিশ্বের কাছে সরাসরি সিমালকাস্ট করা হয়), এবং তার নতুন “সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ” বা “ওয়ার অন টেররের” ঘোষণা করেছিলেন। এই ঘোষণার সাথে “প্রাক-প্রতিরোধী” বা “প্রি-এম্পটিভ” সামরিক পদক্ষেপের মতবাদ ছিল, যা পরে বুশ ডকট্রিন নামে পরিচিত হয়। সাদ্দাম হোসেন এবং আল-কায়েদার মধ্যে সংযোগের অভিযোগের ক্ষেত্রে কিছু মার্কিন সরকারী কর্মকর্তা দাবি করেছিলেন যে ১৯৯২ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত সাদ্দাম এবং মৌলবাদী ইসলামী জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার মধ্যে একটি অত্যন্ত গোপনীয় সম্পর্ক বিদ্যমান ছিল, বিশেষ করে ইরাকি ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস (আইআইএস) এর সাথে জড়িত বেশ কয়েকটি বৈঠকের মাধ্যমে তার প্রমাণ পাওয়া যায়। বুশের কিছু উপদেষ্টা ইরাকের তাৎক্ষণিক আগ্রাসনের পক্ষে ছিলেন, অন্যরা একটি আন্তর্জাতিক জোট গঠন এবং জাতিসংঘের অনুমোদন পাওয়ার পক্ষে ছিলেন। বুশ শেষ পর্যন্ত ইউনাইটেড ন্যাশনসের অনুমোদন গ্রহণের চেষ্টা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, যদিও তখনও সেই অনুমোদন ছাড়াই আক্রমণ করার বিকল্পটি হাতে রেখেছিলেন।

সূত্র – 2003 invasion of Iraq

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.




This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.