ধুলোময় গ্যালাক্সির জন্য নক্ষত্রপুঞ্জ দায়ী

AMAL হতে নেওয়া II Zw 40 গ্যালাক্সির দৃশ্য
আন্ত-নক্ষত্রিক স্পেসকে যতটা আমরা শুন্য বা ফাঁকা ভাবি আসলে তা নয়। এক নক্ষত্র হতে আরেকটি নক্ষত্রের মধ্যে গ্যাস এবং মহাজাগতিক ধুলির আণুবীক্ষণিক দানায় বিদ্যমান। যেখানে পৃথিবীর ধুলিকণাই পরিষ্কার করা দুঃষ্কর, মহাজাগতিক ধুলিকণা গ্রহ গঠনের মৌলিক বীজ তৈরি হিসেবে ধরা যায়।
জ্যোর্তিবিজ্ঞানীরা অনেক প্রক্রিয়ায় চেষ্টা করে আসতেছে মহাজগতে এই ধুলিকণার উৎস নিয়ে এবং একটি দল পরিচালিত হচ্ছে লস এঞ্জেলস, ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির গবেষকদের দ্বারা, তারা আবিষ্কার করেছে যে নক্ষত্রের বিশাল সমারোহ আসলে মহাজাগতি ধুলিকণা দিয়েই গঠিত এবং অপসারিত হয়েছে। এটা আগে থিউরির মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল।
“লোকজন ছায়াপথের এই বিশাল সমৃদ্ধি দেখেছে, কিন্তু তারা এটা দেখেনি আগে” গবেষকদলের প্রধান প্রফেসর জীন টারনার বলেন তার একটা বক্ত্যবে। তিনি আরো বলেন “আমরা দেখতেছি ছায়াপথের মতো বিশাল আকারে প্রাচুর্য্যতা এবং আমরা পরিষ্কারভাবে দেখতে পাচ্ছি কোথা হতে এগুলো আসতেছে”।
দলটি Atacama Large Millimeter/Submillimeter Array(ALMA) ব্যবহার করে গ্যালাক্সি II Zw 40 এর গবেষণা করেন। এই গ্যালাক্সিটি প্রায় ৩৩ মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। ALMA যা দেখতে পায়, মানুষ খালিচোখে তা দেখতে পায় না এবং এটা ব্যবহার হয় মহাবিশ্বের ঠান্ডা উপাদানের গবেষণার জন্য, যেমন গ্যাস, ধুলিকণা। গবেষকরা এই II Zw 40 গ্যালাক্সিটাকে নিয়েছে গবেষণার জন্য কারন এটা আমাদের জানা মহাবিশ্বের সবচেয়ে বড় নক্ষত্রমন্ডলে গঠিত।
“আমরা এমন একটা জায়গা হতে দেখছি যেখান হতে ধুলিকণার প্রাচুর্‍্যতা দেখা যায় এই বিশাল নক্ষত্রমন্ডলে” বলেন লিড অথর S. Michelle Consiglio।
পর্যবেক্ষণটি এস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল লেটারস-এ প্রকাশিত হয়। গ্যালাক্সির কেন্দ্রীয় অঞ্চলে ফোকাস করা হয় যেখানে একজন দুইটা ইয়াং স্টেলার ক্লাস্টার বা নক্ষত্রপুঞ্জ খুজে পান এর প্রতিটাতে প্রায় ১ মিলিয়ন নক্ষত্র আছে। দলটি এগুলোর মানচিত্র তৈরি করে যেখানে ধুলিকণা আছে এবং যা নক্ষত্রপুঞ্জ হতে ৩২০ আলোকবর্ষের মধ্যে কেন্দ্রীভূত।
“ডাবল ক্লাস্টার আসলে সুট ফ্যাক্টরি অর্থাৎ কালিঝুলির কারখানা যা আশপাশের পরিবেশকে দূষিত করতেছে” বলেন লিড অথর S. Michelle Consiglio।
“এই নক্ষত্রগুলোর বিবর্তনীয় সময়ের মাত্রা যথেষ্ট কম যা আপনি তাদের উৎস হতে অনেক দূরে গিয়ে অদৃশ্য হওয়ার আগে যদি সুযোগ হয় তাহলে দেখতে পাওয়া যায় এই ধুলিকণার” টারনার বলেন।
যেখানে গ্যালাক্সির ধুলো চক্রকে বুঝতে পারার ফলাফলটাই গুরুত্বপূর্ণ, পর্যবেক্ষণগুলো প্রক্রিয়ার একটা করে ছবি তোলা হয়। গবেষকদের পরিকল্পনা আরো অনেক বিভিন্ন বয়সের নক্ষত্রপুঞ্জ দেখা যাতে তারা ধুলো সমৃদ্ধ গ্যালাক্সি কিভাবে ঘটে তার পরিপূর্ণ পিকচার বুঝতে পারে।
তথ্যসূত্রঃ

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.




This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.