মানসিক অসুস্থতা যদি শারীরিক অসুস্থতার মতো চিকিৎসা করে যেত!

আমাদের মধ্যে চার জনে একজন মানসিক সমস্যা বা অসুস্থতা নিয়ে দিনানিপাত করতেছে। বিগত সময়ে এর হার ৬ জনে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা ছিল। কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে পৃথিবীব্যাপি এর মাত্রা বাড়তেছে, মানসিক অসুস্থতা এখনো দেশে বা অঞ্চলে ভুল-ধারণা এবং কালিমা বা লজ্জাজনক।

গত ১০ অক্টোবর গেল বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস গেল। মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে এমন ভুল ধারনা পরিবর্তন করার উপযুক্ত সময় এসে গেছে ওয়ার্ল্ড হেলথ ওর্গানাইজেশন এর। এই ব্যাপ্তিশীল সমস্যা বন্ধ করতে অনেকেই কথা বলতেছে যে ভুলধারণার চ্যালেঞ্জ এবং ভুলতথ্যের প্রাচুর্যতা নিয়ে।

প্রতিবছরই ভিন্ন ভিন্ন থিম বা প্রতিপাদ্য থাকে এবছরেও ছিল ‘মানসিক অসুস্থদের প্রথমিক সাহায্য এবং সমর্থন প্রদান করা’।

file

মানসিক অসুস্থতার বিষয়ে সবচেয়ে সাধারণ গুলোর একটি হচ্ছে ভুল ধারণা, সন্দেহ নেই ‘হতাশা’ আরেকটি। কারন কোন না কোনভাবে সাধারণ মানুষ এইটা মনে করে অথবা বুঝতে চাওয়ার ইচ্ছা শক্তির অভাব রাখে। কমিক শিল্পি রোবোট হাগস তার কমিকে ‘হেল্পফুল এডভাইস” নামক বিষয়টি বেশ ভাল লিখেছে। যেখানে শারীরিক অসুস্থ লোকেদের হাস্যকর ধারণা দিয়ে উপদেশ দেওয়া হচ্ছে এমন কিছু কল্পনা করা হয়েছে কমিকটাতে।  এটা বলবেন না কথা বলা এবং উপদেশ উপকার করে না। কিন্তু আপনি কাউকে যেন না বলে বসেন যার ভাঙ্গা হাত তাকে আরো ভালভাবে চেষ্টা করে সমস্যা সমাধান করতে, অথবা যার উচ্চ রক্তচাপ তাকে প্রতিদিন চিকিৎসা ব্যবস্থা নেওয়া অস্বাভাবিক।

আসল বিষয়টা হচ্ছে মানসিক স্বাস্থ্যের খুঁত খুঁতে ধরণের নয় যখন যে এটার প্রভাবে আসতে পারে না, যেমনি আপনি, আপনার প্রিয়কারো, বন্ধুর, পরিবারের কারো, কলিগ, অলিম্পিক মেডেলিস্ট, বিশ্বনেতার, বিখ্যাত চিন্তাবিদের, অভিনেতার, মডেল অথবা একজন গায়কেরও যে কোন ব্যক্তিরই মানসিক অসুস্থতা থাকতে পারে।

মানসিক অসুস্থতায় ভোগা কেউ হতে পারে যিনি সামাজিকভাবে নিঃসঙ্গ এবং সারাদিন বিছায় শুইয়ে থাকেন, কিন্তু এই ব্যক্তি অতীতে দেখা গেছে উচ্চ-অবসাদে অথবা উদ্বেগ জনিত অবস্থায় ছিল। এই মানুষগুলো বাইরে থেকে দেখতে বেশ সুখী, সাফল্য এবং কখনো মনে হয়নি সে আসলে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগতেছে। এমনো হয় যেই এসব রোগ সনাক্ত করার মতো অবস্থা থাকে না, তাই সমাধান করাও হয় না।

আপনার একার পক্ষে এই সমস্যা সমাধান করা কি সম্ভব? ফলে এর জন্য আপনি কি করতে পারেন?  যোগাযোগ এবং ধ্যনধারণার পরিবর্তনই একমাত্র উপায়। যদি আপনি অথবা যে কেউ এই সমস্যায় ভোগতে থাকেন অনেক জায়গায় আছে নিরাময়ের জন্য, অথবা আপনার সমস্যা গুলো নিয়ে কারো সাথে কথা বলুন, ডাক্তারের কাছে যান অথবা সাহায্য চান।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.




This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.