অলক্ষ্মী ও নির্ঋতি: হিন্দু পুরাণে দুই অশুভ শক্তির দেবী

অলক্ষ্মী (Alakshmi)

অলক্ষ্মী (Alakshmi) (দেবনাগরী: अलक्ष्मी) – নামটা শুনলেই কেমন একটা খটকা লাগে, তাই না? শব্দটা এসেছে দুটো মূল থেকে: ‘অ’ (a) মানে ‘না’ আর ‘লক্ষ্মী’ (Lakshmi) মানে তো জানেনই, সৌভাগ্যের দেবী। তো, অলক্ষ্মী মানে দাঁড়ালো ‘লক্ষ্মী নন’ বা ‘লক্ষ্মীর উল্টো’, অর্থাৎ ‘দুর্ভাগ্যের দেবী’ (goddess of misfortune)। শুনতে ভালো না লাগলেও, তার অস্তিত্ব কিন্তু পুরাণে বেশ ভালোভাবেই আছে।

তাকে বর্ণনা করা হয়েছে এমনভাবে যে শুনলে গায়ে কাঁটা দেয়। যেমন, তিনি নাকি ‘গরু-তাড়ানো (cow-repelling), হরিণ-পদ (antelope-footed), এবং বৃষ-দন্ত (bull-toothed)’ (Pattanaik, 2003)। আবার অন্য জায়গায় বলা হয়েছে, তার শরীরটা নাকি শুকনো খটখটে, গাল তোবড়ানো, ঠোঁট দুটো পুরু, আর চোখগুলো পুঁতির মতো গোল গোল। আর তিনি সওয়ারি করেন গাধার পিঠে (Pattanaik, 2003)। অলক্ষ্মীর আরও কিছু নাম আছে কিন্তু – কলহপ্রিয়া (Kalahapriya), দরিদ্রা (Daridara), জ্যেষ্ঠা (Jyestha) এবং লক্ষ্মীর ছায়া (shadow opposite of Lakshmi) (Narayan, 2011)।

এই দেবীর নাম কিন্তু বৈদিক (Vedic), ঔপনিষদিক (Upanishadic) বা আদি পৌরাণিক (early Puranic) সাহিত্যে সরাসরি পাওয়া যায় না। তবে অলক্ষ্মীর সব বৈশিষ্ট্যই ঋগ্বেদের (Rig Vedic) দেবী নির্ঋতির (Nirṛti) সাথে হুবহু মিলে যায়। আবার এও বলা হয়, তিনি নাকি লক্ষ্মীরই ছায়া। পদ্মপুরাণে (Padma Purana) অবশ্য তার কথা আছে। সেখানে বলা হয়েছে, সমুদ্রমন্থনের (Samudra Manthana) সময় যা কিছু ভালো-মন্দ উঠেছিল, তার মধ্যে অলক্ষ্মীও ছিলেন। মানে, সৃষ্টির শুরু থেকেই ভালো-মন্দের একটা প্যাকেজ ডিল আরকি (Pintchman, 2005)। পদ্মপুরাণ আরও বলছে, যা কিছু অশুভ আর খারাপ, তা আগে বেরিয়ে আসে। শুভ আর ভালো কিছু পেতে হলে বেশি খাটতে হয়, বুঝলেন কিনা!

অলক্ষ্মীকে নিয়ে একটা স্তোত্র (hymn) আছে, শুনুন কেমন:

অমঙ্গলা প্রধা জ্যেষ্ঠা কৃষ্ণ বর্ণা কুরূপিণী।
দর্দ দাম্পাহিনি দেবী সকল দুঃখ দায়িনী॥
– অজানা, শ্লোক ১

অর্থাৎ, জ্যেষ্ঠা, যিনি অমঙ্গল নিয়ে আসেন, ঘোর কালো যার গায়ের রঙ, দেখতেও কদাকার। যিনি যন্ত্রণা আর দুর্ভোগ দেন, জগতের সকল দুঃখের কারণ যিনি।

অলক্ষ্মী (Alakshmi)
পরিচয় দুর্ভাগ্য ও শোকের দেবী (Goddess of Misfortune and Grief)
অন্যান্য নাম জ্যেষ্ঠা (Jyestha), নিঋতি (Nirrti)
মন্ত্র অলক্ষ্মী নাশন মন্ত্র (Alakshmi nashana mantra) (অলক্ষ্মীকে ধ্বংস করার মন্ত্র)
বাহন কাক (Crow), গাধা (Donkey)
গ্রন্থ লিঙ্গ পুরাণ (Linga Purana) (Shastri, 1951), শ্রী সূক্তম (Shri Suktam), পদ্ম পুরাণ (Padma Purana)
বংশতালিকা
ভাইবোন লক্ষ্মী (Lakshmi)
স্বামী কলি (অসুর) (Kali (asura)), ঋষি উদ্দালক (Rishi Uddalaka) (পদ্ম পুরাণ অনুসারে)

সমুদ্রমন্থনের (Samudra Manthana) সময় প্রথমে অলক্ষ্মী, তারপর লক্ষ্মীর আবির্ভাব হয় (Krishna, 2001)। দেবতারা তখন অলক্ষ্মীকে বললেন, বাপু হে, তুমি বরং ক্ষতিকর মানুষদের মধ্যে গিয়ে থাকো, তাদের কপালে দারিদ্র্য আর শোক লিখে দাও (Pintchman, 2005)। তিনি হলেন অশুভতা ও শোকের অসুর (Asura), আর লক্ষ্মী হলেন শুভ ও আনন্দের দেবী (Devi)। একেবারে উল্টো আরকি!

চক্রবর্তী মহাশয়ের (Chakrabarty) মতে, “বলা হতো যে তিনি যখন কোনো বাড়িতে ঢুকতেন, তখন অলক্ষ্মী তার পিছু পিছু হিংসা আর বিদ্বেষ নিয়ে আসতেন। ভাইয়ে ভাইয়ে ঝগড়া লেগে যেত, পরিবার ও তাদের পুরুষানুক্রমিক বংশ (কুল) (kula) ধ্বংসের মুখে পড়ত” (Chakrabarty, 2000)। ভাবা যায় অবস্থা!

তবে একটা ব্যাপার আছে। বিশ্বাস করা হয় যে, অলক্ষ্মী নাশন মন্ত্র (Alakshmi Nashana Mantra) জপ করে অলক্ষ্মীকে তাড়ানো যায়। এই মন্ত্র একদিকে অলক্ষ্মী ও তার প্রভাব দূর করতে চায়, আর অন্যদিকে তার ভালো মনের বোন লক্ষ্মীকে প্রশংসা করে ঘরে ডেকে আনে। হিন্দু বাড়িতে, বিশেষ করে উত্তর ভারতে, দরজার চৌকাঠে একটা লেবু আর সাতটা সবুজ লঙ্কা ঝুলিয়ে রাখা হয়। এটা নাকি অলক্ষ্মীকে তাড়ানো বা তাকে একরকম স্বীকার করে নেওয়ারই একটা রীতি। কেউ কেউ বলেন, লেবুর টক আর লঙ্কার ঝাল মিলে এমন একটা গন্ধ তৈরি করে, যা অলক্ষ্মী মোটেই সহ্য করতে পারেন না। আবার অনেকে মনে করেন, অলক্ষ্মী টক-ঝাল জিনিস পছন্দ করেন, তাই দরজায় দাঁড়িয়েই তিনি তার ভাগ পেয়ে যাবেন। আর তার বোন লক্ষ্মী, যিনি মিষ্টি খাবার বেশি পছন্দ করেন, তিনি তখন অনায়াসে ঘরে ঢুকতে পারবেন। বেশ মজার বিশ্বাস, তাই না?

আবার এমন লোকও আছেন, যারা মনে করেন অলক্ষ্মী অশুভতা আনলেও, তিনি আসলে মহাদেবীরই (Mahadevi) একটা রূপ। তিনি মানুষকে লক্ষ্মী-আকর্ষী (Lakshmi-attracting) কাজে উৎসাহিত করার জন্যই আসেন। ব্যাপারটা অনেকটা এরকম – সাফল্য পাওয়ার আগের যে সংগ্রাম, সেটাই যেন অলক্ষ্মী। তিনি খারাপ কাজ করা, দায়িত্বজ্ঞানহীন আর অলস লোকদের ঘরে দুর্ভাগ্য, দারিদ্র্য আর শোক নিয়ে আসেন, যাতে তারা কঠোর পরিশ্রম করে তার ছোট বোন লক্ষ্মীর আগমনের পথ তৈরি করতে পারে। তিনি তার কুখ্যাত আশীর্বাদ (infamous blessings) দিয়ে তাদের শাস্তি দেন যারা প্রত্যাশার চেয়ে কম কাজ করে, যাতে তারা সমৃদ্ধির সঠিক পথে ফিরে আসে। অন্যভাবে বললে, তাকে দেখা হয় দারিদ্র্য আর ব্যর্থতার সেই কষ্ট হিসেবে, যা প্রাচুর্য আর সাফল্যের আনন্দকে আরও বাড়িয়ে তোলে, যা সঠিক আচরণের পরেই আসে। মানে, দুঃখের পরেই সুখের মর্মটা ভালো বোঝা যায় আরকি!

দীপাবলির (Deepavali) সময় হিন্দুরা লক্ষ্মীর পূজা করার আগে কিছু আচার-অনুষ্ঠান পালন করেন, যার মাধ্যমে অলক্ষ্মীকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাড়ি থেকে বিদায় জানানো হয়।

নির্ঋতি (Nirṛti)

আচ্ছা, নির্ঋতি (Nirṛti) নামের এই দেবীর কথা কি শুনেছেন কখনো? সংস্কৃতে (Sanskrit) নামটা হলো निर्ऋति, মানে Nirṛti। মাঝেসাঝে অবশ্য নিরুতি (Nirruti) বা নিরিতি (Nirriti) বানানও চোখে পড়ে। ইনি হলেন হিন্দুধর্মের এক দেবী, যিনি একাধারে মৃত্যু, ক্ষয় আর দুঃখের প্রতিমূর্তি। ভাবুন একবার, কেমন দেবী! পুরনো হিন্দু ধর্মগ্রন্থগুলোতে বলা হয়েছে, নির্ঋতি দেবী নাকি বাস করতেন মৃতদের রাজ্যে। তবে পরের দিকে, মানে পরবর্তী হিন্দুধর্মে, এই নির্ঋতি বা নিরৃত (Nirṛta) একজন পুরুষ দেবতা হিসেবেও পরিচিতি পান। তখন তিনি হয়ে যান একজন দিকপাল (dikapala) – মানে কিনা ‘দিকসমূহের রক্ষাকর্তা’ – বিশেষ করে দক্ষিণ-পশ্চিম কোণের।

তো নামের পেছনেও তো একটা গল্প থাকে, তাই না? এই যে ‘নির্ঋতি’ (Nirṛti) শব্দটা, এটা কিন্তু সংস্কৃত (Sanskrit) শব্দ। এর মানে হলো ‘ক্ষয়’ (decay)। এসেছে ‘নির্ঋ’ (nirṛ) থেকে, যার আক্ষরিক অর্থ ‘আলাদা করা’ (to separate)। এটাকে আবার অন্যভাবেও ব্যাখ্যা করা যায় – ‘ঋতবর্জিত’ (devoid of ṛta/i), মানে এমন একটা অবস্থা যেখানে কোনো নিয়ম নেই, শৃঙ্খলা নেই, শুধুই বিশৃঙ্খলা আর গোলমাল (Kali, 2003; Witzel, 1997)।

‘নির্ঋতি’ নামের আরেকটা মানেও আছে – ‘ঋতের অনুপস্থিতি’ (absence of ṛta)। এই ‘ঋত’ মানে হলো শৃঙ্খলা বা নিয়ম। কাজেই নির্ঋতি মানে দাঁড়ায় বিশৃঙ্খলা, অরাজকতা। বিশেষ করে, স্বর্গীয় বা মহাজাগতিক শৃঙ্খলার অনুপস্থিতির যিনি রক্ষক, তিনিই যেন নির্ঋতি (Witzel, 1997; Chandra, 1998)।

এই শব্দটা বৈদিক (Vedic) যুগে ব্যবহার করা হতো এমন এক রাজ্যের কথা বলতে, যেখানে কিচ্ছু নেই – শূন্যতা আর নিকষ কালো অন্ধকার। যারা যজ্ঞ করতে বা সন্তান জন্ম দিতে ব্যর্থ হতো, তাদের গ্রাস করার ভয় দেখাতো এই রাজ্য। এই নির্ঋতিতে আলো ছিল না, খাবার ছিল না, ছিল না কোনো সন্তানও – বৈদিক জীবন আর আচার-অনুষ্ঠানের জন্য জরুরি কোনো উপাদানই সেখানে মিলত না (Witzel, 1997)। ব্যাপারটা বেশ ভয়ের, তাই না?

তো, এই দেবী নির্ঋতির কথা ঋগ্বেদের (Rigveda) মন্ত্রগুলোতেও পাওয়া যায়। বেশিরভাগ সময়েই তার কাছ থেকে সুরক্ষা চাওয়া হয়েছে, অথবা তার সম্ভাব্য বিদায়কালে তার কাছে মিনতি করা হয়েছে। একটা মন্ত্রে (১০.৫৯) তো তার নাম বেশ কয়েকবার উল্লেখ করা হয়েছে। সেই মন্ত্রে তার স্বভাবের সারসংক্ষেপ বলার পর যজ্ঞের স্থান থেকে তার বিদায়ও কামনা করা হয়েছে। অথর্ববেদে (Atharvaveda) (৫.৭.৯) আবার বলা হয়েছে, তার চুল নাকি সোনার মতো! তৈত্তিরীয় ব্রাহ্মণে (Taittiriya Brahmana) (১.৬.১.৪) নির্ঋতিকে বর্ণনা করা হয়েছে কালো রূপে, পরনে কালো পোশাক আর তার যজ্ঞের ভাগ হিসেবে দেওয়া হয় কালো তুষ। পবিত্র শতপথ ব্রাহ্মণে (Shatapatha Brahmana) (১০.১.২.৯) তাকে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকের অধিপতি হিসেবে দেখানো হয়েছে। কিন্তু ওই একই গ্রন্থের অন্য এক জায়গায় (৫.২.৩.৩) বলা হয়েছে, তিনি নাকি বাস করেন মৃতদের রাজ্যে (Kinsley, 2005; Bhattacharji, 2000; Stutley, 2019)। কী অদ্ভুত ব্যাপার, তাই না? একই দেবীর কত রকম বর্ণনা!

পরবর্তী হিন্দু ধর্মগ্রন্থগুলোতে নির্ঋতিকে নতুন করে একজন দেবী হিসেবে কল্পনা করা হলো। কিছু গ্রন্থ বলছে, তিনি হলেন অধর্মের (Adharma) (অর্থাৎ, যা ধর্ম নয়) স্ত্রী। এই অধর্ম আবার প্রকৃতি (Prakriti) এবং বনে বাস করা পুরুষদের (Purusha) জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। নির্ঋতি ছিলেন তিনজন রাক্ষসের মা – মৃত্যু (Mrityu) (মানে মরণ), ভয় (Bhaya) (মানে ভীতি) আর মহাভয় (Mahabhaya) (মানে আতঙ্ক) – যাদের সবাইকে একসাথে নৈঋত (Nairrita) বলা হতো (Mani, 1975)। অন্য কিছু গ্রন্থে আবার তাকে অধর্ম আর হিংসার (Himsa) (অহিংসার বিপরীত) কন্যা হিসেবে দেখানো হয়েছে। তিনি বিয়ে করেছিলেন তারই ভাই অঋতকে (Arita) (অর্থাৎ, যা ঋত নয়) এবং নরক (Naraka) (নরকের প্রতিমূর্তি) ও ভয়ের মা হয়েছিলেন (Witzel, 1997; Kali, 2003)। ভাগবত পুরাণে (Bhagavata Purana) তাকে দেখানো হয়েছে অপ্রজঃ (Aprajaḥ) (অর্থাৎ নিঃসন্তান) হিসেবে, যিনি ব্রহ্মার দুই পুত্র বা সৃষ্টি – অধর্ম আর মৃষাকে (Mṛṣā) (মানে অসত্য) – দত্তক পুত্র হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন (Śrīmad-bhāgavatam, n.d.)। কিছু গ্রন্থে আবার নির্ঋতিকে অন্য অশুভ দেবী, যেমন জ্যেষ্ঠা (Jyeshtha) বা অলক্ষ্মীর (Alakshmi) সাথে এক করে দেখা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে বলা হয়, তিনি নাকি সমুদ্র মন্থন (Samudra Manthana) (অর্থাৎ সাগর মন্থন) থেকে উঠে এসেছিলেন (Benard & Moon, 2000; Daniélou, 1991a)।

তো যেমনটা বলছিলাম, কিছু পণ্ডিত আর লেখকের মতে, দেবী নির্ঋতি পরবর্তী হিন্দু পৌরাণিক কাহিনীতে একজন পুরুষ দেবতায় রূপান্তরিত হয়ে একজন দিকপাল (dikpala) হয়ে যান। তখন নির্ঋতিকে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকের রক্ষাকর্তা হিসেবে গণ্য করা হয় (Chandra, 1998, p. 238)।

নির্ঋতির একটি চিত্রকর্ম, যেখানে তিনি একজন মানুষের ওপর চড়ে আছেন এবং সাথে আছে তার পরিচারকেরা, চিত্রাঙ্কনের সময় আনুমানিক ১৮২০ সাল

মাঝে মাঝে নির্ঋতিকে রুদ্রদের (rudras) একজন হিসেবেও ধরা হয় এবং স্থাণুর (Sthanu) পুত্র হিসেবে বর্ণনা করা হয় (Dalal, 2010; Daniélou, 1991b; Dikshitar, 1996)। বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থে দেবতা নির্ঋতির নানা রকম বর্ণনা পাওয়া যায় (Rao, S. K. R., 2003)।

আগম (Agamas) শাস্ত্র অনুসারে, নির্ঋতির গায়ের রং কালো, শরীর বিশাল আর পরনে হলুদ পোশাক। তার বাহন (vahana) হয় একজন মানুষ, নয়তো সিংহ (Gopinatha Rao, 1916; Rodrigues, 1842)। বিষ্ণুধর্মোত্তর পুরাণ (Vishnudharmottara Purana) বলছে, নির্ঋতির চেহারাটা বেশ ভয়ঙ্কর – কুৎসিত চোখ, হাঁ করা মুখ আর বেরিয়ে থাকা দাঁত। একই গ্রন্থে আবার অন্যরকম বর্ণনাও আছে – নির্ঋতির বাহন নাকি একটা গাধা আর তার হাতে থাকে একটা দণ্ড (danda)। বিষ্ণুধর্মোত্তর পুরাণে আরও বলা হয়েছে, নির্ঋতির চারজন সঙ্গিনী ছিলেন – দেবী (Devi), কৃষ্ণাঙ্গী (Krishnangi), কৃষ্ণবন্দনা (Krishavandana) আর কৃষ্ণপাশা (Krishnapasha) (Gopinatha Rao, 1916)।

দেবী-ভাগবত পুরাণ (Devi-Bhagavata Purana) অনুসারে, নির্ঋতি কৃষ্ণজন (Krishnajana) নামের এক শহরে বাস করেন, যেটা মেরু পর্বতের (Mount Meru) দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে অবস্থিত। বলা হয়, শহরটার আয়তন নাকি ২৫০০ যোজন (yojanas) (Mani, 1975, pp. 62, 540)! ভাবা যায়!

তথ্যসূত্র (References)

  • Benard, E., & Moon, B. (Eds.). (2000). Goddesses Who Rule. Oxford University Press.
  • Bhattacharji, S. (2000). The Indian Theogony: Brahmā, Vișņu and Śiva. Penguin.
  • Chakrabarty, D. (2000). Provincializing Europe. Princeton University Press. (ISBN 0691049092)
  • Chandra, S. (1998). Encyclopaedia of Hindu Gods and Goddesses. Sarup & Sons.
  • Dalal, R. (2010). Hinduism: An Alphabetical Guide. Penguin Books India.
  • Dallapiccola, A. L. (2002). Dictionary of Hindu Lore and Legend. Thames & Hudson.
  • Daniélou, A. (1991). The Myths and Gods of India: The Classic Work on Hindu Polytheism from the Princeton Bollingen Series. Inner Traditions / Bear & Co.
  • Dikshitar, V. R. R. (1996). The Purana Index. Motilal Banarsidass Publishers.
  • Gopinatha Rao, T. A. (1916). Elements Of Hindu Iconography, Vol. II Part II. Law Printing House.
  • Kali, D. (2003). In Praise of the Goddess: The Devimahatmya and Its Meaning. Nicolas-Hays, Inc.
  • Kinsley, D. (2005). Hindu Goddesses: Visions of the Divine Feminine in the Hindu Religious Tradition. Motilal Banarsidass. (Original work published 1987).
  • Krishna, N. (2001). The Book of Vishnu. Penguin Global. (ISBN 0670049077)
  • Mani, V. (1975). Puranic encyclopaedia: A comprehensive dictionary with special reference to the epic and Puranic literature. Motilal Banarsidass.
  • Narayan, K. (2011). Storytellers, Saints, and Scoundrels: Folk Narrative in Hindu Religious Teaching. University of Pennsylvania Press. p. 223. (ISBN 978-0-8122-0583-1).
  • Pattanaik, D. (2003). Lakshmi: The Goddess of Wealth and Fortune-An Introduction. Vakils Feffer & Simons Ltd. (ISBN 8187111585)
  • Pintchman, T. (2005). Guests at God’s Wedding: Celebrating Kartik among the Women of Benares. SUNY Press. pp. 48–49. (ISBN 978-0-7914-8256-8).
  • Rao, S. K. R. (2003). Encyclopaedia of Indian Iconography: Hinduism – Buddhism – Jainism. Sri Satguru Publications.
  • Rodrigues, E. A. (1842). The Complete Hindoo Pantheon, Comprising the Principal Deities Worshipped by the Natives of British India Throughout Hindoostan: Being a Collection of the Gods and Goddesses Accompanied by a Succinct History and Descriptive of the Idols. E.A. Rodrigues.
  • Shastri, J. L. (Trans.). (1951). Linga Purana – Part 2. Chapter 6: “The origin and activities of Alakshmi”. Retrieved from https://archive.org/stream/LingaPuranaJ.L.ShastriPart2/Linga%20Purana%20-%20J.L.Shastri%20-%20Part%202#page/n109/mode/2up
  • Śrīmad-bhāgavatam 4.8.2. (n.d.). Vedabase.io. Retrieved December 12, 2021, from https://vedabase.io/en/library/sb/4/8/2/
  • Stutley, M. (2019). A Dictionary of Hinduism. Routledge. (Original work published 1977).
  • Witzel, M. (1997). Macrocosm, Mesocosm, and Microcosm: The Persistent Nature of ‘Hindu’ Beliefs and Symbolic Forms. International Journal of Hindu Studies, 1(3), 501–539.

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.




This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.