চীনের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ন্ত্রিত “স্মার্ট সিটি” হাংঝৌ

রাতে হাংঝৌ শহর

স্মার্ট সিটি সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই ধারণা আছে, এই ধরণের শহরগুলোতে সমস্ত ইনফ্রাস্ট্রাকচার বা পরিকাঠামোই সফটঅয়ার দ্বারা একে অপরের সাথে সংযুক্ত থাকে। এই ধারণাটি খুব একটা নতুন না, কিন্তু এককথায় এটি অসাধারণ। একটা শহর কিছু প্রোগ্রাম দ্বারা সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে, আর সেই প্রোগ্রামটা কোন ধারণা বা ইনটুইশনের ভিত্তিতে চালিত না হয়ে সম্পূর্ণভাবে ডেটা আর এভিডেন্সের উপর নির্ভর করে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, এরকম একটা স্বপ্নের শহরে কেই বা থাকতে চাইবেন না?

এবার একটু ধাক্কা খাবার জন্য প্রস্তুত হন। কেমন লাগবে যদি জানতে পারেন, এরকম স্মার্ট সিটির অস্তিত্ব আসলেই এই পৃথিবীতে আছে? আর সেই শহরটি যদি হয় আপনি যেরকমটা কল্পনা করছেন তার চাইতেও প্রযুক্তিগতভাবে অধিক অগ্রসর? যেখানে সকল পরিকাঠামোগত ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রিত হয় একটি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স দ্বারা? শুনে নিশ্চই ভাববেন, এই শালার খেয়ে দেয়ে কাজ নেই, শুধু শুধু আবোল তাবোল বলে টাইম ওয়েস্ট করছে… আরে মশাই বিশ্বাস যদি না হয়, তাহলে নিজে চীনে গিয়ে হাংঝৌ শহরে একটু ঘুরে আসুন না!

হ্যাঁ, চীনে ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ন্ত্রিত স্মার্ট সিটির জয়যাত্রা। আর সেটা ইদানিং শুরু হয় নি, দেখতে দেখতে এই স্মার্ট সিটি পাক্কা এক বছর কাটিয়েও দিয়েছে! হাংঝৌ শহরে নয় মিলিয়নেরও বেশি মানুষের বাস। ২০১৬ সালের অক্টোবরের রিপোর্ট অনুযায়ী চীনের ই-কমার্স জায়ান্ট আলিবাবা আর তাইওয়ানের ইলেক্ট্রনিক্স কনট্রাক্ট মেনুফ্যাকচারিং জায়ান্ট ফক্সকন মিলে এই “সিটি ব্রেইন” প্রোজেক্ট তৈরি করে। আর এরপর থেকেই এই শহরটা অন্তত আংশিকভাবে হলেও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে আসছে যা শহরের প্রত্যেকটি ডেটা তার ভারচুয়াল মস্তিষ্কে শোষণ করে নেয়।

এই প্রোজেক্টের জন্য শহরের প্রত্যেকটা বাড়িকে ট্র্যাক করা হয়, প্রত্যেকের একটিভিটি আর সোশ্যাল নেটওয়ার্ক ট্র্যাক করা হয়, প্রত্যেকের নড়াচড়া, তাদের কমিউনিটি থেকে শুরু করে সবকিছুই সেই আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স বা এআই এর ডেটাবেজে আপলোডেড হয়, আর এগুলোর উপর ভিত্তি করেই সেই এআই সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে তৈরি করা শুরু করে।

ধীরে ধীরে পুরো শহর নিয়েই সেই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স একটা নিউরাল নেটওয়ার্ক তৈরি করে ফেলে। নিউরাল নেটওয়ার্ক কি জিনিস সেটা একটু সংক্ষেপে বলে নেই… নিউরাল নেটওয়ার্ক একধরণের সংযুক্তি বা কানেকশনিজম। আমাদের মস্তিষ্কের বায়োলজিকাল নিউরাল নেটওয়ার্ক দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে এই কনসেপ্টটি দাঁড় করানো হয়। যদি কোন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এরকম আর্টিফিশিয়াল নিউরাল নেটওয়ার্ক ডেভেলপ করে কাজ করে তাহলে বুঝতে হবে এটা কোন নির্দিষ্ট কাজের জন্য কোন প্রোগ্রামারের ঠিক করে দেয়া প্রোগ্রামের উপর নির্ভর করে কাজ করে না, বরং এরা বিভিন্ন উদাহরণ বা এক্সামপল গ্রহণ করে আর সেই এক্সাম্পলগুলোর উপর ভিত্তি করে একটা নিউরাল নেটওয়ার্ক তৈরি করে নিজেরাই বুঝে নেয় ঠিক কী করতে হবে, ঠিক আমরা নিজেরা যেরকম বিকাশের সময় মস্তিষ্কে বায়োলজিকাল নিউরাল নেটওয়ার্ক গঠন করে বিভিন্ন জিনিস শিখে এসেছি। পরিষ্কার হল না তো? আচ্ছা বুঝিয়ে বলছি। ধরুন আপনি একটা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স তৈরি করতে চান যার কাজ হবে বিড়ালের ছবিকে চিনতে পারা। একটা জায়গায় যদি অনেকগুলো প্রাণী থাকে (যার মধ্যে মানুষও থাকতে পারে) তাহলে এই এআই এর কাজ হচ্ছে এখান থেকে বিড়ালগুলোকে শনাক্ত করা আর এদের সংখ্যা কত তা বের করা। তো এই কাজটা করার জন্য এআই-টিকে ইমেজকে বিশ্লেষণ করে সেখানে বিড়াল আছে নাকি দেখতে হবে, আর সেটার জন্য আগে এটাকে জানতে হবে বিড়াল দেখতে কেমন হয়। এআইকে এটা শেখানোর জন্য আমাদেরকে ম্যানুয়ালি অনেকগুলো বিড়ালের ছবি দেখিয়ে বলতে হবে যে এগুলো বিড়াল, আর অনেকগুলো বিড়াল না এমন ছবি দেখিয়ে বলতে হবে যে এগুলো বিড়াল না। অর্থাৎ এদেরকে ডেটা দিতে হবে। আর এভাবে ডেটা নিতে নিতেই এরা একটা নিউরাল নেটওয়ার্ক ডেভেলপ করে, এই নেটওয়ার্ক এর মধ্যেই এআই-টির পূর্বের শেখা সমস্ত অভিজ্ঞতা নিহিত থাকে যার সাহায্যে এটা একটি সিদ্ধান্ত দিতে সক্ষম হয়। ডেটার সংখ্যা যত বেশি হবে, অর্থাৎ এদেরকে যত বেশি বিড়ালের ছবি আর বিড়াল না এরকম ছবি দেখানো হবে এদের নিউরাল নেটওয়ার্ক তত বেশি শক্তিশালী হবে আর এদের সিদ্ধান্ত তত বেশি সঠিক হবে। একটু মনে করে দেখুন, আমরাও ছোটবেলায় এরকম অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তিতেই এত কিছু শিখে এসেছি।

যাই হোক, অনেক তত্ত্ব কথা বলা হয়ে গেল। এবার আসল কাহিনীতে ফিরে যাই… তো এভাবে শহরের সকল ধরণের ডেটা বা উপাত্ত নিয়ে সেই এআইটি গোটা শহর নিয়েই একটা শক্তিশালী নিউরাল নেটওয়ার্ক তৈরি করে ফেলে। শহরের ওয়াটার সাপ্লাই থেকে শুরু করে কোন এলাকার ভিড় সহ সব তথ্যই তখন সেই এআই এর মুঠোয়। আর এরপরই সিটি ব্রেইন বা শহরের মস্তিষ্কটি বুঝে যায় একে ঠিক কী কী করতে হবে।

দেখা যায়, এরপর শহরের অনেক খাতেই অভূতপূর্ব সফলতা অর্জন সম্ভব হল। ট্রাফিক ফ্লো এর উদাহরণই ধরুন। পুরো শহর জুড়ে কয়েকশ হাজার ক্যামেরা সেট করা হয়, যার মাধ্যমে শহরের প্রত্যেকটি রাস্তার গাড়িকে ট্র্যাক করা হয়। আর এর ফলে এটি খুব দ্রুত রোড ক্র্যাশ, ব্লকেজ, পার্কিং ভায়োলেশন ডিটেক্ট করতে সক্ষম হয় এবং স্বয়ংক্রীয়ভাবে ট্রাফিক পুলিসকে এগুলো জানিয়ে দেয়। এছাড়া কেউ কোন আইন অমান্য করলেও সেটা খুব সহজেই এই সিটি ব্রেইন ধরে ফেলতে সক্ষম হয় আর সঠিক সময়ে পুলিসও চলে আসে। দেখা যায়, ট্রাফিক জ্যাম, রাস্তায় এক্সিডেন্ট থেকে শুরু করে শহরের অপরাধের মত অনেক সমস্যাই এর ফলে অনেক কমে গেল। এই সিটি ব্রেইন শুধু অথোরিটি বা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথেই যে সংযুক্ত, আর এমারজেন্সির সময় তাদেরকে এটি জানিয়ে দেয় তা কিন্তু নয়, এটা একই সাথে প্রত্যেকের মোবাইল ফোনের সাথেও সংযুক্ত। আর এর মাধ্যমে এটি প্রত্যককেই কিছুক্ষণ পরের ট্রাফিকের অবস্থা, আবহাওয়ার অবস্থা সহ আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যই জানিয়ে দেয়। এই সিস্টেমটি ১০ মিনিট ভবিষ্যতের ট্রাফিক ফ্লোকে ৯০ শতাংশ সঠিকতার সাথে ভবিষ্যদ্বাণী করতে সক্ষম, আর এই ভবিষ্যদ্বাণীকে কাজে লাগিয়ে এটি ট্রাফিক কনজেশনকে মোকাবেলা করতে ট্রাফিক লাইট প্যাটার্নকে সুবিধামত নিয়ন্ত্রণ করে। প্রয়োজনীয় ভবিষ্যদ্বাণী করার জন্য এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কয়েক মাসের গুরুত্বপূর্ণ ডেটাও ব্যবহার করে, যার দ্বারা নিরাপদ সড়ক, বাঁধাহীন যোগাযোগ ব্যবস্থা ইত্যাদি নিশ্চিত করতে সবচেয়ে সঠিক ভবিষ্যদ্বাণী বের করা যায়।

এই প্রোজেক্টটি এখন এতটাই ভাল কাজ করছে যে, ইতোমধ্যেই চীনের অন্যান্য শহরগুলোতেও এই প্রোজেক্টটি চালু করার কথা ভাবা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারেও এটি জনপ্রিয় হচ্ছে। কিন্তু যদি এখানেও একটা জিনিস ভাবার আছে। আর সেটা হচ্ছে, কেন এরকম আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ন্ত্রিত স্মার্ট সিটি বা সিটি ব্রেইন প্রোজেক্ট চীনেই শুরু হল? উত্তর আমেরিকা আর ইউরোপে তো অনেক উন্নত দেশ রয়েছে, এরা কেন এরকম কিছু করতে গেল না? প্রশ্নটা ভাববার মত। খেয়াল করে দেখুন, এটা করার জন্য হাংঝৌ শহরের প্রত্যেকের বাসা ট্র্যাক করা হচ্ছে, সকলের প্রাইভেট ডিটেইলস সংগ্রহ করা হয়েছে, কে কোথায় যায়, কাদের সাথে মেশে, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোতে কী কী করে সব কিছুই আপলোডেড হয়েছে এআই এর কাছে। কী মনে হয় সকলের এক্ষেত্রে মত ছিল?

২০১৪ সালে ওবামার প্রশাসনের সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে এডওয়ার্ড স্নোডেন ইউএস স্পাইং প্রোগ্রাম সম্পর্কিত তথ্য ফাঁস করে দিয়েছিলেন। এরপর এটা নিয়ে বিতর্কের যে ঝড় উঠেছিল তা কারোরই ভুলে যাবার কথা না। কারও অনুমতি না নিয়ে এভাবে ব্যক্তিগত ডেটা গ্রহণ করা মানবাধিকার লঙ্ঘণ হিসেবে স্বীকৃত। আর এখানে ওবামার একটা কথাও খুব স্মরণীয় হয়ে আছে, “But I think it is important to recognize that you can’t have 100 percent security and also have 100 percent privacy and zero inconvenience. We are going to have to make some choices as a society. And what I can say is that in evaluating these programs, they make a difference in our capacity to anticipate and prevent possible terrorist activity.”

অর্থাৎ, “কিন্তু আমি মনে করি এটা স্বীকার করা জরুরি যে আপনারা একই সাথে একদিকে একশ ভাগ নিরাপত্তা ও অন্য দিকে একশ ভাগ গোপনীয়তা ও অসুবিধাবিহীন অবস্থা পাবেন না। একটি সমাজ হিসেবে আমাদেরকে অবশ্যই এদের একটাকে বেঁছে নিতে হবে। আর এই প্রোগ্রামগুলোকে মূল্যায়ন করে আমি যা বলতে পারি তা হল, এগুলো সাম্ভাব্য টেরোরিস্ট এক্টিভিটিকে রোধ করা ও পূর্বাভাস দেবার ক্ষেত্রে আমাদের সক্ষমতায় একটি পার্থক্য তৈরি করে (অর্থাৎ স্পাইং প্রোগ্রামের ফলে টেরোরিস্ট দমন ও পূর্বাভাসের সক্ষমতা অনেক বেড়ে যায়)”

যাই হোক, উত্তর আমেরিকা, ইউরোপের দেশগুলো মানুষের প্রাইভেসি ও মানবাধিকার নিয়ে খুবই সতর্ক, তবে চীনের অবস্থা কিন্তু সেরকম নয়। আলিবাবা-তে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে আছেন জিয়ান শেং হুয়া। তিনি এই বছরের অক্টোবরের প্রথম দিকে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড সামিট এআই-তে বলেন, চীনে মানুষেরা গোপনীয়তার ব্যাপারে খুব একটা চিন্তিত নয়, আর তাই আমরা খুব দ্রুত এই কাজটি করতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু আসলেই চীনের মানুষেরা গোপনীয়তার ব্যাপারে কম চিন্তিত কিনা এখানে একটা প্রশ্ন থাকেই। আমাদের মনে রাখতে হবে যে চীন একটি ওয়ান পার্টি স্টেট যেখানে ক্ষমতায় থাকা একক রাজনৈতিক দলের (কমিউনিস্ট পার্টি অফ চায়না) কথাই চূড়ান্ত। আর এই চীনে এখন মানবাধিকারের কী বেহাল দশা সে বিষয়ে হয়তো এখন অনেকেই জানেন। ইচ্ছামত গ্রেফতার ও ডিটেনশন, মানবাধিকার কর্মীদের গুম করে দেয়ার ঘটনা সেখানে অহরহ ঘটতে দেখা যায়, আর এই গুম শুধু তাদের দেশেই হয় না, আশপাশের দেশ যেমন থাইল্যান্ড, হংকং থেকেও তাদের মানুষ গুম করার ব্যাপারটি সামনে চলে এসেছে (গুই মিনহাই এবং জিয়াও জিনহুয়া ইস্যু)। হংকং এর আদালত থেকে শুরু করে বিভিন্ন সংস্থাতে চীনের মাতব্বরি চলে। চীনে ন্যায় বিচার এবং ফ্রিডম অফ এক্সপ্রেশন উভয়ই প্রশ্নবিদ্ধ। তাই যখন চীনে অনলাইন বা অফলাইন কোন ধরণের প্রাইভেসি ও এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদের কথা আসে, তখন চীনের নাগরিকদের আসলে কিছুই বলার থাকে না। আর তাই এই ইথিক্সকে দূরে সরিয়ে রাখার কারণেই বলা যায় যে এরকম চূড়ান্ত মাত্রার উচ্চাকাঙ্ক্ষী প্রোজেক্টগুলোর জন্য চীন সবচাইতে ভাল স্থান।

২০১৪ সালে উঠে আসা গোপনীয়তা বনাম নিরাপত্তা বিতর্কের কথা আমরা মোটামুটি জানি, এই লেখাতেও তার কিছুটা নিয়ে আসার চেষ্টা করেছি। তবে চীনের এই সিটি ব্রেইন প্রোজেক্ট পূর্বের সেই বিতর্কের সাথে আরেকটি নতুন বিতর্কের জন্ম দিল। সেটা হচ্ছে গোপনীয়তা বনাম উন্নয়ন। সময় এগিয়ে যায়, যুগের পরিবর্তন হয়, আর এই পরিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে পরিবর্তিত হয় মানুষের মন, মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি। এই যুগের বিভিন্ন পরিস্থিতি আমাদেরকে দেখিয়ে দিচ্ছে যে প্রাইভেসি বা গোপনীয়তাকে সম্পূর্ণ অক্ষত রেখে শতভাগ নিরাপত্তা ও উন্নয়ন নিশ্চিত করা যাচ্ছে না, এছাড়া এই কয়েক বছরে বিভিন্ন সেবাদানকারী ও উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকেও গোপনীয়তার প্রশ্নে প্রশ্নবিদ্ধ হতে দেখা গেছে, প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বিভিন্ন রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রায়ত্ত্ব প্রতিষ্ঠানও। নিঃসন্দেহেই মানুষের অনুমতি ব্যাতিরেকে গোপনীয়তার ব্যাঘাৎ ও স্পাইং প্রোগ্রাম চালানো মানবাধিকার লঙ্ঘণের আওতায় পড়ে। এরকম পরিস্থিতিতে হয়তো আস্তে আস্তে মানুষ তার গোপনীয়তাকে কমপ্রোমাইজ করা শুরু করবে, গোপনীয়তার বিভিন্ন বিষয়কে যেমন বর্তমানে ট্যাবু হিসেবে দেখা হয়, ভবিষ্যতে হয়তো তার মাত্রা কমে আসবে, হয়তো মানুষের রাষ্ট্রে মানুষের বিভিন্ন বিষয়ে ফ্রিডম নিশ্চিত হওয়ার সাথে সাথে ওপেননেস বৃদ্ধি পাবে, আর সময়ের প্রয়োজনে গোপনীয়তাও কমে যাবে, আর ব্যাপারটার সাথে মানুষ নিজেদেরকে মানিয়েও নেবে। আগামীর দিনগুলোই বলে দেবে আমরা কোন পথে যাচ্ছি।

 

 

তথ্যসূত্র:

  1. https://www.newscientist.com/article/2151297-a-smart-city-in-china-tracks-every-citizen-and-yours-could-too/
  2. https://www.ibm.com/blogs/internet-of-things/building-smart-city-solutions/
  3. http://en.people.cn/n3/2016/1013/c90000-9126738.html
  4. https://www.yicaiglobal.com/news/alibaba-deploys-its-city-brain-10-will-remotely-control-hangzhous-128-traffic-signals
  5. http://www.nytimes.com/2013/06/08/us/obamas-remarks-on-health-care-and-surveillance.html
  6. http://worldsummit.ai/ 
  7. https://www.hrw.org/news/2017/02/24/sustaining-attention-human-rights-violations-china

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.




This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.