এক জার্মান কোম্পানি চাঁদের মাটিতে প্রথম সেলফোন টাওয়ার বানাতে চায়

একটি জার্মান কোম্পানি পরিকল্পনা করতেছে চাঁদের মাটিতে প্রথম লুনার সেলফোন টাওয়ার স্থাপনা করবে মূলত পৃথিবীর সাথে যোগাযোগ করার জন্য, এমনটাই ঘোষণা করেছে।

কোম্পানিটির নাম ‘পার্ট-টাইম সাইন্টিস্টস’(PTScientists), মূলত গুগল লুনার এক্সপ্রাইজ-এর জন্য যা চাঁদে যাওয়ার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে রোভার সহ একটি ল্যান্ডার পাঠানোর পরিকল্পনা করছে ২০১৮ সালের শেষের দিকে এপোলো-১৭ সাইটের ল্যান্ডিং পরিদর্শন করতে। (এপোলো ১৭ সাইটটি—১৯৭২ সালে চালু হওয়া চাঁদে নাসা’র ফাইনাল এপোলো মিশন ছিল)। রোভার থেকে পৃথিবীতে তথ্য রিলে করার জন্য একটি জটিল ডেডিকেটেড টেলিযোগাযোগ সিস্টেম ব্যবহার করার পরিবর্তে, কোম্পানিটি এলটিই প্রযুক্তির উপর নির্ভর করবে – মোবাইল ফোন যোগাযোগের জন্য পৃথিবীতে যে সিস্টেম ব্যবহৃত হয় সেই একই সিস্টেমে।

পিটিসাইন্টিস্ট বিশেষজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ার কার্স্টেন বেকার স্পেস ডটকমকে বলেন, “আমরা চাঁদে ফোরজি এলটিই বেস স্টেশন প্রদান করার জন্য ভোডাফোনের সাথে সহযোগিতা করছি”।এলটিই ব্যবহার করার সুবিধাগুলি হল যে এটি প্রথাগত রেডিও যোগাযোগের চেয়ে কম শক্তি ব্যবহার করে। এর অর্থ এই যে অনেক বেশী তথ্য সহজেই ল্যান্ডারের খুব কম ব্যাটারি শক্তি খরচ করে পাঠানো যাবে।

তত্ত্বগতভাবে, একজন মহাকাশচারী ফোন নেটওয়ার্ক সাথে সংযোগ করতে পারে। পিটিসাইন্টিস্ট এর সিইও রবার্ট বোহেম বলেন, “এটাই আসল ধারণা! এখানে পুরো ধারণা হল, প্রথমবারের মতো, পুনরায় ব্যবহারযোগ্য স্পেসে অবকাঠামো স্থাপন করা যাতে ভবিষ্যতের স্পেস উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যয় ও জটিলতা কম হয়।”

মূলত, পিটিসাইন্টিস্ট গুগল লুনার এক্সপ্ররাইজে প্রতিযোগীদের মধ্যে একটি। এটি প্রাইভেট কোম্পানিগুলির চাঁদে অবতরণ করার জন্য একটি প্রতিযোগিতামূলক অংশ, এবং তারপর চন্দ্রপৃষ্ঠ ভ্রমণ করবে, এর জন্য ১৫ মিলিয়ন ডলারের পুরস্কার প্রদান করা হবে। যাইহোক, তারা একা একা যাওয়ার জন্য প্রতিযোগীতা থেকে প্রত্যাহার করে নেয়।

পুরস্কারের জন্য যোগ্য হওয়ার জন্য, এই বছরের ডিসেম্বর ২০১৭ এ দলগুলোকে তাদের প্রজেক্ট চালু করতে হবে। পাঁচটি ফাইনালিস্টস চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য চূড়ান্ত লঞ্চ চুক্তি রয়েছে, কিন্তু তারা এই নির্দিষ্ট সময়সীমাটিতে চালু করতে পারবে কিনা তা দেখতে হবে।

PTScientists একটি SpaceX Falcon 9 রকেট চালু করতে ২০১৮ এর মধ্যে একটি চুক্তি আছে। তাদের ল্যান্ডারের নাম ‘আলিনা’, এবং এটা চাঁদের একটি যোগাযোগ বেস স্টেশন হিসাবে ব্যবহার করা হবে।

মে মাসের এক বিবৃতিতে বেকার বলেন, “আমাদের রোভার্সগুলি সেন্সর ও হাই-ডেফিনিশন ক্যামেরায় সাথে সজ্জিত। আমরা চন্দ্রের অনেক বৈজ্ঞানিক তথ্য সংগ্রহ করবো এবং উচ্চ গতিসম্পন্ন ডেটা সংযোগ যা এলটিই দিয়ে রোভার এ্যালিনা সাথে যোগাযোগ করতে সক্ষম হবে যাতে এই মূল্যবান তথ্য পৃথিবীতে ফেরত পাঠাতে পারে।”

একই বিবৃতিতে, ভোডাফোন জার্মানির সিইও, হ্যান্স আমেস্টরেইটার বলেন, তারা এই সিস্টেমটিকে চলাচল করতে চেয়েছিলেন এলোন মাস্ক এর স্পেস এক্স চাঁদের কক্ষপথে প্রাইভেট যাত্রীদের পাঠানো সময় থেকেই।

মাস্ক আসলে বলেছিল এইটি ২০১৮ সালে ঘটতে পারে যদিও মনে হতে পারে অসম্ভব যে তাদের ক্রু ড্রাগন মহাকাশযানটি ২০১৮ সালের গ্রীষ্মের আগে প্রথমবারের মতো চালু হবে না। কিন্তু সম্ভবত যখন মহাকাশচারীরা তারা সেখানে যাবে, তারা আক্ষরিক অর্থেই তাদের বাসায় ফোন করবে।

 

তথ্যসূত্রঃ

  1. http://www.iflscience.com/space/a-german-company-wants-to-build-the-first-cell-tower-on-the-moon/
  2. http://www.iflscience.com/space/apollo-17-landing-site-to-be-revisited-in-attempt-to-win-new-moon-race/
  3. https://www.space.com/37753-calling-the-moon-cell-phone-tower.html
  4. http://www.iflscience.com/space/five-teams-enter-final-stretch-to-win-google-lunar-xprize-moon-race-and-scoop-20-million/
  5. https://spacewatchme.com/2017/03/stay-connected-even-moon/
  6. http://www.iflscience.com/space/spacex-plans-to-send-two-people-on-a-mission-to-the-moon-in-2018/
  7. http://www.iflscience.com/space/astronauts-will-launch-from-american-soil-again-in-less-than-a-year/

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.




This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.