নাসার পরবর্তী মঙ্গল মিশন যাত্রা করবে ২০১৮তে

আর্টিস্টের বানানো মঙ্গল গ্রহে ইনসাইট এর ছবি ছবি, NASA, JPL-CALTECH

গতবছর ডিসেম্বরে নাসার কাছ থেকে একটি হতাশার খবর শুনতে হয়েছিল। কিছু ত্রুটির কারণে মঙ্গল গ্রহের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অনুসন্ধানের জন্য পরিকল্পিত নাসার ইনসাইট ল্যান্ডার এর মঙ্গল অভিযানের ২০১৬ সালের মার্চের যাত্রা বিলম্বিত হয়।

কিন্তু এখন কিছু ভাল খবর আছে, নাসা ২০১৮ সালের মধ্যে তাদের মিশনের যাত্রা শুরু করবে এমন সবুজ সংকেত দিয়েছে।এরই প্রেক্ষিতে কিছুটা উদ্বেগ আছে যে দেরি হওয়ায় মিশনটাই না বাতিল হয়ে যায়। সংশোধিত সময়ে মিশনটি ৫ই মে ২০১৮ এর আগে যাত্রা করা হবে না, এবং মঙ্গলে পৌছাবে ৭ মাস পর অর্থাৎ ২৬শে নভেম্বরে।

ইনসাইট (InSight- Interior Exploration using Seismic Investigations Geodesy and Heat Transport) হচ্ছে একটি নিশ্চল ল্যান্ডার যেটি ৫ মিটার নিচ পর্যন্ত খনন করে মঙ্গলের তাপমাত্রা এবং উপরিভাগ গবেষণা করবে। এটা মঙ্গল সম্পর্কে আমাদের আরো ভাল ধারনা দিবে, শুধু তাই নয় অন্য পাথুরে গ্রহ গুলো সম্পর্কেও আমারা জানতে পারবো।

একটা যন্ত্রাংশে একটি ভ্যাকুয়াম লিক ধরা পরায় মিশনটি শুরুতেই বিলম্ব হলো, SEIS (Seismic Experiment for Interior Structure) মার্স্ককুয়েক, মিটিওরাইট প্রভাব, এবং এমনকি আরো আশপাশের ঘটনা যেমন ধুলো ঝড় এবং ভূমিধস থেকে সিংগন্যাল শনাক্ত করবে।  এই লিক মানেই হচ্ছ ঐ যন্ত্রটি মঙ্গলে ব্যবহার অনুপোযোগী, ফলে নাসার মিশনটি স্থগিত করা ছাড়া অন্য কোন উপায় ছিল না।

ওয়াশিংটনে নাসার সায়েন্স মিশন অধিদপ্তরের বর্তমান প্রশাসক জিওফ ঈয়ুডার বিবৃত দেন যে “এটা সন্তোষজনক যে আমরা গুরুত্বপূর্ণ মিশনটা নিয়ে সামনে এগুচ্ছি যেটা মঙ্গলের এবং সকল পাথুরে গ্রহের এমনকি পৃথিবী সহ এদের উদ্ভব ভালভাবে বুঝতে সাহায্য করবে”।

মঙ্গলে উৎক্ষেপন শুধু মাত্র নির্দিষ্ট উইন্ডো থেকে হবে যখন গ্রহগুলোয় স্বল্প ভ্রমণের জন্য সারিবদ্ধ থাকবে, আর এটা ঘটে থাকে কমপক্ষে ২৬ মাস পরপর, তাই নাসা লম্বা সময়ের জন্য স্থগিত করেছিল। সৌভাগ্যের বিষয় হচ্ছে নতুন যাত্রা শুরু করার তারিখ অনুমোদিত হয়েছে। ফলে মঙ্গল নিয়ে বছরটা বেশ ব্যস্তই যাচ্ছে স্পেস-এক্স একটি মিশনের পরিকল্পনা করেছে যদিও তাদের সম্প্রতি রকেট দুর্ঘটায় মিশনটি জটিল হয়ে যেতে পারে।

নাসা মন্তব করেছে যদিও InSight এর বিলম্ব এই মিশনকে প্রভাবিত করেছে। প্রাথমিক বাজেট এই মিশনের জন্য ৬৭৫ মিলিয়ন ডলার, কিন্তু বিলম্ব হওয়ায় এর বাজেটে আরো ১৫৩.৮ মিলিয়ন ডলার যোগ হবে, এ কারনে ২০২০ সালের নতুন মিশনে কিছুটা সুযোগ কমে যেতে পারে।

তথাপি, এটা ভাল খবর যে মঙ্গল সম্পর্কে আমাদের ধারণা বৃদ্ধির জন্য। ২০২০ সালে নাসার অন্য রোভার পাশাপাশি ইউরোপিয়ান-নির্মিত এক্সোমার্স রোভার পরিকল্পণা করে হয়েছে যাতে আশা করছি সামনের দশকে এই লাল গ্রহটা সম্পর্কে আরো জানবো।

তথ্যসূত্র:

  1. http://www.jpl.nasa.gov/news/news.php?feature=6612
  2. http://www.space.com/33956-nasa-mars-insight-lander-2018-launch-date.html

 

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.




This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.