দেনিসোভান মানুষের সম্পর্কে নতুন তথ্য উদঘাটন এবং নতুন এনশিয়েন্ট হিউম্যান স্পিসিজ এর এভিডেন্স

14602741016_e26b2c796b_z
Denisova cave, in the Altai Mountains of Siberia, is the only place so far to contain Denisovan remains. loronet/Flickr CC BY-NC-ND 2.0

 

দেনিসোভান নামক এনশিয়েন্ট হিউম্যান স্পিসিজটি একটি প্রহেলিকা। এদের সম্পর্কে কেবল ২০০৮ সালে আবিষ্কৃত কয়েকটা হাড়ের ফ্র্যাগমেন্ট থেকেই জানা যায়। তাদের কোন পূর্ণাঙ্গ ফসিলেরই অস্তিত্ব নেই। আমরা জানি যে তারা অন্ততঃ ৫০,০০০ বছর পূর্বে বাস করত এবং তারা বর্তমান মানুষ ও নিয়ান্ডার্থাল উভয়ের সাথেই ইন্টারেক্ট করেছিল। কিন্তু দেনিসোভান রিমেইন থেকে নতুন একটি আবিষ্কার (একটি মোলার দাঁত) এদের সম্পর্কে আমাদের আরও তথ্য দিচ্ছে। আর সেটা হল, এরা নিয়ান্ডারথালদের তুলনায় আরও বেশি জেনেটিকালি ডাইভার্স ছিল।

সাইবেরিয়ার আলতাই মাউন্টেইন এর দেনিসোভা গুহায় একটি মেয়ের একটি দাঁত ও কনে আংগুলের একটি ফ্র্যাগমেন্ট পাওয়া যায়। এখান থেকে ডিএনএ নিয়ে গবেষণা করে দেখা যায় এই হিউম্যান স্পিসিজটি আমাদের অর্থাৎ হোমো সেপিয়েন্স এবং নিয়ান্ডারথাল থেকে আলাদা। আর এভাবেই বিজ্ঞানীরা এই সামান্য পরিমাণ ফসিল থেকে একটি সম্পূর্ণ নতুন এক হিউম্যান স্পিসিজ আবিষ্কার করলেন।

কিন্তু সম্প্রতি একটি এক্সক্যাভেশনে একটি দাঁত উদ্ধার করা হয়েছে। Proceedings of the National Academy of Sciences জার্নালে এটা প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণাটি অনুসারে, এই দাঁতটি যার তিনি ২০০৮ সালের মেয়েটিরও ৬০,০০০ বছর আগে বাস করতেন। সুতরাং হয়, এই গুহাটিতে দেনিসোভান মানুষেরা হাজার হাজার জেনারেশন ধরে বাস করত অথবা এরা এই এলাকায় অন্ততঃ দুইবার এসেছিল।

এই গবেষণাটি আমাদের এনশিয়েন্ট পিপল সম্পর্কিত ধারণা সম্পূর্ণ চেঞ্জ করে দিয়েছে। সাইবেরিয়ার পরিবেশ বিশেষ করে শীতকালের পরিবেশ মানুষের জন্য অনুকুল না। তাই রিসার্চারগণ বলছেন, সেখানে জীবন ধারণ করার জন্য দেনিসোভানদের অবশ্যই যথেষ্ট পরিমাণ প্রাণবন্ত হতে হবে। এটা একটা থিওরি সমর্থনে আরও বেশি এভিডেন্স দিচ্ছে যেটা বলে আমাদের আগের ধারণার চেয়েও ( যা আমরা বর্তমান অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসী, নিউগিনি ও পলিনেশিয়ার অধিবাসীদের ডিএনএ থেকে জানতে পেরেছিলাম) এই রহস্যময় মানুষেরা বেশি পরিমাণে সফল ও ওয়াইডস্প্রেড ছিল।

এই দুটো ভিন্ন ফসিলের কম্পেরিজন নতুন একটি প্রহেলিকার জন্ম দেয়। এটা দেখায়, সাইবেরিয়ার এই কেভে ৬০,০০০ বছর ধরে থাকা এই দেনিসোভান মানুষদের জেনেটিক ডাইভার্সিটি স্পেইন থেকে আলতাই মাউন্টেইন পর্যন্ত বাস করা সকল নিয়ান্ডারথালদের চেয়ে বেশি ছিল। আরও দেখা যায়, দেনিসোভানরা কেবল আমাদের এন্সিয়েন্ত এনসেস্টরদের সাথেই ইন্টারব্রিডিং করেননি। বরং তারা পার্শ্ববর্তী নিয়ান্ডারথালদের সাথে ইন্টারব্রিডিং (দুটি ভিন্ন প্রজাতির মধ্যে যৌন মিলন) করেছিল।

কিন্তু রহস্যটি আরও গভীর। নতুন স্পেসিমেনে গবেষকরা ডিএনএ এর একটি অংশ পেয়েছেন যা হোমো সেপিয়েন্স, দেনিসোভান বা নিয়ান্ডারথাল কারোরই না। এটা নির্দেশ করছে আরেকটি আনআইডেন্টিফাইড বা অজানা হিউম্যান স্পিসিজ আছে যা অন্যদের সাথে একই ল্যান্ড শেয়ার করত। যদি এটা সত্য হয় তাহলে নিঃসন্দেহে এটা একটা অসাধারণ আবিষ্কার। আর এখন চীনের মিউজিয়ামগুলোতে সেখানকার হিউম্যান ফসিলগুলোকে টেস্ট করা হচ্ছে সেগুলোতে দেনিসোভান না অন্য কোন নতুন এনশিয়েন্ট হিউম্যান  রিমেইন আছে।

http://www.pnas.org/content/early/2015/11/11/1519905112.abstract

দেনিসোভানদের সাথে মানুষের ইন্টারব্রিডিং সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.




This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.